আদিবাসী অধ্যুষিত বলদাহার গ্রাম সরকারি সবরকম সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় আদিবাসীরা আন্দোলনের পথে
1 min readআদিবাসী অধ্যুষিত বলদাহার গ্রাম সরকারি সবরকম সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় আদিবাসীরা আন্দোলনের পথে
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,১৫জুলাই: উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ধনকোল গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন পূর্ব ডালিমগাও এলাকার আদিবাসী অধ্যুষিত বলদাহার গ্রামের মানুষ সরকারের কোন রকম সুযোগ সুবিধা না পাওয়ায় আদিবাসী গ্রাম বাসীরা খুব শীগ্রই ব্যাপক আন্দোলনের জন্য জোট বাধতে শুরু করেছে।জানা যায় এই বলদাহার গ্রামে ২০ জন আদিবাসী পরিবারের আনুমানিক একশো জন আদিবাসী এই গ্রামে বসবাস করে।কিন্তু আজ পর্যন্ত আদিবাসী গ্রাম বলদাহার গ্রামের কোন উন্নয়ন হয়নি বলে গোটা আদিবাসী গ্রামের মানুষ কালিয়াগঞ্জ ব্লক প্রশাসনের কাজ কর্মের সাথে সাথে কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির কাজকর্মে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ।গ্রামের আদিবাসী যুবক চন্দন সোরেন, বাস্কু সোরেন এই প্রতিবেদককে দেখেই ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন হামাদের খবর লিখে দিলে কি হবে?হামাদের এই গ্রামে কোন উন্নয়ন আজ পর্যন্ত হয়ছে?
এই আদিবাসী গ্রামের মানুষ কেন পাবেনা সরকারের আবাস যোজনার সরকারের পাকা ঘর?হামরা কি পাকা বাড়িতে শুতে পারিনা?নেতা বাবুরা ভোটের সময় হামাদের বাড়ির মেয়েদের নিয়ে গিয়ে জনসভায় কলসি মাথায় দিয়ে মনোরঞ্জনের খোরাক হতে পারে। কিন্তূ যেই জনসভা শেষ আমাদের আদিবাসীদের মেয়েদেরও প্রয়োজন শেষ হয়ে যায়। আমাদের গ্রামে নেই ভালো রাস্তা,নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা, নেই সরকারের দেওয়া আবাস যোজনার ঘর।আমরা আদিবাসী বলেই কি হামাদের সরকারি সুযোগের কোন দরকার হয় না? বলদাহার গ্রামের আদিবাসীরা কেন পাকা ঘর থেকে বঞ্চিত হবে? আমরা আদিবাসী বলে কি আমাদের জন্য সরকার কিছুই দেয়না?
আদিবাসীদের জন্য উন্নয়নের যেসব সরকারি সুযোগ সুবিধা আসে সেগুলি কোথায় যায়?গৌরী হেমরম ক্ষুব্ধ হয় বলেন হামাদের গ্রামের আদিবাসী ভাই বোনেরা কেন ১০০দিনের কাজ পায়না? কেন শুধু সংখ্যালঘু আর তপশিলি মানুষরা এই সুযোগ গুলো পাবে? হামাদের লোকেরা এখানে কাজ পায়না। তাই তাদেরকে কেরালায় গিয়ে কাজ করে আমাদের সংসার চলে। এই গ্রামের গ্রাম পঞ্চায়েত আমাদের জন্য কোন কাজ আজ পর্যন্ত করেনি।তিনি বলেন হামাদের আদিবাসী ছেলে মেয়েদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী অলিচিকি ভাষায় প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দিবে বলেছিলেন কোথায় সেসব?
আমাদের সরকার থেকে পূজার মন্দির করে দেবে বলেছিল কো থায় সেই সব প্রতিশ্রুতি?শুধু ভোটের জন্য আদিবাসীদের দরকার হয়?আমরা তাই ঠিক করেছি আমাদের দাবি আমাদেরকেই ছিনিয়ে নিতে হবে আন্দোলনের মাধ্যমে।তিনি বলেন আমাদের মেয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতি হলেও আমরা যা আছি তাই থাকবো।আমরা যে বনে জঙ্গলের মানুষ।এ ব্যাপারে শুক্রবার কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপা সরকার বলেন তিনি দিন কয়েকের মধ্যেই বদলাহার গ্রামে দুয়ারে সরকারের কর্মসূচি নিয়ে আদিবাসী গ্রামের যে সমস্ত সমস্যা আছে তার সমাধান করবার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন বলে জানান।দীপা সরকার বলেন আদিবাসী ভাই বোনদের জন্য যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা আসছে নিশ্চয় তাদের দেওয়া হবে বলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান।