আকাশছোঁয়া ফলের দাম হলেও বৃষ্টির মধ্যেই ঘরের মা লক্ষীরা ফলের বাজারে
1 min readআকাশছোঁয়া ফলের দাম হলেও বৃষ্টির মধ্যেই ঘরের মা লক্ষীরা ফলের বাজারে
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,১৯ অক্টোবর:সোমবার থেকে অনবরত বৃষ্টি ও কোজাগরী লক্ষী পূজার আগে আকাশ ছোয়া ফল ও সব্জির দামকে উপেক্ষা করে কালিয়াগঞ্জের ঘরের লক্ষীরা বেরিয়ে পড়েছে কালিয়াগঞ্জ পৌর বাজার ও মহেন্দ্রগঞ্জ বাজারে পূজার ফলফলারি ও সব্জি ক্রয় করতে। মঙ্গলবার সকালে মহেন্দ্রগঞ্জ বাজারে স্কুল পাড়া থেকে লক্ষী পূজার সামগ্রী কিনতে এসেছেনশ্রাবনী মিত্র,রিনা ব্যানার্জী,এবং সোমা আচার্য।তারা এক প্রশ্নের উত্তরে বললেন কিছু করার নেই।জিনিষ পত্রের দাম বৃদ্ধি পেলেও পূজাতো করতেই হবে।পেট্রল, ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পেলেও যেমন গাড়ি থেমে থাকেনা।
ঠিক এটাও আমাদের কাছে একরকম তাই। সুতরাং ফলের দাম যতই বাড়ুক লক্ষী পূজা যেমন করে হয় তেমন আড়ম্বরের সাথেই হবে।আর সে কারণেই দামের দিকে নজর না দিয়ে কি করে নিজের সামর্থের মধ্যেই মায়ের পূজা খুব ভালো করে করতে পারি সেই চেষ্টাই করছি।তাই আপেল ১০০টাকা কেজি,বেদানা-১২০-১৩০ টাকা,ন্যাসপাতি-১০০টাকা কেজি,7পানিফল-৪০-৫০টাকা কেজি দরে ফল বিক্রেতারা বিক্রি করছে।মুসম্বি বিক্রি হচ্ছে-৮০-৯০টাকা কেজি দরে, পেয়ারা বিক্রি হচ্ছে-৯০ টাকা, কলা ডজন বিক্রি হচ্চে ৪০-থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হলেও কিনতে হচ্ছেই।
অন্য দিকে সব্জির বাজারের অবস্থাটা ঠিক একই রকম।বাইরে থেকে সব্জি না আসার কারণেই নাকি সব্জির আকাশ ছোঁয়া দর।জানা যায়বাঁধা কফি প্ৰতি কেজি ৫০ টাকা, ফুল কফি-৮০-১০০ টাকা, আলু-১৫ টাকা,বরবটি-৮০টাকা, পটল-৪০ টাকা,টমেটো-৮০ টাকা,বেগুন-৮০, এক অটি শাক-১৫টাকা,পালং শাকের আটি-১৫।একজোড়া নিলে২৫ টাকা। মঙ্গলবার লক্ষী পূজার শেষ বাজারে বিক্রেতারা খরিদ্দার বুঝে যার কাছে যেমন দাম নিতে পারে সেটাই করছে। কারন একটাই পূজা করতে এসব লাগবেই তাই করোনার বসে থাকার হিসাব টাও করায়গণ্ডায় এবার ফল ও সব্জি বিক্রেতারা ঝোপ বুঝে কোপ মারছে তা বাজারে গিয়েই বোঝা গেল।এদিকে কালিয়াগঞ্জ শহরে লক্ষীর প্রতিমা মিলছেনা।এবার নাকি বেশ কিছু লক্ষী প্রতিমা পাশের রাজ্য বিহারে চলে যাওয়ায় তা বাড়ন্ত বলে জানা যায়।