গঙ্গারামপুরে নয়, বালুরঘাট সদরে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি ।
1 min readনিজস্ব প্রতিনিধি (বর্তমানের কথা): গঙ্গারামপুরে নয়, বালুরঘাট সদরে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি উঠল এবার।
বালুরঘাটের উন্নয়ণ হলে গঙ্গারামপুরকে কেন বঞ্চিত করা হয় তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। আবার গঙ্গারামপুর অগ্রাধিকার পেলে একই প্রশ্ন তুলে সরব হয় বালুরঘাট সদরে বসবাসকারী মানুষ। এই নিয়ে রাজনীতিও কম হয় না দুই প্রান্তের রাজনৈতিক নেতা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে।
গঙ্গারামপুরে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হতেই নয়া বিপত্তি দক্ষিণ দিনাজপুরে। একসময় দক্ষিণ দিনাজপুরে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার দাবি নিয়ে সরব একমাত্র সামাজিক সংগঠন প্রত্যুষ ও ইকোফ্রেন্ড অরগানাইজেশান এবার আন্দোলনে নামতে চলেছে। বালুরঘাটে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি তুলে তারা সমস্ত স্তরের মানুষকে একত্রিত করেছে ইতিমধ্যে। এই নিয়ে জেলাশাসক এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ফেসবুক ও সোশ্যাল মিডিয়াতে বিরোধ শুরু হয়েছে গঙ্গারামপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরোধীতায়। ২০০৮ সাল থেকে জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার জন্য বালুরঘাটে আন্দোলন চলেছে। সেই আন্দোলন জেলার অন্য কোনো প্রান্তে দেখা যায়নি। তাই বিশ্ববিদ্যালয় হলে বালুরঘাটেই হোক সেই দাবিতে সরব শিক্ষক সমাজ থেকে বালুরঘাটবাসী। আগামীকাল থেকে বালুরঘাট ও হিলিতে গণস্বাক্ষর আন্দোলনে নামতে চলেছে আন্দোলনকারীরা।
শিক্ষক তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপন আন্দোলনের প্রধান কান্ডারি কৃষ্ণপদ মণ্ডল জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি নিয়ে তারাই একমাত্র আন্দোলন চালিয়ে গেছেন শিক্ষক, চিকিৎসক, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষাবিদ ও সমাজের বিশিষ্ট শিক্ষা অনু
480;াগী মানুষদের নিয়ে। অথচ আজ যারা গঙ্গারামপুরে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা কখনও এই আন্দোলনে ছিলেন না। তাদের দাবি বালুরঘাটে এটি স্থাপন হোক। সব জায়গাতে জেলার সদরে বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এখানে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে সেটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। তা তারা হতে দেবেন না। এই নিয়ে তারা মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন।
বালুরঘাটের বিশিষ্ট নাট্য নির্দেশক জিষ্ণু নিয়োগী জানান, একইরকম ভাবে আগে গঙ্গারমপুরকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হেড কোয়ার্টার করার চেষ্টা চলেছিল। এবার বিশ্ববিদ্যালয়কে সেখানে করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। অথচ বালুরঘাট সদরে কলেজের সংখ্যা অনেকটা বেশি গঙ্গারামপুরের তুলনায়। তারা প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন। শিক্ষা-দীক্ষা, সংস্কৃতি এবং এলাকার গুরুত্ব না দিয়ে চলছে রাজনৈতিক অভিসন্ধি। এর প্রতিবাদে তারা।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ণ পর্ষদের সদস্য বিপ্লব মিত্র বলেন, জেলার পড়ুয়াদের সুবিধার কথা তারা ভাবছেন। সেখানে কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধি বা অঞ্চলগত বিভেদ নেই। সবদিক থেকে বিচার করলে গঙ্গারামপুর বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য।