রিয়ান্স জয়সোয়াল ফাগুনের পূর্নিমায় আজ বসন্ত ।আর বসন্ত মানে একে অপরকে রাঙিয়ে দেবার দিন। বনে নয়, পাড়ায় পাড়ায়… মোড়ে মোড়ে… ফাগুন লেগেছে। ফাগুন আটের মনে, ফাগুন আশির মনেও। রঙের নেশায় তাই মাতাল সাধারন মানুষ।
অশোকে-পলাশে-শিমূলে… শহরছাড়া ঐ পথে… রঙের উৎসব গঞ্জে গঞ্জেও। কিন্তু কিছু মানুষ আসে এই রঙের উৎসব থেকে বঞ্চিত থেকে যায়। কোন এক কোনে হতাশ মনে বসে থাকে। সেই সব মানুষদের বসন্তের রঙে রাঙ্গিয়ে তুলতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারো নিজ উদ্যোগে বসন্ত উৎসব পালন করলো উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার নমিতা রায়। এই ওয়ার্ডে এক শ্রেনীর দুস্থ্য পরিবারের লোকেদের বসবায় রয়েছে। তাঁরা এই বসন্ত উৎসবে বঞ্চিত থেকে যায়।
তাদের মনে বসন্তের নানা রাঙে রঙিয়ে দিয়ে নিজের বাড়ির পাস্বস্থ্য ময়দানে বসন্ত উৎসবে আয়োজন করেন নমিতা দেবী। এদিন মঞ্চ বানিয়ে এলাকার দুস্থ্য মানুষদের মনরঞ্জনের জন্য অস্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের অয়োজন করেন। তার ওয়ার্ডের কোচিকাচারা অংশ গ্রহণ করে।
শুধু তাই নিয়ে তার ওয়ার্ডের দুস্থ্য মানুষদের মূখে হাসি ফোটাতে তাদের সাথে নাচ গানে অংশ গ্রহণ করে এবং রঙে রঙিয়ে দেয় কাউন্সিলার নমিতা রায়। বসন্ত অনুষ্ঠানের শেষে সবাইকে মিষ্টি মূখ করানো হয়। এদিনের বসন্ত অনুষ্ঠানকে ঘিড়ে ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের দুস্থ্য মানুষদের উৎসাহতা ছিল চোখে পড়ার মতো। কাউন্সিলার নমিতা রায় জানান,তার ওয়ার্ডে বেশির ভাগ মানুষ দুস্থ্য থাকায়,তারা রঙের উৎসব বসন্ত উৎসব থেকে বঞ্চিত থেকে যায়,তাদের মূখে হাসি ফোটানোর জন্য গত বছর থেকে তার ৩ নাম্বার ওয়ার্ডে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। এদিন সকল বয়সের মানুষ নানা রঙে মেতে উঠেন। তাদের জন্য কিছু করতে পেরে তিনি খুব খুশি। বসন্ত অনুষ্ঠানের শেষে সবাইকে মিষ্টি মূখ করানো হয়।