October 24, 2024

এক ছাত্রীর স্বপ্ন পুরনের লড়াই।

1 min read

 জিন্নাতারা খাতুন প্রথম থেকেই মেধাবি ছাত্রী।হুগলীর পুরশুড়া রাউতারা মিদ্যাপাড়া এলাকার ছোট্ট বাড়িতে অন্ধ মা আর দুই ভাইকে নিয়ে সংসার সংগ্রাম ও সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত হতে লরাই চালিয়ে যাচ্ছে বছর ১৬ জিন্নাতারা খাতুন। বাবা জুলফিকার মল্লিক  মারা গেছেন প্রায় আট বছর জিন্না তখন অনেক ছোটো,তার কিছু মাস পরে মা মোমতাজ বেগম দুটো চোখ অন্ধ হয়ে যায়। দুই ভাই অভাবের তারনায় মুম্বাইএ পারি দিয়েছেন।
 সোদপুর হাইস্কুল থেকে এবছর মাধ্যমিক দিচ্ছে।সিট পরেছে পাশের গ্রামেরই ধাপধাড়া হাইস্কুলে। তবে সবে মাত্র কাজে গেছে ভাইয়েরা টাকা পয়সা তেমন আসে না কেবল ওরা দুবেলা খাবার যোগার হয়ে যায়।পাশের গ্রামেই মামা জিন্ননাতারারর পড়িবারকে কিছু কেমন সাহায্য করে। সম্পত্তি বলতে কেবল বসত ভিটে টুকু।  বর্তমানে সরকারে সহায়তায় পাকা বাড়ি হয়েছে বটে, তবে জিন্নতারর বাড়িতে অভাব ঘোচেনি। তাই  সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে অদম্য লড়াই করে চলেছে এই ছাত্রী। পয়সা না দিতে পারায়  টিউশন পরতে পারে নি। সামনে মাধ্যমিক শুরু হয়ে গেলো, কোন ররকমে এক গৃহ শিক্ষিকার কার কাছে পরাশুনা করে, বিনা খরচে। একটা যেদ বসে গেছে ওর কাছে। তবে মা অন্ধ তাই জিন্নার বিবাহ দিতেও চান, ওর বাড়ির লোকদেরও তাই মত। 
জিন্নাতারা এখন ১৬ বছরের। জিন্নাতারা বিবাহে এখনই রাজি নয় তবু এতো অভাবে কিছু বোলতে কিন্তু করে জিন্নার। তবে পরাশুনা করে যেতে চায় এটাই জানায়। বড় হয়ে পুলিশ হতে চায় জিন্নাতারা। সোদপুর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপস বিকাশ রায় বলেন ” খুবই অভাবি ও মেধাবি জিন্নাতারা। আমরা স্কুলের সকলেই জিন্নতারার পাশে, ওর পরাশুনার সমস্ত খরচ বহন করতে রাজি স্কুল তরফ থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *