কালিয়াগঞ্জ ব্লকের সুরসা বর্মনপাড়ায় প্রচুর টাকার লোভ দেখিয়ে কিডনি পাচার করার লোক ঠিক করতে এসে পুলিশের হাতে ধরা পড়লো হেমতাবাদের মনীন্দ্র বর্মন

তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,২২জানুয়ারি:এক গ্রামবাসীকে প্রচুর টাকার লোভ দেখিয়ে তার কিডনি নেবার ব্যাবস্থা করে কলকাতায় নিয়ে যাবার পূর্ব মুহূর্তে গ্রাম বাসীদের হাতে ধরা পড়লো উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ ব্লকের মজমবাড়ি এলাকার মনীন্দ্র বর্মন।ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকালে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের সুরশা গ্রামের বর্মন পাড়ায খোঁজ নিয়ে জানা যায় দীর্ঘদিন ধরেই হেমতাবাদের মনীন্দ্র বর্মন সুরশা গ্রামের অনন্ত বর্মনকে ৬ লাখ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে তার কিডনি দেবার জন্য দিনের পর দিন সুরসা গ্রামে এসে তাকে নানাভাবে লোভ দেখতো। 

 

অনন্ত বর্মন রাজি হয়েও আবার গড় রাজি হতেন। বুধবার আবার বেশ কয়েকদিন পর সুরসা গ্রামের বর্মন পাড়ায় এসে অনন্ত বর্মনের সাথে দেখা করতে আসে এবং তাকে প্রলোভন দেখায় প্রচুর টাকার। কিন্তু কোন ভাবেই অনন্ত রাজি হয়নি। এক কান দুকান হতেই সুরশা গ্রামের গ্রামবাসীরা সমস্ত ঘটনা তাদের দুজনকে গোপনে শলাপরামর্শ করলে গ্রাম বাসীদের সন্দেহ হয়।তখন গ্রাম বাসীরা গ্রামের অনন্ত বর্মনের সাথে কথা বলে জানতে পারে কাকে দীর্ঘদিন থেকেই এই মনিন্দ্রনাথ বর্মন তার কিডনি নেওয়ার জন্য ৬ লাখ কুড়ি হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এই ঘটনা জানার পর গ্রামবাসীরা মনীন্দ্রনাথ বর্মনকে ধরে ফেলে এবং কালিয়াগঞ্জ থানার খবর দিলে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে মনীন্দ্র বর্মনকে তুলে দিলে পুলিশ মনিন্দ্র বর্মনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় কালিয়াগঞ্জ থানায়। জানা যায় রায়গঞ্জ ব্লকে বিন্দোলের জালিপাড়া গ্রাম কিডনি পাচারের এক সময় পিঠস্থান হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এক সময় জালি পার গ্রামবাসীদের ব্যবসায়ী ছিল এই কিডনি পাচার করা। এখনো বিন্দোল গ্রামের জালি পারা গ্রামে খুঁজলে পরে অনেক মানুষের একটি করে কিডনি পাওয়া যাবে। কারণ বিন্দোল গ্রামের জালি পাড়ার হতদরিদ্র মানুষদের চাকরির লোভ দেখিয়ে বেশিরভাগ মানুষদের কলকাতায় নিয়ে গিয়ে তাদের অজান্তে একটি করে কিডনি কেটে নিয়ে হাতের সামান্য টাকা দিয়ে ছেড়ে দিত।সেই থেকে একসময় বিন্দলের জালিপাড়া গ্রামের নাম সংবাদের শীর্ষে ফান করে নিয়েছিল। সেইভাবে শুরু না হলেও আবার হয়তো কিডনি পাচারের দিকে হাত ছানি দেবার চেষ্টা করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *