ডিএসএলআর ক্যামেরার একচেটিয়া দাপটেই স্টুডিও দোকানগুলি মাছি মারছেউত্তর দিনাজপুর জেলায়
1 min read
তন্ময় চক্রবত্তী সারি সারি স্টুডিও পর পর । ভাগ্য ভাল থাকলে
দিনে ২-৩টে কিংবা কোনও দিন সাকুল্যে এক জন কাস্টমার। আবার কোনও দিন দেখাই মেলে না
কারও। উত্তর দিনাজপুর জেলার বাস্তব চিত্র
এটাই।বিয়ের এখন মৌরসুম চলছে। তবুও অধিকাংশ স্টুডিওই ক্রেতার অভাবে ধুঁকছে। কিন্তু
রাজ্যের অধিকাংশ স্টুডিওর এমন হাল আচমকা কী করে? শুনতে অবাক
লাগলেও এ কথা সত্যি যে, এর জন্য দায়ী ফেসবুক। আরও স্পষ্ট করে বললে
গেলে বলতে হয়, ফেসবুকখ্যাত মোবাইল ও ডিএসএলআর ক্যামেরা খ্যাত ফোটোগ্রাফারদের সৌজন্যেই, জেলার বেশির ভাগ স্টুডিও দোকান দারদের হাতে হ্যারিকেন। অবাক হলেন কি? একটু বিশদে বলা যাক।আজকাল ডিএসএলআর ক্যামেরার দাম মোটামুটি ২৫ থেকে ৩০ হাজারের
মধ্যেই থাকে। ভাল কোম্পানির হলে সেটা দাঁড়ায় ৩৫ হাজারে।
দিনে ২-৩টে কিংবা কোনও দিন সাকুল্যে এক জন কাস্টমার। আবার কোনও দিন দেখাই মেলে না
কারও। উত্তর দিনাজপুর জেলার বাস্তব চিত্র
এটাই।বিয়ের এখন মৌরসুম চলছে। তবুও অধিকাংশ স্টুডিওই ক্রেতার অভাবে ধুঁকছে। কিন্তু
রাজ্যের অধিকাংশ স্টুডিওর এমন হাল আচমকা কী করে? শুনতে অবাক
লাগলেও এ কথা সত্যি যে, এর জন্য দায়ী ফেসবুক। আরও স্পষ্ট করে বললে
গেলে বলতে হয়, ফেসবুকখ্যাত মোবাইল ও ডিএসএলআর ক্যামেরা খ্যাত ফোটোগ্রাফারদের সৌজন্যেই, জেলার বেশির ভাগ স্টুডিও দোকান দারদের হাতে হ্যারিকেন। অবাক হলেন কি? একটু বিশদে বলা যাক।আজকাল ডিএসএলআর ক্যামেরার দাম মোটামুটি ২৫ থেকে ৩০ হাজারের
মধ্যেই থাকে। ভাল কোম্পানির হলে সেটা দাঁড়ায় ৩৫ হাজারে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
দাম একটু বেশি হলেও তাতে
কোনও সমস্যা সৃষ্টি করে না ফেসবুক ফোটোগ্রাফারদের কাছে। একটা ডিএসএলার যেন তেন
প্রকারেণ বাগিয়ে নিতে পারলেই, প্রথম কাজ হল ফেসবুকে অমুক ফোটোগ্রাফি নামে স্বনামে একটা পেজ
খোলা। ব্যাস তার পরেই ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠবে।পিঁপড়ে, মাছি, প্রজাপতি, ভাঙা পাঁচিল, ঘাস, বং ক্রাশ, ফুটপাতবাসী ইত্যাদি কারওকেই ছাড়া
চলবে না।
কোনও সমস্যা সৃষ্টি করে না ফেসবুক ফোটোগ্রাফারদের কাছে। একটা ডিএসএলার যেন তেন
প্রকারেণ বাগিয়ে নিতে পারলেই, প্রথম কাজ হল ফেসবুকে অমুক ফোটোগ্রাফি নামে স্বনামে একটা পেজ
খোলা। ব্যাস তার পরেই ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠবে।পিঁপড়ে, মাছি, প্রজাপতি, ভাঙা পাঁচিল, ঘাস, বং ক্রাশ, ফুটপাতবাসী ইত্যাদি কারওকেই ছাড়া
চলবে না।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ফেসবুক পেজে পোস্ট হবে সেই ছবি। সঙ্গে উপরে থাকবে ‘মায়াবি‘ ক্যাপশন। টুকটুকে ডিএসএলআরের
ব্যাকগ্রাউন্ড ঝাপসা সেই ছবি দেখে লাইক আসবে দেদার। ব্যাস তার পরে আর দেখে কে!
কিন্তু প্রশ্ন হল, আদৌ কি এই
সব ছবি সুষ্ঠু টেকনিক্যাল ও নান্দনিক ফোটোগ্রাফির নির্দশন? ‘ফেসবুক ফোটোগ্রাফি’ এক অদ্ভুত জগত। গোঁফচুরি, থুড়ি ফোটো চুরি এখানে রোজকার
ব্যাপার। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটে না। বড় জোর স্ক্রিনশট পোস্ট করে পরস্পরকে
গালগাল করে। স্বখাতসলিল যেন।
ব্যাকগ্রাউন্ড ঝাপসা সেই ছবি দেখে লাইক আসবে দেদার। ব্যাস তার পরে আর দেখে কে!
কিন্তু প্রশ্ন হল, আদৌ কি এই
সব ছবি সুষ্ঠু টেকনিক্যাল ও নান্দনিক ফোটোগ্রাফির নির্দশন? ‘ফেসবুক ফোটোগ্রাফি’ এক অদ্ভুত জগত। গোঁফচুরি, থুড়ি ফোটো চুরি এখানে রোজকার
ব্যাপার। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটে না। বড় জোর স্ক্রিনশট পোস্ট করে পরস্পরকে
গালগাল করে। স্বখাতসলিল যেন।
নিজেদের মধ্যেই আহা বাহা। নিজেদের মধ্যেই চুলোচুলি।
এর চেয়ে বেশি আর কিছুই এগোয় না।রাতারাতি ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠে একের পরে এক
গ্রুপ। সকলেই যে খারাপ তা নয়, কিন্তু বেশির ভাগই প্যাম্পারড ডিএসলআর চাইল্ড। না আছে
নান্দনিকতা বোধ, না আছে ফোটোগ্রাফির সঠিক প্রশিক্ষণ।এদের একচেটিয়া দাপটেই স্টুডিও দোকানগুলিতে
মাছি মারা ছাড়া আর কোনও বিশেষ কাজ নেই। সেখানে কিন্তু বসে থাকেন প্রশিক্ষিত
চিত্রগ্রাহকেরাই। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ থাকলেও এখন তাঁদের অবস্থা দুর্বিষহ। প্রচার পাচ্ছে ডিএসএলআর বাবুরা।
এর চেয়ে বেশি আর কিছুই এগোয় না।রাতারাতি ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠে একের পরে এক
গ্রুপ। সকলেই যে খারাপ তা নয়, কিন্তু বেশির ভাগই প্যাম্পারড ডিএসলআর চাইল্ড। না আছে
নান্দনিকতা বোধ, না আছে ফোটোগ্রাফির সঠিক প্রশিক্ষণ।এদের একচেটিয়া দাপটেই স্টুডিও দোকানগুলিতে
মাছি মারা ছাড়া আর কোনও বিশেষ কাজ নেই। সেখানে কিন্তু বসে থাকেন প্রশিক্ষিত
চিত্রগ্রাহকেরাই। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ থাকলেও এখন তাঁদের অবস্থা দুর্বিষহ। প্রচার পাচ্ছে ডিএসএলআর বাবুরা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});