রাজ্য নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি শুরু করে দিল পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে
1 min readরাজ্য নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি শুরু করে দিল মে মাসের প্রথম দিকেই পঞ্চায়েত ভোট হবে ধরে নিয়ে । সেই প্রস্তুতির প্রথম ধাপ হিসেবে আগামী ২১ মার্চ অর্থাৎ বুধবার ২০টি জেলার পঞ্চায়েত আধিকারিককে (ডিপিআরডিও) বৈঠকে ডাকলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্রকুমারসিং। সেই বৈঠকে ভোটের মনোনয়ন পর্ব ও নিয়মকানুন নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। তার দু’দিন পরেই শুক্রবার অর্থাৎ ২৩ মার্চ দু’দফায় জেলাশাসক, পুলিস সুপার ও পুলিস কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার।
সেই বৈঠকের আলোচ্যসূচি হল, ভোটের প্রস্তুতি ও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা। সেই সঙ্গে ৫৮,৪৩৫টি বুথের জন্য তিন লক্ষেরও বেশি ভোটকর্মী চেয়ে মুখ্যসচিব মলয় দে’কে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার চিঠি পাঠিয়েছেন বলে নবান্নসূত্রেজানাগিয়েছে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এক একটি বুথে কমপক্ষে পাঁচজন ভোট কর্মী প্রয়োজন।
যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন বা অনুপস্থিত থাকেন, তার জন্য ১০ শতাংশ অতিরিক্ত কর্মী হাতে রাখতে হয়। ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় ভোটকর্মী সংগ্রহের কাজ পুরোদমে চলছে। জেলাশাসকরাও জেলার বিভিন্ন দপ্তরে ভোট কর্মী চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। এছাড়াও ৩৬২ জন পর্যবেক্ষক চাওয়া হয়েছে। যাঁরা আইএএস এবং সিনিয়র ডব্লুবিসিএস অফিসার হবেন। কমিশন চায়, প্রতিটি ব্লকে একজন করে পর্যবেক্ষক এবং জেলায় একজন করে সিনিয়র অফিসারকে পর্যবেক্ষক হিসেবে রাখতে। সেইসঙ্গে ন্যূনতম তিন দফায় ভোট করতে চায় কমিশন। ২০১৩ সালে হাইকোর্টে রাজ্য সরকার যে হলফনামা জমা দিয়েছিল, তাতে তিন দফায় ভোটের কথা বলা হয়েছিল।
রাজ্যনির্বাচনকমিশনেভোটেরপ্রস্তুতিপুরোদমেশুরুহয়েগিয়েছে। ভোটের কালি ও অ্যারো ক্রস মার্ক এসে গিয়েছে। তিন ধরনের ব্যালট বাক্স আসতে শুরু করেছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য বড় বাক্স।< span style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: initial; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; font-family: sreeBarunUx, serif; font-size: 14pt; line-height: 115%;"> যেটিকে ইমপ্রোভাইস বা চলতি ভাষায় মুড়ির টিন বলা হয়। পঞ্চায়েত সমিতির জন্য বাঙ্গো টাইপ। যা মুড়ির টিনের থেকে কিছুটা ছোট। আর তার থেকে ছোট হল জেলা পরিষদের ব্যালট< span style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: initial; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; font-family: sreeBarunUx, serif; font-size: 14pt; line-height: 115%;"> বাক্স।
যেটিকে গোদরেজ টাইপ ব্যালট বাক্স বলা হয়। রাজস্থান, বিহার ও ওড়িশা থেকে সেই ব্যালট বাক্স আসছে। জেলায় জেলায় তা এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে চলে যাবে।
একই সময়ে চলে যাবে ব্যালটপেপারও। রাজ্য নির্বাচন কমিশন যখন পুরোদমে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে, ঠিক তখনই শাসকদল তৃণমূল প্রার্থী তালিকা তৈরির প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। বিভিন্ন জেলায় দলীয় পর্যবেক্ষক নিয়োগ হয়েছে।
একই সময়ে চলে যাবে ব্যালটপেপারও। রাজ্য নির্বাচন কমিশন যখন পুরোদমে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে, ঠিক তখনই শাসকদল তৃণমূল প্রার্থী তালিকা তৈরির প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। বিভিন্ন জেলায় দলীয় পর্যবেক্ষক নিয়োগ হয়েছে।
এপ্রিল মাসের মধ্যে প্রার্থী তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও জেলায় ৩১ মার্চ, কোনও জেলায় ৭ এপ্রিল ডেটলাইন দেওয়া হয়েছে। ন্যূনতম ৩২ দিন হাতে রেখে ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।
সেক্ষেত্রে মার্চের শেষ সপ্তাহে বা এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে বলে নবান্নের খবর।