চিচিংফাঁক এর ফাদ বানিয়ে স্বনির্ভর হচ্ছেন কালিয়াগঞ্জের সুরশা গ্রামের মহিলারা
1 min read
তন্ময় চক্রবত্তী , শংকর গুপ্তা ঃ– শুধুমাত্র স্বামীর একার রোজগারের উপর নির্ভর করে আর থাকতে চান না গ্রামের মহিলারাও, এবার নিজেরাই নিজেদের পথ বেছে নিয়েছেন ভিন্ন পন্থায় উপার্জন করে।নিজেরাই নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে সংসার আর্থিকভাবে সচ্ছলতা আনতে চান।তাই উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের সুরশা গ্রামের মহিলারা এবার তৈরি করছে চিচিংফাঁক। কি অবাক হয়ে যাচ্ছেন নাকি ?
এটা আবার কি ? না না এটা আসলে এক ধরনের ফাঁদ । যেখানে ঢুকলে বেরোনো মুস্কিল । তবে সবার ক্ষেত্রে এই ফাঁদ কিন্তু প্রযোজ্য নয়। এই ফাঁদ হচ্ছে শুধুমাত্র নদীআলী মাছেদের ধরার জন্য ।
যার ডাক নাম গ্রাম্য ভাষায় ডেরকি । অর্থাৎ চিচিংফাঁক বানিয়ে এখন এই সুরশা গ্রামের মহিলারা তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে সকাল থেকে সন্ধ্যা । সব সময় সংসারের কাজের ফাঁকে ফাঁকে এই গ্রামের মহিলারা বাড়ির সামনে তৈরি করে চলছে মাছ ধরার অভিনব এক পন্থা চিচিংফাঁক। যা দিয়ে শুধুমাত্র ধরা যাবে মাছ আর যার চাহিদা এখন আকাশচুম্বী। সুরশা গ্রামের মহিলারা জানান, তারা এই চিচিংফাঁক তৈরি করে চলছে বহুদিন ধরে।
আর এই ডেরকি তৈরি করে তারা এখন তাদের সংসারে পূর্বের তুলনায় সচলতা অনেক গুণ সচ্ছলতা
ফিরে পেয়েছেন । মহিলারা বলেন এই দুর্মূল্যের বাজারে স্বামীর একার উপর আর সংসার চলে না । তাই বাড়িতে সংসারের কাজের ফাঁকে ফাঁকে এই চিচিংফাঁক অর্থাৎ ডেরকি বানিয়ে চলছে তারা ।
ফিরে পেয়েছেন । মহিলারা বলেন এই দুর্মূল্যের বাজারে স্বামীর একার উপর আর সংসার চলে না । তাই বাড়িতে সংসারের কাজের ফাঁকে ফাঁকে এই চিচিংফাঁক অর্থাৎ ডেরকি বানিয়ে চলছে তারা ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মহিলারা জানান তাদের তৈরী চিচিংফাঁক এর চাহিদা সারা বছর থাকে কারণ বর্ষাকালে যেমন প্রবল স্রোতের মাঝখানে চিচিংফাঁক পাতা থাকে নদীআলী মাছ ধরতে তেমনি গ্রীষ্মের সময় শুকিয়ে যাওয়া খাল বিল থেকে নদীআলী মাছ ধরতে এর বিকল্প নেই ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তাই দিনরাত পরিশ্রম করে তারা গ্রামের বিভিন্ন জায়গা থেকে বাশ ও সুতা সংগ্রহ করে এই চিচিংফাঁক তৈরি করে চলছে । গ্রামের মহিলারা আরও জানান এই ডেরকি বিক্রি করে তাদের ভাল আয় হয়।যা দিয়ে তাদের সংসারে অনেকটা স্বাচ্ছন্দ
ফিরে এসেছে ।
ফিরে এসেছে ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});