সংসারের কাজ থেকে শুরু করে মাঠে কৃষি কাজ সামলে সফল কালিয়াগঞ্জ পার্ব্বতী সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ছাত্রী কল্যানী বর্মন
1 min read
অনুপ জয়সোয়াল অভাব অনটন নিত্যসঙ্গী। তবুও দারিদ্র্যতাকে হার মানিয়ে এবছর উচ্চমাধ্যমিকে ৪৭৬ নাম্বার পেয়ে শুধু নিজের গ্রামের নাম নয় সে তার বিদ্যালয়ের নাম উজ্জ্বল করেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পার্ব্বতী সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ছাত্রী কল্যানী বর্মন।
এতো ভালো নাম্বার পাওয়ার পরেও উচ্চশিক্ষার পথে কাটা হয়ে দাড়াচ্ছে অর্থ। সেই দুশ্চিন্তাই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে কল্যানী বর্মনের পরিবারের সদস্যদের। কারন কল্যানী আগামীতে ইতিহাস নিয়ে পড়াশুনা করে একজন সমাজের আদর্শ শিক্ষিকা হতে চায়। কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিন শেরগ্রাম গ্রামের কৃষিজীবি জগদীশ বর্মনের মেয়ে কল্যানী বর্মন। এবার সে পার্ব্বতী সুন্দররী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়।
কৃষিজীবি পরিবারের মেয়ে হবার জন্য তাকে সংসারের কাজ থেকে শুরু করে মাঠে কৃষি কাজ পর্যন্ত করতে হয়েছে কল্যানীকে। দিনে পড়া শুনার তেমন সময় না হলেও সে রাতেই বেশির ভাগ সময়য় পড়া শুনা করতো। পড়াশুনার জন্য তার বিদ্যালয়ের শিক্ষেরা সাহাস্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল বলে জানান কল্যানী। তার এক ভাই ও এক বোন কল্যানী বড় ও তার ভাই ছোট।
বাবা মা পড়াশুনা কিছুই না করার মতো। তবু নিজে আদর্শ শিক্ষিকা হবার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে আজ এই সাফল্য তার। সে এবারে কালিয়াগঞ্জ থেকে ছাত্রীদের মধ্যে প্রথম এবং জেলার মধ্যে শেরাদের মধ্যে রয়েছে। তার এই সাফল্য পিছনে যেমন তার বাবা মার হাত রয়েছে তেমনি হাত রয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। কল্যানীর বাবা জগদীশ বর্মন জানা,তার আর্থিক ভাবে স্বাচ্ছলতা নাই।
সে এক জন কৃষিজিবী মানুষ। তার পেয়ে বাড়ির কাজ ও মাঠের কাজ সেরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই সাফল্য পেয়েছে। তার সাফল্যে তিনি খুব আনন্দিত। কিন্তু দুশ্চিতাও পিছু ছাড়ছে না কারন আগামী তার মেয়েকে কিভাবে পড়া শোনার খরচ জোগার করবে। তিনি আরো জানান তার মেয়ে বিদ্যালয় ও পরিচালন সমিতি জামিয়েছে কল্যানীর যেখানেই পড়া শোনা করবে তারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবেন।
কিছুটা হলেও স্বস্তি হলেও দুশ্চিতা কাটেনি। তার মেয়ে আগামীদিনে শিক্ষিকা হবে এবং সমাজে নতুন মানুষ গড়ার কাজ করবে। অর্থ যাতে তার মেয়ের শিক্ষার মাঝে এসে না দারায়,যদি সরকার কিংবা সহৃয় ব্যক্তি এগিয়ে আসে তালে তার মেয়ের স্বপ্ন পূরণ হবে।