October 23, 2024

রাজ্য সরকারের অভুতপূর্ব উন্নয়নে রায়গঞ্জ লোকসভা আসনের জনমতে তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান।

1 min read

জয়ন্ত বোস, বর্তমানের কথা। আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। তারপর আগামী ১৮ এপ্রিল সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় রায়গঞ্জ লোকসভা আসনের নির্বাচনের তারিখ। এই সাংসদ এলাকার ভোটাররা নির্বাচিত করবেন তাদের সাংসদ কে হবেন। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচার তুঙ্গে। দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সকল রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থীদের নিয়ে দলীয় সাংগঠনিক কর্মী ও নেতৃত্বরা। প্রতিটি রাজনৈতিক দলগুলো কতৃক আখ্যায়িত সাম্প্রদায়িক দলের তকমা পাওয়া বিজেপি দলের প্রার্থী যেমন তার বক্তব্যে ভোটারদের কাছে আবেদন করছেন বিগত দিনে এই এলাকায় কোনো উন্নয়ন হয়নি তাই বিজেপি প্রার্থী কে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে এই এলাকার সার্বিক উন্নয়নে তিনি ঝাঁপিয়ে পরবেন এবং সেই সাথে আগামী দিনে কেন্দ্রে পুনরায় ধর্মনিরপেক্ষ, উন্নয়নশীল নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


 কিন্তু এই প্রতিশ্রুতির মাঝে ভোটারদের মধ্যে অনেককেই প্রশ্ন তুলেছেন বিগত পাঁচ বছরের বিজেপি সরকারের প্রতিশ্রুতিগুলি এখনো অবধি সাধারণ মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে আসে নি বরং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম যেভাবে বেড়েই চলেছে তাতে করে সাধারণ মানুষ নাজেহাল। যুদ্ধের জিগির তুলে ভারতের সার্বভৌমত্বের রক্ষায় এবং জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে মুখরিত করে দেশের সাধারণ মানুষের উন্নয়নের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে কিনা এই নিয়ে কানাঘুষার চর্চায় রায়গঞ্জ লোকসভা আসনের নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানের ভোটারদের।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


 বিদেশের কালো টাকা উদ্ধার করে প্রতিটি নাগরিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা জমা করার প্রতিশ্রুতির স্বপ্ন ৫ বছরেও সফল হলো না বরং দেশের সাধারণ মানুষের কোটি কোটি হাজার টাকা মেরে দেশ থেকে পালিয়ে গেল চৌকিদার কি পাহারা দিলেন এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে এলাকার ভোটারদের মধ্যে। সবচেয়ে এই মুহূর্তে রায়গঞ্জ লোকসভা আসনের নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের অধিকাংশ মানুষদের মনে এক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এন,আর,সি নিয়ে অর্থাৎ আসামের মতো ভারতীয় নাগরিকত্ব পঞ্জি বিল নাকি এই পশ্চিমবঙ্গেও চালু করতে চায় বিজেপি সরকার যদি তারা কেন্দ্রে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। এই ভীতি ভাইরাসে আক্রান্ত হতে শুরু করেছেন অনেকেই। ঠিক এর পাশাপাশি চর্চায় বর্তমানের পশ্চিমবঙ্গ সরকার কতৃক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বাস্তবায়নে প্রতিটি সাধারণ মানুষের পরিবার যেভাবে উন্নয়নের ছোঁয়া পেয়েছে তা কিন্তু একবাক্যে স্বীকার করেছেন এলাকার সর্বস্তরের ভোটারদের অধিকাংশই। ” তাল গাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে, উঁকি মারে আকাশে ”  কবিতার এই পংক্তির মতোই কন্যাশ্রী প্রকল্প যে বিশ্বের আকাশে ইতিমধ্যেই উঁকি মেরে বিশ্বশ্রী হয়েছে তা সকল পশ্চিমবঙ্গ বাসীদের কাছে এক অহংকার। অহংকার প্রতিটি পরিবারের কন্যা সন্তানের এবং তাদের পিতা-মাতার। সেই সাথে যুবশ্রী, রুপশ্রী, খাদ্যসাথী, সবুজ সাথী, গতিধারা, সমব্যাথী, সাবলম্বন, সবলা, মিশন নির্মল বাংলা, সাস্থ্যসাথী, শিশুসাথী, পথ সাথী, গীতাঞ্জলি, লোক প্রসার, সবুজ শ্রী, শিক্ষাশ্রী, শিশু আলোয়, খেলাশ্রী ইত্যাদি প্রকল্পের উন্নয়ন কিন্তু প্রতিটি পরিবারের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছে বলে মত প্রকাশ করেছেন এই এলাকার অধিকাংশ ভোটাররা। বিশেষ করে এই এলাকার মধ্যে বর্তমানে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পৌর বোর্ডের পরিচালনায় যে অভুতপূর্ব উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে তার চাক্ষুষ প্রমাণ পাচ্ছেন এই এলাকার নাগরিকরা। তবে রায়গঞ্জ লোকসভা আসনের অন্তর্গত চারটি পুরসভা ইসলামপুর, ডালখোলা, রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ পৌর শহরের পৌর বোর্ড বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত তেমনি জেলা পরিষদ তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত এবং প্রতিটি পঞ্চায়েত সমিতিও তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত বলে অধিকাংশ ভোটারদের মধ্যে কানাঘুষায় একটি চর্চা বর্তমানে উঁকি মারছে সাংসদ হিসেবে যদি এই প্রথম তৃনমূল কংগ্রেসের প্রার্থীকে জয়ী করানো যায় তাহলে হয়তো সার্বিক উন্নয়নের রাস্তা আরো প্রশস্ত হতে পারে। তবে রায়গঞ্জ লোকসভা নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের এই সুপ্ত চর্চার সাথে ঘরে ঘরে পৌঁছে যাওয়া একাধিক রাজ্য সরকারের অভুতপূর্ব উন্নয়নমূলক প্রকল্পের আওতায় সুবিধা পাওয়া ভোটারদের জনমত কে নিজেদের ভোটব্যাঙ্কে কতখানি কার্যকর করতে সক্ষম হোন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কানাইলাল আগরওয়াল এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন সেটাই এক বড় চ্যালেঞ্জ তাদের কাছে। আগামী ২৩ মে নির্বাচনী ফলাফলে প্রস্ফুটিত হবে জনমতে তৃণমূল কংগ্রেস।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *