কালিয়াগঞ্জের ধর্মীয়স্থানের পার্শ্ববর্তী মহেন্দ্রগঞ্জ বাজার যেন নরককুন্ডকেও হার মানাবে-
1 min readকালিয়াগঞ্জের ধর্মীয়স্থানের পার্শ্ববর্তী মহেন্দ্রগঞ্জ বাজার যেন নরককুন্ডকেও হার মানাবে-
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,১সেপ্টেম্বর:কালিয়াগঞ্জের ধর্মীয় স্থানের পাশে মহেন্দ্রগঞ্জ বাজারের আবর্জনা ফেলার জায়গা না থাকায় বাজার যেন নরককুন্ডকেও হার মানাবে।মহেন্দ্রগঞ্জ বাজার চত্বরে যাতে জল কাদা না ডিঙিয়ে বাজার করতে পারে তার জন্য রায়গঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ আনুমানিক এক কোটি টাকা ব্যয়ে বাজার চত্বরকে পাকা করে দেয়।সাধারণ মানুষ কিছুদিন ভালোভাবেই বৃষ্টি বাদলের মধ্যেও বাজার ঘাট অতি সহজেই করতে পারতো।কিন্তূ বাজারের ভেতরের পাকা কাজ এতটাই নিম্ন মানের করা হয় বর্তমানে পাকা কাজের সমস্তটাই নষ্ট হয়ে যাবার ফলে মহেন্দ্রগঞ্জ বাজারের আগের চেহারা আবার ফিরে এসেছে।ফলে বৃষ্টি হলেই মহেন্দ্রগঞ্জ বাজার যেন নরকুণ্ডের চেহারা নিয়ে থাকে।
যেখানে সেখানে জমে থাকে আবর্জনার স্তূপ।ফলে।মহেন্দ্রগঞ্জ বাজারে আসা মানুষদের দুর্ভোগের সীমা নেই।এ ব্যাপারে মহেন্দ্রগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক প্রকাশ কুন্ডু এক সাক্ষাৎকারে বলেন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার প্রশাসককে বলা হয় প্রতিদিন যেন একবার করে বাজার চত্বরটির আবর্জনা গাড়ি করে নিয়ে যাবার ব্যবস্থা করা হয়। তাহলে মহেন্দ্রগঞ্জ বাজার চত্বরটি পরিষ্কার রাখা সম্ভব হতে পারে।প্রকাশ কুন্ডু বলেন প্রতিদিন সকালে বিকালে কয়েক হাজার ক্রেতাদের
যেমন আনাগোনা তেমনি বাজারে আনুমানিক পাঁচশোর বেশি দোকানদার এই বাজারে স্থায়ী ও অস্থায়ী ভাবে বসে দোকান করে।ফলে নানান ধরনের সব্জি পচে গিয়ে দুর্গন্ধ যেমন বের হয় তেমনি জল কাদার মধ্যে এই সব পচনশীল দ্রব্যগুলি যেখানে সেখানে পরে থাকায় বাজার যেন নরককুণ্ডে পরিণত হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রসাশক শচিন সিংহ রায় বলেন মহেন্দ্রগঞ্জ বাজারটি আসলে পরিচালনা করে থাকে মহেন্দ্রগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতি।বাজার ব্যবসায়ী যখন বাজার পরিষ্কার করবার প্রস্তাব দেয় তখন পৌর সভা থেকে পরিষ্কার করা হয়।তাই মহেন্দ্র গঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির উচিৎ বাজারের সমস্ত আবর্জনা ফেলার একটা নির্দিষ্ট স্থান নির্বাচন করলে পৌর সভা থেকে নিশ্চয় তাদের সহযোগিতা করা হবে বলে জানান।মহেন্দ্রগঞ্জ বাজারকে নরককুন্ড থেকে মুক্ত করতে সবার একযোগে কাজ করা উচিৎ বলেই পৌর প্রসাশক মনে করেন।