তপন চক্রবর্তী–উত্তর দিনাজপুর–উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের কতিপয় বিদ্যালয়ে এন আই ও এস মাধ্যমে উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সাথে কালিয়াগঞ্জের বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে ডি এল এড পরীক্ষা গত ৩১শে মে থেকে শুরু হয়েছে।চলবে ২রা জুন পর্যন্ত।খবর নিয়ে জানা যায় উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন বেসরকারি বিদ্যালয়,শিশু শিক্ষা কেন্দ্র,এস এস কে,এম এস কে।

বিদ্যালয়ে যারা শিক্ষকতা করে আসছে তাদের চাকুরীর নিরাপত্তার কারণে এই ডি এল এড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জানা যায় কালিয়াগঞ্জের দুই একটি বিদ্যালয় ছাড়া অধিকাংশ বিদ্যালয়ে কিছু দালালদের সহ যোগীতায় ডি এল এড পরীক্ষার্থীদের বাধ্য করা হচ্ছে অবাধ টুকলির সুযোগ দেওয়া হবে কিন্তু তার বিনিময়ে ২০০০–২৫০০টাকা দিতে হবে।অন্যথায় পরীক্ষায় পাস করা সম্ভব হবেনা।পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বাধ্য হয়ে তাদের ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়েই এই টাকা তদের দিতে হচ্ছে বলে জানা যায়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক ক্ষুব্ধ হতে জানালেন ডিএলএড পরীক্ষার নামে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে যা চলছে তা এক কথায় প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়।  তবে বিদ্যালয়ের চারপাশে বেশ কিছু শিক্ষা দালাল বেশ কিছুদিন থেকেই এই সমস্ত পরীক্ষার্থীদের সাথে নিজেরাই যোগাযোগ করে ডি এল এড পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে অবৈধভাবে প্রচুর অর্থ কামাই করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দায়িত্বে এই পরীক্ষা চললেও তাদের এ ব্যপারে কোন হেলদোল নেই বলেই অভিভাবকেরা ক্ষোভ প্ৰকাশ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You missed

সরকারি শ্রীমতি নদীতে প্রশাসনের সামনেই গোটা নদীতে বোরো চাষ, প্রশাসন নিরব দর্শক_তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,২৩ জানুয়ারি,_আমরা ছোটবেলায় পড়েছি আমাদের ছোট নদী চলে আঁকে বাঁকে বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ শ্রীমতি নামে একটি ছোট নদী থাকলেও সেই নদী একটি ঐতিহ্যবাহী রূপেই সর্বত্র পরিচিত। কিন্তু সেই শ্রীমতি নদীর নামটি ঐতিহ্য হিসেবে থাকলেও শ্রীমতি নদীতে নেই কোন জল। শ্রীমতি নদীর সর্বত্র চলছে বোরো ধানের চাষ। উত্তর দিনাজপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী শ্রীমতি নদী বর্তমানে প্রশাসনের সামনেই সরকারি নদীকে বোরো ধানের মাঠ বানিয়ে বোরো ধান চাষ করলেও উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন অথবা রাজ্যে প্রশাসন কারো কোন হেল্প নেই। অনেকে আবার নদীর মধ্যেই পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করছে। এক অবাক কান্ড একটা সরকারি নদীতে কয়েক হাজার একর জমিতে কিভাবে চাষবাস হয় সাধারণ মানুষের মাথায় কোনভাবেই সেটা আসছে না। এ যেন একেবারেই মগের মুল্লুক বললেও বেশি বলা হবে না।বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় বারবার শ্রীমতি নদীকে নিয়ে সরকার কেন কোন রকম ব্যাবস্থা আজও নিতে পারছেনা সরকার পরিষ্কার করে সে কথাও জনসমক্ষে বলছেন না। এ ব্যাপারে কালিয়াগঞ্জ নদী বাঁচাও কমিটি সম্পাদক প্রসূন দাস কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন সরকার সবকিছু জেনে শুনেও যদি চুপ করে থাকে তাহলে করার কিছু নেই। সরকারি একটি নদী গোটাটাই সাধারণ মানুষেরা চাষির তকমা পড়ে গোটা নদী দখল করে চাষ করে গেলেও সরকার কোন এক কারণে নীরবতা দেখিয়ে যাচ্ছে। যা অনেকের মনেই সন্দেহের প্রশ্ন জাগছে তাহলে কি নদী ও বিক্রি করা যায? তিনি বলেন কিছুদিন পূর্বে রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বা বলেছিলেন বেশ কিছু নদীর সংস্কার করা হবে। কিন্তু সংস্কারের পরিবর্তে দেখা যাচ্ছে গোটা নদীতে বোরো ধানের চাষ চললেও সরকারের কোন হেল দোল নেই। কালিয়াগঞ্জ নদী বাঁচাও কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রসূন দাস বলেন একটি সরকারি নদী প্রশাসনের সামনে দখল করে চাষাবাদ করলেও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে কেন কোন হিন্দু নেই এটা নদীবাঁচাও কমিটির সদস্যদের প্রশ্ন?