রাফালে কেলেঙ্কারি নিয়ে যৌথ সংসদীয় তদন্তে ভয় পাচ্ছে কেন সরকার?প্রশ্ন তুললেন সিপিআই(এম) সাংসদ মহম্মদ সেলিম
বৃহস্পতিবার লোকসভায় প্রশ্ন তুললেন সিপিআই(এম) সাংসদ মহম্মদ সেলিম রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপরে ধন্যবাদসূচক প্রস্তাবের আলোচনায় । সেলিম বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় চিট ফান্ড নিয়ে সিবিআই তদন্ত হচ্ছে। কিন্তু সেই তদন্তের হাল কী? তদন্ত শ্লথ করে দেওয়া হচ্ছে। ভুবনেশ্বর ঘোরানোর পরে এবার শিলঙ ঘুরিয়ে আনা হবে। এই পর্যন্তই। কিন্তু দুর্নীতির মূলে পৌঁছাতে চায় না সিবিআই।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সেলিম প্রশ্ন তোলেন, সাংসদদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে এথিক্স কমিটি বৈঠকেই বসল না কেন? রাফালে কেলেঙ্কারি নিয়ে যৌথ সংসদীয় তদন্তে ভয় পাচ্ছে কেন সরকার? সেমিম বলেন, বামপন্থীদের দাবি প্রতারিতদের টাকা ফেরত দিতে হবে। প্রতারকদের শাস্তি দিয়ে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে টাকা ফেরত চাই। সেলিম বলেন, এনএসএসও সমীক্ষা লুকিয়ে কি দেশের বেকারি লুকানো যাবে? ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গেছে বেকারি। কর্মসংস্থান দূরে থাক, সরকার তফসিলি জাতি–আদিবাসী, ওবিসি’দের জন্য সংরক্ষিত পদ পূরণে আগে অন্তত বিশেষ অভিযান করত। এখন তা–ও বন্ধ। এই সরকার তথ, গোপনেই ব্যস্ত। অর্থনৈতিক সমীক্ষা পর্যন্ত প্রকাশ করার সাহস পায়নি কেন্দ্র। সেলিম বলেন, শুধু বিজ্ঞাপনই চলছে। আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী চিঠি লিখেছেন নিজের প্রচারের জন্য। সেই চিঠিতেই খরচ হয়েছে ৪৩৫ কোটি টাকা। বেটি বাঁচাও অভিযানের ৫৬শতাংশ টাকা খরচ হয়েছে বিজ্ঞাপনে। সেলিম বলেন, দেশের শ্রমিক–কৃষক রাস্তায় নেমে ধর্মঘট করেছেন। যুবকরা রাস্তায় নেমে কাজের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। মোদী সরকারের আচ্ছে দিনের মুখোশ খুলে গেছে।এদিন সেলিম বলেন, রাষ্ট্রপতি ১১৫ পরিচ্ছেদের ভাষণ দিয়েছেন। লোকসভায় ১১৫ বার হাততালি, টেবিল চাপড়ানো হয়েছে। নির্বাচনী ভাষণের মতো। কীসের জন্য এই হাততালি? দেশের ১ শতাংশের হাতে বারো আনা সম্পদ জমা হয়েছে। এই কেন্দ্রীকরণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মোদীর আমলে বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});