তপন চক্রবর্তী-ও বিনোদ রুনণ্টা-উত্তর দিনাজপুর— মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ ব্লকের ভোগ্রামে গ্রাম সংযোগে উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের সমস্ত দপ্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত হয়ে গ্রামের মানুষদের অভাব অভিযোগ শোনেন এবং অত্যন্ত তৎপরতার সাথে গ্রামের সাধারণ মানুষদের বিভিন্ন সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান অনেক ক্ষেত্রেই করে দেন।
গ্রাম সংযোগে প্রশাসন শীর্ষক আলোচনায় উত্তর দিনাজপুর জেলার কাজের মানুষ বলে পরিচিত জেলা শাসক অরবিন্দ কুমার মিনা বলেন সাধারণ মানুষ অনেক সময় সনস্যায় পড়লেও জেলা শাসকের দপ্তরে অনেক সময় গিয়েও সমস্যার সমাধান করতে পারেনা সঠিকভাবে না বলার কারনে।তাই রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় আমরা নিজেরাই গ্রামে একটি নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে গ্রামের মানুষদের সনস্যার কথা শুনে সেই সমস্যার সমাধানও করে দেবার ব্যবস্থা নিচ্ছি এই প্রশাসনের সংযোগ রক্ষার কারনে।তাই গ্রাম সংযোগে প্রশাসন এই পদক্ষেপ নেবার ফলে এর ব্যাপক সুফল মিলতে শুরু করে দিয়েছে বলে জেলা শাসক অরবিন্দ কুমার মিনা জানান।
মঙ্গলবারের এই অনুষ্ঠান প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে শুরু করেন জেলা পরিষধের সভাধিপতি কবিতা বর্মন। জেলা শাসক অরবিন্দ কুমার মিনা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কবিতা বর্মন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কর্মাধক্ষ পম্পা পাল, হেমতাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শেখর চন্দ্র রায়, হেমতাবাদ ব্লকের বিডিও পৃথ্বীস দাস, বিশিষ্ট সমাজসেবী গৌতম পাল, জেলা নোডাল অফিসার শুভ্রজিত গুপ্ত সহ অনেকেই।
এদিন বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুযোগসুবিধা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি প্রকল্পের উপভোক্তা দের হাতে বেশ কিছু আর্থিক সুযোগ সুবিধা ও বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য সরঞ্জামাদি উপভ্যক্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।গ্রাম থেকে আসা মানুষরা বলতে শুরু জরে দিয়েছে আগে হামরা বাবুদের দরজায় দরজায় গিয়েও অনেক হয়রানি হতে হয়েছে।এখন আর আমাদের হয়রানি হতে হয়না।প্রশাসনের বাবুরাই আমাদের সমস্যা সমাধানে আমাদের কাছে আসছে।এই ভাবে যদি সারা বছর চলে তাহলে আর আমাদের কোন চিন্তা থাকবেনা।আমরা অতি সহজেই সরকারি সুযোগ সুবিধা গুলি ঘরে বসেই পাবো।