October 4, 2024

‘কন্যাশ্রী’তে মুগ্ধ হয়ে ভোট-রাজনীতিতে নাম লেখাচ্ছেন শিক্ষিতা তরুণীরাও উত্তর দিনাজপুরে

1 min read

তন্ময় চক্রবত্তী ঃ- মুখ্যমন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প
কন্যাশ্রীতে মুগ্ধ হয়ে ভোট-রাজনীতিতে নাম লেখাচ্ছেন শিক্ষিতা তরুণীরাও।
শুধু তাই নয়
, কোনও
কোনও
কন্যাশ্রীও এবার প্রার্থী
হয়েছেন। কারও বয়স ২১
, কেউ বা সবে ২৪এ পা দিয়েছে। কেউ স্নাতকস্তরে পড়ছে। কেউ সদ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে
ঢুকছে। 

মুখ্যমন্ত্রীর কন্যাশ্রী’, ‘সবুজ সাথী’, ‘খাদ্য সাথীপ্রভৃতি প্রকল্পগুলি উত্তর দিনাজপুর জেলার  মতো পিছিয়ে পড়া এলাকার মেয়েদের মনে দাগ কেটেছে।
তাই শাসকদলের তরফে যখন প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব আসে
, একবাক্যেই রাজি হয়েছেন তাঁরা। সকলেরই
বক্তব্য
, মুখ্যমন্ত্রীর
মতো যদি মানুষের জন্য কিছু করা যায়
,
তার আনন্দ পড়াশুনা করার থেকে অনেক বেশি।কেউ
লড়ছেন জেলা পরিষদের আসনে, কেউবা গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতিতে। জেলা তৃণমূলের
সভাপতি বলেন
, এবার
এরকমই বেশ কয়েকজন আমাদের দলের অন্যতম সম্পদ হয়ে উঠতেচলেছে।

 এবার জেলা পরিষদের আসনে প্রার্থী হয়েছেন এমন একজন এর  বয়স মাত্র ২১ বছর। শাসকদলের কনিষ্ঠতম প্রার্থী
তিনি। সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও সংরক্ষিত আসনে তাঁকে প্রার্থী হওয়ার
ব্যাপারে বলা হলে একবাক্যে রাজি হয়ে যান।
ঐ যুবতী জানান  পড়াশোনাটা করতে পারছি তো মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই। কন্যাশ্রীর
সুবিধা পাচ্ছি। আমার মতো বহু মেয়ে এই সুবিধা পাচ্ছে। উচ্চশিক্ষাতেও এই সুবিধা
পাওয়া যাচ্ছে। এইটুকুই তো আমরা চেয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী আদর্শ ভালো লাগে। ওঁর
প্রত্যেকটা প্রকল্প মানুষের চাহিদা পূরণ করছে। পাশাপাশি পড়াশুনাটাও করতে চাই।
 ওপর এক জনের  বয়স ২২ বছর। কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন
তিনিও

সে বলেন, মেয়েদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কন্যাশ্রীআশীর্বাদ। আমরাও
এরকম কাজ করতে চাই। উনিই
আমার আদর্শ।এদিকে আর একজন বলেন, আমার বয়স পেরিয়ে যাওয়ায় হয়তো কন্যাশ্রীর সুবিধা আমি পাইনি।
কিন্তু
, আমার মতো বহু
মেয়ে এই প্রকল্পে উপকৃত হচ্ছে। আমিও এভাবেই এরকম কাজ করে মানুষের
পাশে দাঁড়াতে চাই। কালিয়াগঞ্জ এর মালগাও গ্রামের একজন বলেন, আমার বোন কন্যাশ্রীর সুবিধা পাচ্ছে। সাইকেল পেয়েছে। আমিও দেশের
জন্য কিছু করতে চাই।

 তাই রাজনীতিতে আসা। উল্লেখ্য, কন্যাশ্রী
প্রকল্পে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সি মেয়েরা বছরে সাড়ে সাতশো টাকা পায়। এরপর পড়াশুনা
চালিয়ে গেলে অর্থাৎ কলেজে পড়ার জন্য এককালীন ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। স্নাতকোত্তর
স্তরে বিজ্ঞান শাখায় পড়লে মাসে আড়াই হাজার টাকা
, কলা বিভাগের জন্য ২০০০ টাকা দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *