পুলিশ অফিসার পিনাকি সরকার এর মানবিক সাহায্যে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছেন কালিয়াগঞ্জের জয়া
1 min readতন্ময় চক্রবত্তী ঃ- নারী দিবশে এক অন্য নারির হদিশ মিলল উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এর হরিহর পুরে।এখানে নারীর রুপ দেখা গেল হাজার প্রতিবন্দকতার মধ্যে লড়াই চালানোর ।
হাজারো প্রতিবন্ধকতা কে জয় করে আগামী স্বপ্নের পিছনে ছুটছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ হরিহরপুরের এক অনন্য নারী জয়া বর্মন। প্রতিবন্ধকতা কে কিভাবে জয় করতে হয় তা দেখিয়ে দিয়ে আগা
মী লক্ষের দিকে এগিয়ে চলছেন দ্রুত গতিতে। তবে এই লড়াইয়ে তার বাধ সাধছে অর্থ। কিন্তু আজ সেই অর্থ নিয়েও মানবিক ভাবে জয়ার পাশে দাঁড়িয়ে এক মহা মানবিকতার পরিচয় দিলেন রায়গঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের বড়বাবু পিনাকি সরকার ।
মী লক্ষের দিকে এগিয়ে চলছেন দ্রুত গতিতে। তবে এই লড়াইয়ে তার বাধ সাধছে অর্থ। কিন্তু আজ সেই অর্থ নিয়েও মানবিক ভাবে জয়ার পাশে দাঁড়িয়ে এক মহা মানবিকতার পরিচয় দিলেন রায়গঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের বড়বাবু পিনাকি সরকার ।
অর্থ অনেকেরই আছে কিন্তু সেই অর্থ অনেকেই এখন বেশী খরচ করেন বিলাসিতার পিছনে।আবার অনেক মানুষ আছেন যারা খোজেন সমাজের নিপিরিত মানুষদের।যাদের একটু সাহায্যে করলে হয়তো বা সেই মানুষটা আগামীদিনে সমাজের কাছে কিছু অবদান রাখতে পারবে।এমনই একজন মানুষ হলেন রায়গঞ্জ ট্রাফিকের বড়বাবু পিনাকি সরকার।যিনি পুলিশের চাকরি করার পাশাপাশি এগিয়ে এলেন কালিয়াগঞ্জের হরিহর পুরের হতদ্ররিদ্র মেধাবী ছাত্রী জয়া বমনের পাশে।
রায়গঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের বড়বাবু পিনাকি সরকার
যে জয়া মাধ্যেমিকে ভালো ফলাফল করার পর তার দুইচোখে স্বপ্ন থাকা সত্তেও ভেবেছিল আথিক কারনে তাকে হয়তবা পড়াশুনা ছেড়ে দিতে হবে। কারন সেই সময় তার বাবা বেচে থাকলেও বয়েস জানিত কারনে কোন কাজ করার শক্তি ছিল না।আর তার মা সমান্য দুই একটি বাড়িতে পরিচারিকার করার সুবাদে যে অর্থ উপাজন করতেন সেই অর্থ দিয়ে সংসার চালাতে হত।
বিশিষ্ট সাংবাদিক তপন চক্রবতী জয়ার বাড়িতে গিয়ে জয়ার মায়ের হাতে টাকা তুলে দেন ছবি,,শঙ্কর গুপ্তা
তাই যখন আগামী দিনে জয়া ভাবছে তার পড়াশুনার খরচ কে জোগাবে? না কি লড়াই করে মাধ্যেমিকে ভালো ফল করার পড় ও মাঝ পথেই জীবন যুদ্ধে আথিক প্রতিবন্ধকতার কাছে তাকে হার মানতে হবে।
নারী দিবশে এক অন্য নারির হদিশ মিলল ছবি,,শঙ্কর গুপ্তা
এই চিন্তা যখন জয়াকে তারা করে বেরাচ্ছিল ঠিক তখন স্যোসাল মিডিয়ার দৌলতে জয়ার অথিক প্রতিবন্দকতার খবড় জানতে পারে ঠিক যেন ভগবানের রুপ ধারন করে মহান মানবিকতার পরিচয় দিয়ে জয়ার পাশে এসে দাড়ালেন জেলার বিশিষ্ট এক পুলিশ অফিসার তথা বর্তমানের রায়গঞ্জ ট্রাফিক বড়বাবু এই পিনাকি সরকার।
তিনি প্রথম থেকে জয়াকে আশ্বাস দেন অথের কারনে জয়াকে মাঝপথে পড়াশুনা ছাড়তে হবে না। তিনি তার পড়াশুনার যাবতীয় খরচ বহন করবেন। সেই সুবাদে প্রথম থেকে পিনাকি বাবু অথ সাহায্যে করে চলছেন জয়াকে পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য। জয়া কালিয়াগঞ্জ সরলা সুন্দরী হাইস্কুলে একাদশ শ্রেনীতে ভতি হওয়ার পর থেকে লাগাতার অথের যোগান দিয়ে চলছেন পিনাকি বাবু।পিনাকি বাবু বলেন, সমাজে এই সমস্ত মানুষদের পাশে থাকতে পেরে তিনি নিজেকে খুব ই গবিত বোধ করেন।
রায়গঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের বড়বাবু পিনাকি সরকার
তিনি বলেন জয়া খুব ই প্রতিভাবান মেয়ে। শুধুমাত্র তার বাধ সাধছে অথ। তাই তার কিছু সাহায্যে যদি আগামীদিনে জয়ার জীবনের চলার পথ ও তার স্বপ্ন কে সুন্দর করে তোলে তাহলে সমাজে এর চেয়ে তার বড় কিছু পাওনা আর কিছু হতে পারে না। পিনাকি বাবুর বিশ্বাস জীবন সংগ্রামে জয়া একদিন জয়লাভ করবেই।কেউ তাকে আটকাতে পারবে না। এদিকে লাগাতার পিনাকি বাবু জয়ার পাশে দাঁড়ানোয় যার পড় নাই খুশী জয়ার মা ও জয়া নিজেই। তারা বলেন তাদের এখন অভিভাবক ই হলেন পিনাকি বাবু।জয়ার মা বলেন পিনাকি বাবু তার মেয়ের পরাশুনাটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যেভাবে পাশে দাড়ালেন তা তারা কোন দিন ও ভুলবেন না।
মায়ের সাথে জয়া
আজকের দিনে পিনাকি বাবুর মত মানুষ সত্যি বিরল।জয়ার মা কাদতে বলেন পিনাকি বাবু তাদের কাছে ভগবান।এদিকে জয়া জানান,এখন থেকেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন আগামী দিনে উচ্চ মাধ্যেমিকে ভালো ফল করার জন্য। তার বিশ্বাস উচ্চমাধ্যেমিকেও ভালো ফল করবে সে। এবং পিনাকি বাবুর মুখ উজ্জল করবেন ই।জয়া জানায় তাই সে এখন থেকেই রাত দিন পরিশ্রম করে চলছে ভালো ফল করার ব্যাপারে। তারা আশা আগামী দিনে ভালো ফল করে নাসের একটি চাকরি করার
উল্লেখ্য আজ আবার রায়গঞ্জ ট্রাফিকের বড়বাবু পিনাকি সরকার পাচ হাজার টাকা দিলেন।যে অর্থ আজ কালিয়াগঞ্জের বিশিষ্ট সাংবাদিক তপন চক্রবতী জয়ার বাড়িতে গিয়ে জয়ার মায়ের হাতে তুলে দেন।এর আগেও অনেক বার কখন পাচ হাজার টাকা কখনো ছয় হাজার টাকা দিয়েছেন জয়ার পড়াশুনার জন্য পিনাকি বাবু জয়ার হাতে।
উল্লেখ্য গত বছর মাধ্যেমিকে কালিয়াগঞ্জ হরিহরপুর এর অত্যন্ত দারিদ্র পরিবারের মেয়ে জয়া বমন যখন ভালো ফল করেছিল তখন জয়ার বাবা বেচে থাকলেও আজ তার বাবা নেই গত সরস্বতী পূজোর দিন জয়া বাবা কে হারিয়েছেন।বাড়িতে মা থাকলেও অসুস্থ অবস্থায় পড়ে আছে। এর ই মধ্যে সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে ইচ্ছা শক্তির সাহায্যে ও পিনাকি বাবুর মহান মানবিকতা হাত ধরে এগিয়ে চলছেন জয়া বর্মন।ফলে একদিকে লড়াই অন্য দিকে মহান মানবিকতা পিনাকিবাবুর। এই দুইটাই আজ নারি দিবসে এক অন্য প্রাপ্তি এক লড়াকু নারি জয়ার কাছে। যা সমাজের কাছে এক উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।