সেই চেনা হতাশা ,সেই চেনা আক্ষেপ । ‘৪২ লক্ষ মানুষের দেশ বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলছে। আর ভারত কী করছে? ১৩০ কোটি জনসংখ্যার দেশে ১১ জন ফুটবলার পাওয়া যায় না? যারা বিশ্বকাপ খেলতে পারে?’
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে পাড়ার চায়ের দোকান। এই হতাশা বারবার ফিরে আসে। ফিরে আসে প্রতি ফুটবল বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপ ফুটবল তো একটা উৎসব। শুধু যে দেশে অনুষ্ঠিত হয়, সেই দেশেই নয়। উন্মাদনার রেশ দেশ, মহাদেশের বেড়াজাল ছিঁড়ে ছড়িয়ে পড়ে গোটা পৃথিবীর কোণায় কোণায়। আফ্রিকার কোন প্রত্যন্ত দেশে খিদে পেটে ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখা কোন শিশু। ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরের ঘিঞ্জি বস্তিতে স্ট্রিট ফুটবল খেলা কিশোর। কিংবা মাত্র ২০০ টাকার জন্য মফস্বল থেকে কলকাতায় খেলতে আসা ফুটবলার। বিশ্বকাপটা তাঁদের কাছে চার বছরের সেরা সময়। শেখার সময়। স্বপ্নের তারকাদের একসঙ্গে দেখার সময়। প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগের সময়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ভারতও পিছিয়ে থাকে না বিশ্বকাপের সময়। কখনও মনে হয় না, বিশ্বকাপে এদেশ শুধুই দর্শক। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানি, পর্তুগালের পতাকা উড়ছে ইতি উতি। মেসি-নেইমার-রোনাল্ডোদের বিশাল বিশাল কাটআউট। চেন ফ্ল্যাগে আকাশ দেখা দায়। কলকাতায় ফুটবল জ্বর তো বরাবরই বেশি। ফুটবলে মক্কা এ শহর। বিশ্বকাপের মরসুমে মেসি, নেইমাররা ঢুকে পড়েন বাড়ির হেঁশেলে। রাত জেগে ফুটবল দেখে পরের দিন ঘুম চোখে অফিস যাওয়াটাও যেন উৎসবেরই একটা অংশ। প্রিয় দলকে সমর্থন। গলা ফাটানো। জেতার আনন্দে উৎসব। হারের কষ্টে মনখারাপ। বিশ্বকাপ যেন এ’দেশের ফুটবলপ্রেমীদের ভীষণ নিজস্ব আপন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তবু উৎসবের পরিবেশে সেই চেনা মন খারাপ। ভারত কবে বিশ্বকাপ খেলবে? সেই এক প্রশ্ন। ভারত ফুটবল বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায়নি। প্রতি বিশ্বকাপ শেষ হলেই আলোচনা শুরু হয়। প্রশ্নের ঝড় ওঠে। চায়ের কাপে তুফান ওঠে। অনেক কমিটিও তৈরি হয়। ময়নাতদন্ত হয়। রিপোর্ট নিয়ে কেউ আর মাথা ঘামায় না। বছর ঘোরে। প্রশ্ন পালটায় না। এত মানুষের দেশ। অর্থনৈতিকভাবেও অনেক দেশের থেকে শক্তিশালী। তবু কেন পারে না ভারত?
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ক্রিকেটের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার বাড়তি নজর দেয়, ফুটবল অবহেলিত—এই যুক্তিগুলিতে সময়ের স্রোতে ঘুন ধরেছে। আর্থিক বঞ্চনারও সব অভিযোগও কি সত্যি? অন্তত আই এস এল শুরুর পর ভারতীয় ফুটবলে টাকার জোগান নেই, এ কথা বলা কঠিন। আই এস এল-এ অর্থ আছে। চাকচিক্য আছে। উন্নতি আছে কি? ভারতীয় ফুটবলের আখেরে কি লাভ হচ্ছে? অনেকেই বলছেন আই এস এল-এ ভারতীয় ফুটবলারদের সুযোগ কম। বিদেশির সংখ্যা বেশি। বিদেশিদের মান নিয়েও বিতর্ক। আই এস এল-এর ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ছুটছে নামের পিছনে। ফুটবলজীবনের শেষপর্বে দাঁড়িয়ে থাকা বিশ্বফুটবলে পরিচিত মুখদের হাজির করা হচ্ছে। তাতে লাভ? নাম দেখে স্পনসর পাচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। লাইমলাইটে চলে আসছে। কিন্তু দর্শকরা কি পাচ্ছে? চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছে নায়কদের। আর? বয়সের ভারে দাঁড়িয়ে থাকা। কয়েক মিনিট খেলে বসে যাওয়া। একটা ফ্রিকিক। একটা ডজ। পাশে থাকা ভারতীয় ফুটবলারদের লাভ? অর্থের যখন অভাব নেই তখন কেন ভালো মানের কমবয়েসী বিদেশিদের নিয়ে এসে খেলার মান উন্নত করা হচ্ছে না? এই প্রশ্ন করছেন অনেকেই। ভারতীয় ফুটবলারের সংখ্যা বাড়ানোর পক্ষেও সওয়াল উঠছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অনেক স্বপ্ন নিয়ে আই লিগ চালু করেছিলো ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। আশা ছিলো জাপানের ‘জে লিগ’ এর আদলে হবে এই লিগ। এশিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ লিগ হয়ে উঠবে। বর্তমানে নামেই আই লিগ দেশের সেরা লিগ। আই এস এল-এর পাশে জৌলুসহীন। চলতে হয় তাই চলছে। ৪০ ডিগ্রি গরমে ম্যাচ হচ্ছে দুপুর দুটোয়। যে দল পারছে চলে যাচ্ছে আই এস এল-এ। যারা পারছে না হয় দল তুলে নিচ্ছে অথবা কোনভাবে খেলার জন্য দল করছে। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ডেম্পো দল তুলে নিয়েছে বহুদিন। গোয়ার বাকি ফুটবল ক্লাবগুলোও পাততাড়ি গোটাচ্ছে। একসময়ে ভারতীয় ফুটবলকে শাসন করা গোয়ার ফুটবলের এখন শুধু কঙ্কাল পড়ে আছে। কলকাতার দুই ক্লাব লড়ে যাচ্ছে আই এস এল-এ সুযোগ পেয়ে নিজেদের জায়গা ধরে রাখার।
একদিকে যখন আই এস এল-এ কোটি কোটি টাকা তখন অন্য ছবি দেশের বিভিন্ন আকাদেমিগুলোর। একের পর আকাদেমি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। নতুন আকাদেমির সংখ্যাও হাতে গোনা। শেষ কয়েক বছরে উত্তর-পূর্ব ভারতের ফুটবলাররা দেশের ফুটবলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। দেশের বাকি অংশ থেকে তেমন ফুটবলার জোগান কোথায়? এই রাজ্যের ফুটবল আকাদেমিগুলোরও অবস্থা তথৈবচ। তৃণমূল স্তরে ফুটবলার তুলে আনার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা যেন আষ্টেপৃষ্টে চেপে ধরেছে এদেশের ফুটবলকে। আই এস এল-এর চাকচিক্যেও যা ঢাকা যাচ্ছে না।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তাহলে কি শুধুই কি হতাশাই সম্বল ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীদের? কোন আশার প্রদীপই কি জ্বলছে না? অনেক না পাওয়ার মরুভূমিতে কিন্তু মরুদ্যানও আছে। মরুদ্যানের নাম ভারতীয় ফুটবল দল। মরুদ্যানের নাম সুনীল ছেত্রী। মরুদ্যানের নাম অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই, ভারতীয় ফুটবল ইতিহাসে সবথেকে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে গেছে গত বছরের অক্টোবরে। ভারতে অনুষ্ঠিত হয়েছে অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ। সফলভাবে। প্রশংসা এসেছে স্বয়ং ফিফা থেকে। ফিফা সভাপতি জোর গলায় বলছেন, ‘ভারত এখন ফুটবলের দেশ।’ আয়োজক দেশ হিসাবে প্রথমবারের জন্য ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে ভারত। তিনটি ম্যাচেই হারতে হয়েছে। তবু অভিজিৎ সরকার, জিকসন সিং, রহিম আলি, ধীরাজ সিং, সঞ্জীব স্ট্যালিনদের ভারতীয় দল বুঝিয়ে দিয়েছে খুব একটা পিছিয়ে নেই ভারত। আর কোনভাবেই অসহায় আত্মসমর্পণ নয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপে খেলা এই দলকেই ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করছে এ আই এফ এফ। ইন্ডিয়ান অ্যারোজ নামে তারা অংশ নিচ্ছে আই লিগে। খেলতে যাচ্ছে বিদেশের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায়। পরের অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়েছে ভারত। এবার আর আয়োজক দেশ হিসাবে নয়। যোগ্যতাঅর্জন করে খেলতে চায় তাঁরা। অনূর্ধ্ব ১৬ দলকে নিয়ে তাঁরই প্রস্তুতি নিচ্ছেন কোচ বিবিয়ানো ফার্নান্ডেজ। সেই দলও স্বপ্ন দেখাচ্ছে। কয়েক মাস পরেই যোগ্যতার্জন পর্বের প্রতিযোগিতা। সফল হলে আরও এক দিগন্ত খুলে যাবে ভারতীয় ফুটবলের।
ছোটরা যখন স্বপ্ন দেখাচ্ছে সিনিয়র ভারতীয় ফুটবল দল তখন সাহস যোগাচ্ছে। স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের দল ছুটছে অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো। ১৩ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর এই বছরের ২৭শে মার্চ কিরঘিস্তানের কাছে হেরেছে ভারত। সদ্য ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে। ২০১৮ বিশ্বকাপের যোগ্যতার্জন পর্বের ব্যর্থতার পর ভারতীয় ফুটবল দলের ফর্ম মুখ বন্ধ করিয়েছে অনেক সমালোচকের। অনেকেই বলছেন ভারত যে দলগুলোর সঙ্গে খেলছে তারা দুর্বল। তবু ভারতীয় ফুটবল দলের কৃতিত্ব অস্বীকার করার উপায় থাকছে না। ৭ বছর পর এ এফ সি এশিয়ান কাপে খেলার জন্য যোগ্যতার্জন করেছে ভারত। শেষবার ২০১১ সালে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে এক রাশ লজ্জা নিয়ে ফিরেছিলো ভারতীয় দল। তিন ম্যাচে ১৩টি গোল হজম করেছিলো ভারত। ২০১৯ সালে জানুয়ারি মাসে সংযুক্ত আরব আমীরশাহীতে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। গ্রুপ পর্যায়ের বাধা কাটিয়ে পরের রাউন্ডে যেতে বদ্ধপরিকর ভারতীয় দল।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ভারতীয় দল মানে একটা নাম আসবেই— সুনীল ছেত্রী। ভারতীয় দলের জার্সিতে সবথেকে বেশি ম্যাচ খেলার নজির তৈরি করেছেন। সবথেকে বেশি গোলও তাঁর। ১০১টি ম্যাচে ৬৪টি গোল করেছেন সুনীল। অনেকেই বলছেন সুনীলই ভারতীয় ফুটবলের সেরা ফুটবলার। সুনীল স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। ভারতীয় ফুটবল দলের ম্যাচে ফাঁকা পড়ে থাকে স্টেডিয়াম। হাজার চেষ্টা করেও কিছু করতে পারছিলো না ফেডারেশন। সুনীল সমর্থকদের মাঠে আসার অনুরোধ জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন। নড়ে যায় গোটা দেশ। ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের বাকি ম্যাচগুলোর টিকিট শেষ হয়ে গিয়েছিলো মুহূর্তে। সুনীল এখন ভারতীয় ফুটবলে একটি ‘ব্র্যান্ড’। তবে শুধু সুনীল নয় জেজে, সন্দেশ ঝিনগান, প্রীতম কোটাল, বলবন্ত, গুরপ্রীতরা অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। হয়তো ২০২২-এ কাতার বিশ্বকাপের স্বপ্ন, অথবা ২০২৬। হতাশার মাঝেও স্বপ্ন দেখা থামছে না।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তবে মাঝেমাঝে সেই স্বপ্নগুলোকেই কেউ যেন গলা টিপে খুন করছে। প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত। কয়েকদিন আগেই তারই একটি জ্বলন্ত উদাহরণ দেখা গেলো। ১৮ই আগস্ট থেকে ইন্দোনেশিয়াতে শুরু হচ্ছে এশিয়ান গেমস। ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ চলার সময়ই ভারতীয় দলের কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন অনুরোধ করেছিলেন এশিয়ান গেমসে ভারতীয় ফুটবল দলকে খেলার সুযোগ দেওয়া হোক। অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন সেই অনুরোধে কান দেয়নি। এই প্রতিযোগিতায় দেশগুলোর অনূর্ধ্ব ২৩ ফুটবল দল অংশ নেয়। ভারতীয় দলে প্রায় ৪০শতাংশ ফুটবলারের বয়সই ২৩-এর মধ্যে। ভারতীয় ফুটবল কোচ চেয়েছিলেন বড় মঞ্চে খেলে এ এফ সি এশিয়ান কাপের আগে নিজেদের তৈরি করুক ফুটবলাররা। এশিয়ান গেমসে সাধারণত দলগত বিভাগে নির্দিষ্ট খেলায় এশিয়ার মধ্যে ১-৮ এ থাকা দলগুলো অংশ নেয়। তবু ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন চেয়েছিলো ভারতীয় দলের বর্তমান পারফরম্যান্সের উপর বিচার করে সুযোগ দেওয়ার জন্য। এও জানিয়েছিলো দলের সব খরচ দেবে এ আই এফ এফ। কেন্দ্রীয় সরকারও সবুজ সংকেত দিয়ে দেয়। তবু ভারতীয় ফুটবল দলকে এশিয়ান গেমসে পাঠাতে রাজি হয়নি অলিম্পিক অ্যসোসিয়েশন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
২০১৫ সালের মার্চে ভারতীয় ফুটবল দলের ফিফা র্যাঙ্কিং ছিলো ১৭৩। বর্তমানে ৯৭। ভারতীয় ফুটবল এগোচ্ছে। হাজার বাধা সত্বেও এগোচ্ছে। রাশিয়া যদি ফিফা ক্রমতালিকার ৭০তম স্থানে থেকে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে পারে, তাহলে ভারত নয় কেন? স্বপ্ন দেখা কিন্তু শুরু হয়ে গেছে। প্রহর গোনাও। ফিফা বিশ্বকাপের মঞ্চে জাতীয় সংগীত শোনার। অনন্তকালের অপেক্ষা হয়তো মিটতে চলেছে। আর তো কিছুদিন। হয়তো ২০২২-এই। সাহস করে স্বপ্নটা দেখাই যাক না।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মহাশয ,
আমি পরেশ চন্দ্র দাস একজন দীর্ঘদিনের সাংবাদিক ও লেখক । লেখালেখির পাশাপাশি সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয়ে দীর্ঘ সাফল্যের জন্য বহু পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছি । আমি পেশায় একজন রেলকর্মী । আমার স্থায়ী নিবাস উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার টাকীতে । ।কিন্তু কর্মসূত্রে আমাকে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার কাঁচরাপাডায থাকতে হয় । আমি আপনাদের সাথে সংবাদ সংক্রান্ত বিষয়ে যুক্ত হতে চাই । সেই জন্য আমার এই আবেদন । সুতরাং এবিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ শীঘ্রই জানালে খুবই উপকৃত হবো । আমার WHATSAPP + MOBAIL – – 9143617166
EMAIL – – dasparesh486@gmail.com
আপনারা সবাই খুব ভালো থাকুন । সুস্থ থাকুন । ঈশ্বরের সহস্র আশীর্বাদ আপনার মাথায় ঝরে পডুক । চরৈবেতী, চরৈবেতী l ধন্যবাদ । নমস্কার