রক্ত সংকট মেটাতে একদল তরুণের প্রয়াস,মুমূর্ষুদের ভরসা জুগিয়ে চলেছে প্যাসিফিক ব্লাডমেটস
1 min read
আনওয়ারুল হক,চাকুলিয়া,১৮ই জুলাইঃ-দুঃস্থ মানবতার পাশে দাঁড়ানো এবং ব্যাথিত মুমূর্ষু মানূষদের যন্ত্রনা এবং হাহাকার দূর করে মুখে হাঁসি ফোটানো হলো সৃষ্টির সেরা জীব তথা মানুষের স্বভাবজাত ধর্ম। এই মানবতাবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে রক্ত সংকট মেটাতে স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে হত দরিদ্র মানুষদের সাহায্যার্থে, সর্বতোভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন ইসলামপুর মহকুমা শহরের একদল তরুণ যুবক।শেখ ফারিদ আলম,কাজী মোহঃ রফী,জিয়াবুল হক,রা রক্তদানের মাধ্যমে অসুস্থ তথা দুঃস্থ মানুষদের সাহায্যার্থে গঠন করেছেন ‘প্যাসিফিক ব্লাডমেটস’নামক রক্তদাতা সংগঠন। আজ তারই এক বছর পূর্ণ হলো।’প্যাসিফিক ব্লাডমেটস’সংঠনটি মূলত রক্তদান কর্মসূচি ও রক্তদানে এগিয়ে আসতে জনসচেতনতা মূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার তাঁরা রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছে।তাছাড়া বিভিন্ন হাসপাতাল ও নার্সিং হোম গুলোতে কোনো মুমূর্ষু রোগীর রক্তের প্রয়োজন আছে কি না,তার খোঁজখবর নিয়ে চলেছেন।তাদের আরেকটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুব্যবহার, তথা ফেসবকু,ও হোওয়াটসয়াপ গ্রুপের মাধ্যমে রক্তের প্রয়োজনীয়তার কথা জানলে স্বেচ্ছায় ঝাঁপিয়ে পড়ছেন রক্তদানে,এবং রক্তদানে এগিয়ে আসতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করে চলেছেন বিভিন্নভাবে।মায়া,পূজা,নাহিদ আলাম রা আজ এদের স্বকীয় কর্মকান্ডের দরুন সুফল পেয়েছে।ফলতঃ জানা গেছে অনেকেই স্বীকার করতে বাধ্যহয়েছেন, হত দরিদ্র রোগীদের আস্থা ও ভরসার আরেক নাম প্যাসিফিক ব্লাডমেটস।এভাবেই ইসলামপুরের গন্ডী ছড়িয়ে এই সংগঠন চোপড়া ও চাকুলিয়া সহ বিভিন্ন গ্রামীন এলাকায় বিস্তার লাভ করেছে।মানবতার খাতিরে বেশ আগ্রহের সহিত অনেকেই স্বেচ্ছায় রক্তদানে এগিয়ে আসছেন।যদিও অভিযোগ কু-ধারনা ও ভয়ভীতির কারণে অনেকেই রক্তদানে অনীহা প্রকাশ করছেন, তবে বৈজ্ঞানিকভাবে রক্তদানের উপকারিতার ব্যাপারে বিভিন্ন উপায়ে জনসচেতনতা তৈরি করে চলেছেন।
আজ একবছর পূর্তির দিনে অনেকেই রক্তদানে এগিয়ে আসে।সংগঠনের কর্মকর্তাগন মিলে একগুচ্ছ পরিকল্পনা গ্রহন করেন,সংগঠনের বিস্তার সহ, যাতে শারীরিক ভাবে সুস্থ মানুষরা রক্তদানে এগিয়ে আসে।
প্যাসিফিক ব্লাডমেটস এর প্রধান কর্মকর্তা শেখ ফারিদ আলম জানিয়েছেন,’অসহায়ের পাশে দাঁড়ানো প্রত্যেকের কর্তব্য,সবাই বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় আমরা রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করে চলেছি’,দালাল চক্রের হাত থেকে সাবধান থেকে রক্তাল্পতায় ভুগতে থাকা মানুষটি যাতে রক্ত গ্রহন করতে পারে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখার কথাও জানান তিনি।
আর এক কর্মকর্তা কাজী মোহাঃ রাফি বলেন যে,’ব্লাড ব্যাংক থাকলেও এখানে রক্ত সংকট প্রকট,তাই সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে আমাদের এই প্রয়াস। রক্তদানের অনেক উপকারীতা রয়েছে,যদিও অনেকে অনীহা প্রকাশ করেন,তবে চেষ্টা চলছে যাতে সবাই রক্তদানে এগিয়ে আসে,তবে আমরা আশাবাদী আগামী দিনে ভালো ফল পাবো।’