October 23, 2024

রায়গঞ্জ লোকসভা আসনে দীপা দাসমুন্সীর বিরুদ্ধে তেমন ঝাঁঝালো বক্তব্য নেই।

1 min read


জয়ন্ত বোস, বর্তমানের কথা। চরাম চরাম ঢাকের শব্দের মতো  বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বদের একে অপরের বিরুদ্ধে তাদের দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনের বক্তব্যের  ঝাঁঝালো আওয়াজ এই মুহূর্তে সরগরম হয়ে উঠেছে রায়গঞ্জ লোকসভা নির্বাচনী ময়দান। আর মাত্র ১৩ দিন পর ১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে চলেছে দ্বিতীয় দফায় রায়গঞ্জ লোকসভা আসনের নির্বাচন।


 চতুর্মুখী এই আসনের নির্বাচনী ভোট যুদ্ধে প্রার্থীরা হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কানাইলাল আগরওয়াল, বিজেপির দেবশ্রী চৌধুরী, কংগ্রেসের দীপা দাসমুন্সী এবং বামফ্রন্টের মহম্মদ সেলিম। এই নির্বাচন উপলক্ষে মাঠে ময়দানে নেমে পরেছেন প্র

তিটি রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা, কর্মীরা তাদের দলের মনোনীত প্রার্থীর সমর্থনে এবং প্রচারে বক্তব্যের ঝাঁঝালো আক্রমনে যখন ভোট প্রচার তুঙ্গে ঠিক সেই সময়ে রায়গঞ্জ লোকসভা আসনের অন্তর্ভুক্ত সাতটি বিধানসভা এলাকা কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ, রায়গঞ্জ, করনদীঘি, ইসলামপুর, গোয়ালপুকুর এবং চাকুলিয়া এলাকাগুলোতে ভোটারদের মধ্যে অনেককেই বলতে শোনা যাচ্ছে এবারের নির্বাচনী ময়দানে কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাসমুন্সীর বিরুদ্ধে কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস, বামফ্রন্ট এবং বিজেপি দলের নেতৃত্বদের ভাষণে তেমন ঝাঁঝালো বক্তব্যের আক্রমণ শোনা যাচ্ছে না।


এর কারণ হিসেবে অনেকেই বলছেন  এই অঞ্চলের জননেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রিয় রঞ্জন দাসমুন্সীর প্রয়াণে এলাকার ভোটারদের কাছে প্রয়াত প্রিয় দার প্রতি তাদের সেন্টিমেন্ট কে আঘাত না দেওয়ার জন্যই হয়তো দীপার বিরুদ্ধে তেমন ঝাঁঝালো বক্তব্য না রাখা। আবার অনেকে বলছেন এই অঞ্চলের মানুষের জন্য বিগত দিনে প্রয়াত নেতা, প্রাক্তন সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রিয় রঞ্জন দাসমুন্সীর মাধ্যমে কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ সার্বিক উন্নয়ন যা হয়েছিল তার সত্যতা আছে বলেই এবং সকলের স্বার্থে এইমস গড়ে তুলতে দীপা দাসমুন্সীর নেতৃত্বে যে আন্দোলন সেটা যে এলাকার সর্বস্তরের ভোটাররা জানে সেই সুচিকিৎসার পরিষেবা  থেকে বঞ্চিত হওয়া মানুষের সেন্টিমেন্ট কে আঘাত না করতেই হয়তো দীপার বিরুদ্ধে তেমন ঝাঁঝালো বক্তব্য না রাখার কারণ।


 আবার অনেককেই বলতে শোনা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সহ বর্তমানের রায়গঞ্জ লোকসভা এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের বেশিরভাগ সাংগঠনিক নেতৃত্বরা দীর্ঘদিন ধরে কিছুদিন আগ পর্যন্ত প্রয়াত নেতা প্রিয় রঞ্জন দাসমুন্সী এমনকি দীপা দাসমুন্সীর ঘনিষ্ঠ অনুগামী এবং বিগত দিনের রাজনৈতিক নির্বাচনী যুদ্ধের সৈনিক ছিলেন বলেই একটা আত্মকেন্দ্রিক সম্মানের তাগিদে দীপা দাসমুন্সীর বিরুদ্ধে ঝাঁঝালো কোন আওয়াজ তুলতে পারছেন না, পিছনে ভোটাররা কে কি ভাবে নেয় এই সংশয়ে।কেউ কেউ ভাবছেন বামফ্রন্টের নেতৃত্বরা যারা বক্তব্য রাখেন তারাও তেমনভাবে দীপা দাসমুন্সীর বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন না।এর কারণ হিসেবে সেই সকল ভোটাররা মত প্রকাশ করছেন বিগত ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দীপা দাসমুন্সী কে জয়ী করার লক্ষ্যে তার হয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখে বামফ্রন্ট নেতৃত্বদের প্রচার সেখানে কিভাবে একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে দীপা দাসমুন্সীর বিরুদ্ধে ঝাঁঝালো বক্তব্য রাখবেন এই সংশয়ে হয়তো এবারের নির্বাচনে দীপার বিরুদ্ধে তেমন কোন ঝাঁঝালো সুর বেজে উঠছে না বামফ্রন্ট নেতৃত্বদের ভাষণে। আবার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন দীপা দাসমুন্সীর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী নিজেই একজন মহিলা হয়ে তেমন ভাবে সরব হতে পারছেন না বিগত পাঁচ বছরে রায়গঞ্জের মাটিতে এইমস গড়ে তুলতে দীপা দাসমুন্সীর আন্দোলন কে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের অনুমোদন না দেওয়ার পাবলিক সেন্টিমেন্ট। তবে ইতিমধ্যেই প্রয়াত নেতা প্রিয় রঞ্জন দাসমুন্সীর সেন্টিমেন্ট কে হাতিয়ার করে ভোটারদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন তার খবর হয়তো অনেকেই রাখছেন না। আবার দীপা দাসমুন্সী এবারের নির্বাচনী প্রচারে প্রথম দফায় দেওয়াল লিখনে তেমন কোন জায়গা করে উঠতে পারেন নি কিন্তু ভোট প্রচার করতে গিয়ে তিনি বলেই ফেলেছেন প্রয়াত নেতা প্রিয় রঞ্জন দাসমুন্সীর প্রতি এই এলাকার মানুষের অগাধ শ্রদ্ধা, ভালোবাসায় তাদের মনের দেওয়ালে নাম লিখিয়ে তিনি ইতিমধ্যেই সকলকে ছাপিয়ে গিয়েছেন যা আগামী ২৩ মের নির্বাচনী ফলাফলে প্রকাশ পাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *