পুরিয়া মহেশপুর-হরিহরপুর বেহাল রাস্তার সংস্কার না হবার প্রতিবাদে এলাকাবাসীরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে
1 min readপুরিয়া মহেশপুর-হরিহরপুর বেহাল রাস্তার সংস্কার না হবার প্রতিবাদে এলাকাবাসীরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,২০ অক্টোবর’: বার বার বেহাল রাস্তার সংস্কারের আবেদন নিবেদন প্রসাশনের কাছে এবং উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদ ও কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির কাছে করেও কোন সুরাহা না হওয়ায় কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ধনকোল গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন পুরিয়ামহেশপুর-হরি হরপুরের মত গুরুত্বপূর্ন রাস্তার সংস্কার না হওয়ায় গ্রাম বাসীরা ব্যাপক আন্দোলনের পথে।জানা যায় যে রাস্তা দিয়ে ৬৪ টি মৌজার কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত একমাত্র ভরসা ।সেই রাস্তার ৬ মিটার খানা খন্দে ভরা।প্রায় প্রতিদিন হয় মোটর সাইকেল অথবা অন্য যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে।
গোবিন্দপুর এলাকার গ্রামবাসী বিপিন সরকার বলেন কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপা সরকার কথা দিয়েছিলেন দুর্গাপূজার আগেই এই রাস্তার সংস্কারের কাজ হয়ে যাবে।কথা রাখেনি।বিপিন সরকার বলেন গত ২০০১ সালে কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি ধনকোল-পুরিয়া মহেশপুরের দিকে যাবার জন্য ৬০০মিটার রাস্তার কাজ করেছিল।এরপর ২০০২ সালে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদ ৬০০ মিটার রাস্তার কাজ যেখানে শেষ হয় সেখান থেকে পুরিয়া মহেশপুর পর্যন্ত রাস্তাটি প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা মাধ্যমে এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি তৈরিকরেছিল।
দীর্ঘ দিন বাদে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষধের পক্ষ থেকে দুর্গা পূজার আগে তাদের প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার রাস্তাটির সংস্কার করা হলেও আশ্চর্যজনক ভাবে কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি অধিনে করা যে ৬০০ মিটার রাস্তা করেছিল সেই রাস্তার বেহাল অবস্থা দেখেও এই রাস্তাটি সংস্কার করা হয়নি পূজার আগে।।ফলে পূজার মধ্যে এই রাস্তা হাজার হাজার মানুষদের কি ভাবে হয়রানি করছে টস ভুক্তভোগী মানুষেরাই খুব ভালো করে জানে।
এ ব্যাপারে বিজেপির জেলা পরিষদ সদস্য কমল সরকারের সাথে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।যদিও জেলা পরিষদ সদস্য কমল সরকার তার দায়িত্ব পালনে তিনি ব্যার্থ হয়েছেন ভ্রাম বাসীরা জানান। অপর এক জেলা পরিষদ সদস্য দধি মোহন দেবশর্মা বলেন তার এলাকার মধ্যে এই বেহাল রাস্তাটি না থাকলেও তিনি ব্যাপারটা দেখবেন,কথা বলবেন উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে যাতে কিছু একটা করা যায়।
যেহেতু রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।গোবিন্দুরের লোকশিল্পী বিনয় মোহন্ত বলেন আমরা নিজেরাই দুয়ারে সরকারের উন্নয়নের গান লিখে গান গাই। মানুষকে দুয়ারে সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজ নিয়ে গান বেঁধে গ্রামে গঞ্জে প্রচার করি।অথচ আমাদের দুয়ারের রাস্তার মানুষজন রাস্তার সংস্যারের অভাবে রাস্তা দিয়ে চলা ফেরা করতে পারছেনা।খুব দুঃখের ঘটনা।সরকারের অবিলম্বে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন আছে বলে মনে করি।।
এলাকার গ্রামবাসী প্রদীপ সরকার এবং কাঞ্চন রায় জানান আগামী সাতদিনের মধ্যে যদি এই রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু না করা হয় তাহলে সাত দিন পরেই বিরাট রাস্তা রোখো আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব বলে জানান।কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপা সরকার বলেন আমরা দেখছি কি ভাবে এই রাস্তার কাজ দ্রুততার সাথে করা যায় সে নিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হবে।দীপা দেবী বলেন এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দিয়ে প্রচুর মানুষ চলাফেরা করে।সামান্য কিছুটা রাস্তা খারাপের জন্য প্রচুর মানুষদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।