কালিয়াগঞ্জের ব্লক প্রশাসন এর উদ্যোগে মার্ক-২ টিউবওয়েল
1 min readতন্ময়চক্রবত্তী ফাল্গুন মাস শুরু হতে না হতেই বেশকিছু জায়গায় ভূ–গর্ভস্থ জলস্তর নামতে শুরু করেছে। এবারও আতঙ্কে দিন গুণতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা জলকষ্টের । উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মুস্তাফানগর রাধিকাপুর মালগাঁও, এলাকায় তীব্র জলকষ্ট দেখা দেয় প্রতি বছর শুখা মরশুমে । এর ফলে কিছু দিনের মধ্যেই এই বিস্তীর্ণ এলাকায় যেমন পানীয় জলের সমস্যা দেখা দেবে তেমনি সেচের জলেও টান পড়বে। এই সমস্যার কথা মাথায় রেখে প্রশাসন ইতিমধ্যেই এলাকায় মার্ক–২ টিউবওয়েল, সাধারণ টিউবওয়েল গুলিকে সারানোর উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে। পাশাপাশি পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রয়োজনে কালিয়াগঞ্জ পুরসভা থেকে পানীয় জল সরবরাহ করা হবে বলে ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে। কালিয়াগঞ্জের বিডিও মহম্মদ জাকারিয়া বলেন, চলতি বছর এখনও ওই সব এলাকায় সেভাবে জল সংকটের খবর আসেনি।
তবে ওই সমস্ত এলাকায় প্রতি বছরই গ্রীষ্মের সময়ে জলের সমস্যা দেখা দেয়। সেকারণে আমরা খারাপ মার্ক–২ টিউবওয়েল থাকলে তা আগে থেকেই ঠিক করার উদ্যোগ নিচ্ছি। প্রয়োজনে পুরসভা থেকে পানীয় জলেরট্যাঙ্কসরবরাহকরাহবে। প্রতিবছরই কালিয়াগঞ্জ ব্লকের রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালাহাট, উদগ্রাম, মালজুম,শুকানদিঘি, চকদুলাল, মির্জাবর প্রভৃতি গ্রামে তীব্র জল সংকট দেখা দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা পানীয় জলের সংকটের পাশাপাশি জমিতে সেচের জল দিতে গিয়েও অসুবিধার মধ্যে পড়েন। একই ভাবে মুস্তাফানগর ও মালগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহাপুর, ধরাইল, লহন্ডা প্রভৃতি মৌজাতেও এই সমস্যা দেখা দেয়। মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে মে মাসের শেষ পর্যন্ত প্রতি বছরই এই দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
ভূ-গর্ভস্থ জলস্তর নামতে শুরু করেছে
এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৫০ হাজার মানুষের বসবাস। অনেক ক্ষেত্রেই বাসিন্দাদের দূর–দূরান্ত থেকে জল সংগ্রহ করে আনতে হয়।তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীরসদস্য তথা কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা অসীম ঘোষ বলেন, ওই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতে দীর্ঘদিন ধরেই গ্রীষ্মের সময়ে জল সংকট দেখা দেয়। আগে মার্ক–২ টিউবওয়েল সহ অন্যান্য ব্যবস্থা কম থাকায় পরিস্থিতি ঘোরালো হতো। বর্তমানে প্রশাসন বেশ কিছু মার্ক–২ টিউবওয়েল বসিয়েছে। সমস্যা দূর করার জন্য আমরাও প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করব।