নোটন নোটন পায়রাগুলি ঝোটন বেধেছে
1 min read
তন্ময় চক্রবত্তীঃ- একসময় ভোট এলে দেওয়ালে চোখ আটকে যেত আমজনতার। দেওয়াল লিখনে রাজনৈতিক দলের ছড়া বারবার পড়ে একরকম মুখস্থ করে ফেলতেন ভোটাররা। কিন্তু, বর্তমানে সেই দেওয়াল লিখনে কৌতুক ছড়ার চল উঠে গিয়ে ভোটের প্রচারে সোশ্যাল মিডিয়া নজর কাড়ছে। একসময় ভোট প্রচারের অঙ্গ হিসেবে দেওয়ালে লেখা ছড়া নিয়ে আলোচনায় পাড়ায় পাড়ায় ঠেক জমে উঠত। এখন অবশ্য ভোটের ময়দানে সেসব নিয়ে তেমন চর্চা হয় না।
নজরকাড়ার মতো ভোটের দেওয়ালে কোনও লেখা চোখেও পড়ে না। তবে, কংক্রিট বা মাটির দেওয়ালে জনতার চোখ না থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়ালে টিপ্পনি দেখে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বেশ মজা পাচ্ছে জনগণ। আট থেকে আশি সবাই তা উপভোগও করছে। সব রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে টিপ্পনি।
প্রবীণ
নেতারা
বলেন,
সাতের
দশকে
বিখ্যাত
দেওয়াল
লিখন
ছিল,
‘দিল্লি
থেকে
এল
গাই,
বাছুর
হল
সিপিআই’। দেওয়ালে কমিউনিস্টদের টিপ্পনি কেটে লেখা হতো ‘সিপিএমের দুটি কন্যা, একটি খরা অন্যটি বন্যা’। আবার, ‘দিনে চাঁদা রাতে ফিস্ট, এরাই হল কমিউনিস্ট’। আবার নির্বাচনের আগে গ্রাম বাংলার দেওয়াল ভরে উঠত ‘পাঁচ পয়সায় দুটি বিড়ি, জ্যোতিবাবুর গলায় দড়ি’। রাজনৈতিক মহলের মতে, আগে দেওয়াল লিখন দেখলে জনগণ ভোটের সময় মজা পেতেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ছড়া লেখা হতো। অনেক সময় হয়তো সব ছড়া তেমন অর্থ বহন করত না।
কিন্তু, তা পড়ে সব দলেরই কর্মী, সমর্থকরা হাসাহাসি করতেন। এখন অবশ্য দেওয়াল লিখনে সেই কৌতুক নেই। বরং ভোট প্রচারে সর্বত্রই আক্রমণাত্মক মেজাজই দেখা যায়। ব্যক্তিগত আক্রমণ দেওয়ালে বেশি করে ফুটে ওঠে।
তবে,
সোশ্যাল
মিডিয়ার
ওয়াল
জনগণের
মন
জয়
করছে। জেলার এক প্রবীণ
তৃণমূল
নেতা
বলেন, আটের দশকে আমরা নিজেরাই রাত জেগে ছড়া লিখতাম। দেওয়ালে বিরোধীদের আক্রমণ করে কী লেখা হবে, তা নিয়ে সবার মধ্যে চর্চা চলত। কিন্তু, এখন সেসব দিন কোথায়? জেলা বিজেপি
নেতা
বলেন,
ছড়ার
মধ্যে
আলাদা
মজা
পাওয়া
যেত।
কিন্তু, এখন ছড়া লেখার মতো সেই মানসিকতা নেই। সোশ্যাল মিডিয়া না থাকলে হয়তো মানুষ হাসতেই ভুলে যেত। এখন ভোট মানেই হিংসা। তৃণমূল নেতা বলেন, এখনও কিছু কিছু সময় আমরা ছড়া লেখার চেষ্টা করি। কিন্তু, আগের মতো হয় না।