January 8, 2025

আড়াই বিঘা জমিতে আপেল ও আঙ্গুর কুল চাষ করে বছরে তিন লাখ টাকা উপার্জন

1 min read

আড়াই বিঘা জমিতে আপেল ও আঙ্গুর কুল চাষ করে বছরে তিন লাখ টাকা উপার্জন

তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ৫ জানুয়ারী:আসলে ইচ্ছে থাকলে অনেক কিছুই করা যায়। আমাদের হাতের সামনে অনেক কিছু থাকলেও আমরা সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগোই না মাঠের মাঠ পড়ে থাকে অনেক রকম চাষাবাদ করা গেলেও সেটা করি না। কিন্তু উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ভান্ডার অঞ্চলের টুঙ্গির বিল পাড়ার অল্পবয়সী এক গৃহবধূ সবাইকে অবাক করে দিয়ে বিগত চার বছর ধরে টঙ্গুইন বিল পাড়ায় তার আড়াই বিঘা জমিতে দুই রকমের কুল চাষ করে অর্থাৎ আঙ্গুরকুল এবং আপেল কুল চাষ করে এলাকার মানুষদেরকে বিশেষ করে মহিলাদেরকে অবাক করে দিয়েছে। রবিবার এক সাক্ষাৎকারে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের টুঙ্গল বিল পাড়ার বাড়ির সামনে যেতেই দেখা গেল একজন মহিলা কুলবাগানে বিভিন্নভাবে পরিচর্যা করছেন ওষুধ পত্র কুল গাছে দিয়ে।

গৃহবধ ূ ছবি দেব শর্মা কে প্রশ্ন করে জানা যায় তিনি বিগত চার বছর ধরে এই কুল চআসছেন।। কেন করে এসেছেন তার উত্তরে চবিদেব শর্মা চালালেন পড়াশুনা শিখে কি লাভ তার থেকে নিজের বাড়িতে জমি আছে সেই জমিতে নিজের মাথায় নতুন নতুন পরিকল্পনা বের করে চাষাবাদ করছি। গত চার বছর আগে মাথায় এসেছিল কুল চাষ করার দুই রকমের কুল চাষ আমরা করে থাকি। একটি আঙ্গুর কুল অপরটি আপেল কুল। দুটি কুলের দুই রকম চাহিদা আঙ্গুরকুল খুব মিষ্টি। এই কুলের চাষ করতে গেলে জৈব সার দিতে হয় ঔষধপত্রের মধ্যে সাইপ্রাস সাইজক এবং মঙ্গল ওষুধ দিলে পরে গাছে পোকা লাগেনা এবং ফলগুলো তর তাজা থাকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পত্র লাগে।সার কি সার কি ধরনের ধরনের প্রয়োগ করতে হয়

 

এ ব্যাপারে সদা হাস্যময়ই গৃহবধূ চাষী ছবি দেব শর্মা বললেন আমরা সাধারণত জৈব সার ব্যবহার করে থাকি জৈব সারটাই আসল সার হিসেবে কুল গাছে লাগে তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের কিছু মিকচার সার দিয়ে থাকি। এক প্রশ্নের উত্তরে সদা হাস্যময়ী চাষী গৃহ মহিলা চাষী ছবি দেব শর্মা জানান একটা গাছে ৩০ থেকে ৪০ কেজি কুল পাওয়া যায়।মোট আড়াই বিঘা জমিতে আনুমানিক ২০০ টির মত কুল গাছ লাগিয়েছি ফলে বুঝতেই পারছেন আসছে সরস্বতী পূজার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে কুল আমরা গাছ থেকে তুলবো এবং টাকার অংকে অনেক বেশি

 

ইনকাম করব বলে আশা করছি। অর্থাৎ তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা এবার আমরা এই কুল বিক্রি করব বলেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস।কুল চাষী ছবি দেব শর্মা বলেন আমি একজন মহিলা চাষী যেভাবে কুল চাষ করছি অথচ জেলার কৃষি দপ্তর কোনদিন একটু খোঁজখবরও নেননি যে এত বড় একটি কাজ একজন মহিলা করে চলেছে।

 

আমরা চাই মহিলাদের মধ্যে কুল চাষের ব্যাপারে সরকার থেকে এগিয়ে এসে আরো প্রশিক্ষণ দিয়ে মহিলাদেরকে আর সক্রিয় করে তুলুক।ছবি দেবী বলেন আমাদের গ্রামে আরো কুল কুল চাষের দিকে নজর দিলে অনেক মহিলারা এগিয়ে এসে এই কুল চাষে আত্মনিয়োগ করতে পারবে বলে তার বিশ্বাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর..