ভোটপর্ব পিছতে পারে বলে মনে করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন
1 min read
ভোটপর্ব পিছতে পারে বলে মনে করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপর্বে অশান্তির জল হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ানোয় । কমিশনের অফিসারদের অনুমান, আগামী সোমবার শুনানির পর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য সময় বাড়ানো হোক বা না হোক, প্রত্যাহার করার জন্য সময় দিতে হবে। তাই পূর্ব নির্ধারিত নির্ঘণ্ট মেনে ভোট করা সম্ভব নয়। এদিকে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্রকুমার সিং হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, প্রতীক বরাদ্দ, প্রার্থীতালিকা প্রকাশ এবং ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ স্থগিত করে দিয়েছেন। অবশ্য ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ শুক্রবার সকালে শুরু হয়েছিল। একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ জমা দেওয়ার পর বিকেলে তা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
পঞ্চায়েত
ভোটের
জন্য
মনোনয়নপত্র
জমা
দেওয়া
যাচ্ছে
না
বলে
বিজেপি
ও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টে আবেদন করতে নির্দেশ দেয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বৃহস্পতিবার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সোমবার পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেন। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শুক্রবার তৃণমূল ডিভিশন বেঞ্চে দরবার করায় তার শুনানিও সোমবারই হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, সোমবার, অর্থাৎ ১৬ এপ্রিল যদি শুনানি হয়, বা পরের দিন রায় হয়, তাহলে কি ১ মে, ৩ মে এবং ৫ মে ভোট হবে?
পঞ্চায়েত
ভোটের
জন্য
মনোনয়নপত্র
জমা
দেওয়া
যাচ্ছে
না
বলে
বিজেপি
ও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টে আবেদন করতে নির্দেশ দেয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বৃহস্পতিবার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সোমবার পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেন। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শুক্রবার তৃণমূল ডিভিশন বেঞ্চে দরবার করায় তার শুনানিও সোমবারই হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, সোমবার, অর্থাৎ ১৬ এপ্রিল যদি শুনানি হয়, বা পরের দিন রায় হয়, তাহলে কি ১ মে, ৩ মে এবং ৫ মে ভোট হবে?
এ ব্যাপারে অভিজ্ঞমহলের বক্তব্য, রাজ্য পঞ্চায়েত নির্বাচন আইন ২০০৩–এর ৪৩(এ) ধারায় বলা আছে, মনোনয়নের শেষ দিন থেকে ভোটের দিনের মথ্যে পার্থক্য থাকতে হবে ২১ থেকে ৩৫ দিন। ওই আইনের ৪৩(বি) ধারায় বলা আছে, স্ক্রুটিনি হবে মনোনয়নের শেষ দিনের পরে দ্বিতীয় দিনে। অর্থাৎ মাঝে একদিন থাকতে হবে। ৪৩(সি) ধারায় বলা আছে, স্ক্রুটিনির পর মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য তিনদিন সময় দিতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ছুটির দিন হলে পরের দিন তা করতে হবে। ৪৬(২) ধারায় বলা আছে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় একদিন বাড়ানো যাবে।
রাজ্য
নির্বাচন
কমিশনের
প্রাক্তন
কর্তারা
মনে
করেন,
যদি
হাইকোর্ট
মনে
করে,
ইচ্ছুক
প্রার্থীরা
মনোনয়নপত্র
জমা
দিতে
পারেননি,
তাঁদের
মনোনয়নের
ব্যবস্থা
করা
দরকার,
তাহলে
পঞ্চায়েত
নির্বাচন
আইন
অনুযায়ী
একদিনের
জন্য
মনোনয়নপত্র
জমা
দেওয়ার
ব্যবস্থা
করতে
পারে। যদি মনোনয়নের জন্য একদিন রাখা হয়, তাহলে স্ক্রুটিনির জন্য দু’দিন এবং প্রত্যাহারের জন্য তিনদিন রাখতে হবে। সব মিলিয়ে ছ’দিন অতিরিক্ত হাতে রেখে ভোটের দিন ঘোষণা করতে হবে। সেক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন থেকে ২১ দিন হাতে রেখে ভোটের দিন ঘোষণা করতে হবে। তাহলে কোনওভাবেই পূর্ব নির্ঘণ্ট অনুযায়ী ভোট হবে না।
ওই অফিসারদের মতে, যদি হাইকোর্ট মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আবেদন খারিজ করে দেয়, তাহলেও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য কমপক্ষে তিনদিন সময় দিতে হবে। তাহলেও ভোট দু–তিনদিনের জন্য পিছিয়ে দিতে হবে। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোট কবে হবে, তা নিয়ে বড় রকম জটিলতা তৈরি হয়েছে। একেবারে মাঝপথে থমকে গিয়েছে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া। ব্লকে ব্লকে থাকা পর্যবেক্ষকরা সেখানে থাকবেন, না ফিরে আসবেন, তা নিয়েও তাঁরা চিন্তায় পড়েছিলেন। তবে রাতে কমিশনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যে পর্যবেক্ষকরা চান, তাঁরা ফিরে আসতে পারেন।