জয়দেব গোপ চোপড়া২১সেপ্টেম্বর:আদিবাসী সম্প্রদায়ের করম উৎসব উপলক্ষে চোপড়ার সবুজ চা বাগান ঘেরা এলাকা দেবীঝোরা ৭নম্বর লাইন মাঠে শুক্রবার জমে উঠলো বিরাট করম পূজার মেলা।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

এই পূজা ও মেলার আয়োজক আদিবাসী জনকল্যাণ কমিটি।মেলার মূল আকর্ষণ আদিবাসী জনজাতির প্রাচীন লোকসংস্কৃতিকে আরো উন্নত করতে আদিবাসী লোক নৃত্য ও লোকসংস্কৃতির প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান।এই অনুষ্ঠানে চোপড়া ব্লকের বিভিন্ন এলাকা থেকে মোট ১৭টি আদিবাসী নৃত্য দল প্রতিযোগিতায় অংশ নে।আদিবাসী নৃত্য দেখতে মেলায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ যোগদান করেন।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

মেলায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য গোপাল ভৌমিক, দেবীঝোড়া সুন্দর নগর মিশনের ফাদার,আদিবাসী বিকাশ পরিষদের নেতা ভিক্টর বারলা এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চোপড়ার প্রবীণ লোকশিল্পী সুবল গোপ।এই অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির পক্ষে দীনেশ লাকরা ও জর্জ কেরকেটা জানান, প্রতিবছর একাদশী তিথিতে করম গাছের ডাল কেটে আনে বেদ মন্ত্র পরে পূজা করা হয়।সেই পূজা উপলক্ষে পরদিন দেবীঝোড়া ৭নম্বর মাঠে বিরাট মেলা বসে মেলায় মূল আকর্ষণ থাকে আদিবাসী নৃত্য প্রতিযোগিতা।চা বাগানের শ্রমিকদের সরকারি ছুটি ঘোষণা হওয়ায় বাড়তি আনন্দে মেতে উঠেছে গোটা আদিবাসী সমাজ।তাই বহু দূর দূরান্ত থেকে আদিবাসী সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের ভিড়ে জমে ওঠে চোপড়ার করম পূজার মেলা।
আয়োজক কমিটির সম্পাদক নিমাই ওরাও জানান, এবারের প্রতিযোগিতায় মোট ১৭টি দল অংশগ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে বাছাই করে প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারী দলকে ট্রফি সহ কিছু নগদ অর্থ পুরস্কার দেওয়া হবে।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You missed

সরকারি শ্রীমতি নদীতে প্রশাসনের সামনেই গোটা নদীতে বোরো চাষ, প্রশাসন নিরব দর্শক_তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,২৩ জানুয়ারি,_আমরা ছোটবেলায় পড়েছি আমাদের ছোট নদী চলে আঁকে বাঁকে বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ শ্রীমতি নামে একটি ছোট নদী থাকলেও সেই নদী একটি ঐতিহ্যবাহী রূপেই সর্বত্র পরিচিত। কিন্তু সেই শ্রীমতি নদীর নামটি ঐতিহ্য হিসেবে থাকলেও শ্রীমতি নদীতে নেই কোন জল। শ্রীমতি নদীর সর্বত্র চলছে বোরো ধানের চাষ। উত্তর দিনাজপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী শ্রীমতি নদী বর্তমানে প্রশাসনের সামনেই সরকারি নদীকে বোরো ধানের মাঠ বানিয়ে বোরো ধান চাষ করলেও উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন অথবা রাজ্যে প্রশাসন কারো কোন হেল্প নেই। অনেকে আবার নদীর মধ্যেই পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করছে। এক অবাক কান্ড একটা সরকারি নদীতে কয়েক হাজার একর জমিতে কিভাবে চাষবাস হয় সাধারণ মানুষের মাথায় কোনভাবেই সেটা আসছে না। এ যেন একেবারেই মগের মুল্লুক বললেও বেশি বলা হবে না।বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় বারবার শ্রীমতি নদীকে নিয়ে সরকার কেন কোন রকম ব্যাবস্থা আজও নিতে পারছেনা সরকার পরিষ্কার করে সে কথাও জনসমক্ষে বলছেন না। এ ব্যাপারে কালিয়াগঞ্জ নদী বাঁচাও কমিটি সম্পাদক প্রসূন দাস কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন সরকার সবকিছু জেনে শুনেও যদি চুপ করে থাকে তাহলে করার কিছু নেই। সরকারি একটি নদী গোটাটাই সাধারণ মানুষেরা চাষির তকমা পড়ে গোটা নদী দখল করে চাষ করে গেলেও সরকার কোন এক কারণে নীরবতা দেখিয়ে যাচ্ছে। যা অনেকের মনেই সন্দেহের প্রশ্ন জাগছে তাহলে কি নদী ও বিক্রি করা যায? তিনি বলেন কিছুদিন পূর্বে রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বা বলেছিলেন বেশ কিছু নদীর সংস্কার করা হবে। কিন্তু সংস্কারের পরিবর্তে দেখা যাচ্ছে গোটা নদীতে বোরো ধানের চাষ চললেও সরকারের কোন হেল দোল নেই। কালিয়াগঞ্জ নদী বাঁচাও কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রসূন দাস বলেন একটি সরকারি নদী প্রশাসনের সামনে দখল করে চাষাবাদ করলেও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে কেন কোন হিন্দু নেই এটা নদীবাঁচাও কমিটির সদস্যদের প্রশ্ন?