মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প আজ বিশ বাঁও জলে। টাকা বাকি তাই থমকে মাতৃযান এর গাড়ির চাকা কালিয়াগঞ্জ এ
1 min readমুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প আজ বিশ বাঁও জলে। টাকা বাকি তাই থমকে মাতৃযান এর গাড়ির চাকা কালিয়াগঞ্জ এ
তনময় চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প আজ বিশ বাঁও জলে। গ্রামের প্রসূতি মহিলাদের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সুচিকিৎসার জন্য মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং শুরু করেছিলেন মাতৃযান প্রকল্প।এই প্রকল্পের অধীনে মাতৃযান চালকেরা আজ গাড়ি চালাতে নারাজ।দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া টাকা না পাওয়ার অভিযোগ তুলে গাড়ি চালানো থেকে বিরত চালকেরা।কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল,এমনকি মালদা মেডিক্যাল কলেজের অধীনে রয়েছে কয়েক শতাধিক মাতৃযান।
আজ থেকে থেকে কয়েকশো মাতৃযান চালক হাতে প্লাকার্ট নিয়ে কর্মবিরতির ডাক দেন।তাদের অভিযোগ,দীর্গ প্রায় দশ মাস ধরে কোনো বকেয়া টাকা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে পাননি তারা।বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়ে এমনকি স্বাস্থ্য বিভাগে জানিয়েও কোনো লাভ না হওয়ায় চালকেরা আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।তাদের দাবি যতক্ষন বকেয়া টাকা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে দেওয়া হচ্ছে না ততক্ষণ চলবে এই কর্মবিরতি।কালিয়াগঞ্জ এর রাধিকাপুর এলাকার বাসিন্দা জানান,পুত্রবধূর প্রসব যন্ত্রনা ওঠার পর স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মীকে জানানো হলে মাতৃযান পাওয়া যাবে না বলে জানান।পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকায় অন্যের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে গাড়ি ভাড়া করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। তাদের অভিযোগ এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী রাজ্য সরকার । শুধুমাত্র কালিয়াগঞ্জ এই এমন অবস্থা নয় । জেলার প্রতিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র এমনকি সুপার এসপেশালিটি হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও একই ছবি । কোথাও দশ মাস কোথাও বা চার পাঁচ মাস ধরে এম্বুলেন্স চালকের পাচ্ছেন না তাদের বকেয়া টাকা । এমন অবস্থায় এম্বুলেন্স চালকদের কর্ম বিরতির জেরে রীতি মত নাজেহাল হতে হচ্ছে প্রসূতি মা থেকে তাদের পরিবারের আত্মীয়দের । এই কর্মবিরতির জেরে কার্যত দুর্ভোগে প্রত্যন্ত গ্রাম্য এলাকার রোগী সহ পরিজনেরা।