ড্রাগন ফল চাষ করে সাড়া ফেলে দিয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার করনদিঘি ব্লকের আলতাপুর ২ নং গ্ৰাম পঞ্চায়েত কুইতোর গ্রামের বাসিন্দা অজিত মাহাতো।
1 min readড্রাগন ফল চাষ করে সাড়া ফেলে দিয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার করনদিঘি ব্লকের আলতাপুর ২ নং গ্ৰাম পঞ্চায়েত কুইতোর গ্রামের বাসিন্দা অজিত মাহাতো।
প্রদীপ সিনহা রিপোর্ট করণদিঘি ড্রাগন ফল চাষ করে সাড়া ফেলে দিয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার করনদিঘি ব্লকের আলতাপুর ২ নং গ্ৰাম পঞ্চায়েত কুইতোর গ্রামের বাসিন্দা অজিত মাহাতো। এই ফল চাষ করে আয়ের মুখ দেখতে পাওয়ায় আগামীতে এই চাষকে আরো ব্যাপক আকারে নিয়ে যাবার চিন্তাভাবনা করছেন অজিতবাবু।উত্তর দিনাজপুর করনদিঘি ব্লকের কইতোর গ্রামের বাদিন্দা অজিত মাহাতো আর পাঁচটা কৃষকের মত ধান,ভূট্টা চাষ করতেন। এই প্রথাগত চাষ করে যে পরিমান খরচ হয় ফসল বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে পারেন না।
বিজ্ঞানের অগ্রগতি হওয়ায় এখন সব কিছু হাতের মুঠোয়। এন্ড্রোড ফোনের মধ্যমে ইউটিউব থেকে এই ড্রাগন চাষ দেখতে পান। কৌতুহল জাগে এই চাষটা কেমন। সেখানেই জানতে পারেন এই ফল খেলে মানুষ ২২ রকমের উপকার পাবেন। মানুষ এখন বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। জটিল রোগ রক্তপ্লতা, হৃদরোগ, ক্যান্সার সহ ২২ ধরনের রোগের ঔষুধ হিসেবে কাজ করে এই ড্রাগন ফল।
দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বংশীহারি ব্লকের গোপালপুর গ্রামে তার এক আত্মীয় বাবলু মাহাতো এই চাষ করে আর্থিক ভাবে ব্যাপক উন্নতি করেছেন। অজিতবাবুর একজন বর্ধিষ্ণু কৃষক। নিজের সাত থেকে আট বিঘা জমি আছে। সেই জমির অল্প কিছু জায়গায় এই ড্রাগন চাষ করলে আর্থিক দিক থেকে খুব বেশী সমস্যায় পড়বেন না।
সেই ভাবনা থেকে বংশীহারীর আত্মীয়ের কাছ থেকে বছর তিনেক আগে ১০ টি চারা নিয়ে আসেন। এই চাষের খুব বেশী খরচ হয় না। পরিচর্যার করে ব্যাপক সাফল্য আসে। বর্তমানে এক বিঘা জমি অজিতবাবু ড্রাগন চাষ করছেন। শুধু ড্রাগন চাষ করেই তিনি থেমে থাকেন নি।
সেই জমিতেই তিনি আঙ্গুর, কাজুবাদাম চাষ করছেন। অজিতবাবু জানান, পুরোপুরি জৈব সার দিয়ে এই চাষ করছেন। তাতে ফলের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। একদিকে যেমন ফল চাষ করছেন অন্য ড্রাগন ফলের চারাও তৈরী করছেন। উত্তর দিনাজপুর জেলা ছাড়াও বিভিন্ন জেলা থেকেও এই চারা কিনতে আসছেন।
ড্রাগনের ফলের চাহিদা বেশী থাকায় উত্তর দিনাজপুর জেলার টুঙ্গিদিঘি হাট এবং রায়গঞ্জের বাজারে এই ফল কেজি প্রতি ৫০০টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে। অজিতবাবুর আবেদন, উত্তর দিনাজপুর জেলায় প্রথম তিনি এই চাষ করলেও সরকারিভাবে এই চাষকে উৎসাহিত করতে বিডিও নিতীশ তামাং ও কৃষি আধিকারিক ধীরেন ছেত্রী এগিয়ে আসেন ।