ভোট এলেই মনখারাপ হয় চিত্তরঞ্জনের
1 min read
তুহিন শুভ্র মন্ডল এক আশ্চর্য লোক চিত্তরঞ্জন সমাদ্দার ।দেড় বছর হলো অযোধ্যা কে ডি বিদ্যানিকেতন থেকে অবসর নিয়েছেন।অথচ মাঝেমাঝেই স্কুলে চলে আসেন।এসেই ক্লাসরুমে চলে যান।এমনকি ক্লাসও নেন।এখনও ।এবং চাকরি জীবনে যেমন কোনদিন চেয়ারে বসে পড়াননি এখনও তাই।আজকেই যেমন স্কুলে এসেছেন।তবে আজকে আসার আরেকটি উদ্দেশ্য আছে।সামনে লোকসভা ভোট।স্কুলে ভোটের চিঠি চলে এসেছে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের।এবার তো তিনজন শিক্ষিকাদেরও এসেছে।আর তারই খোঁজ নিচ্ছেন চিত্তরঞ্জন ।কেননা তার যে মনখারাপ।কারণ তার আর ভোটের চিঠি আসেনি।আর আসেনা।
গত পঞ্চায়েত ভোট থেকে ভোটের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাকে।তিনি যে অবসর নিয়েছেন!কেন ভোট এলেই মনখারাপ হয় চিত্তরঞ্জনের? একুশবার প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব সফল ভাবে পালন করেছেন তিনি।ভোটের দায়িত্ব পালন মানে তার কাছে একটা দায়িত্ব, একটা চ্যালেঞ্জ ।কিন্ত এখন আর ভোটের চিঠি আসেনা তার। এর আগে একবার ভোটের চিঠি না আসাতে নিজে গিয়ে প্রশাসনিক ভবন থেকে ভোটের চিঠি নিয়ে এসেছিলেন।এখনও নিয়মিত ভোটের ট্রেনিং যেখানে যেখানে হয় সেখানে যাবেনই।যখন ভোটের আগের দিন গাড়ী ছাড়ে তখন সেই মাঠে যান।
ভোট প্রক্রিয়াতে একজন কর্মী হিসাবে অনুভব করতে।নতুন প্রিসাইডিং অফিসারদের আশ্বাস দেন, টিপস্ও দেন কি সেই টিপস? নতুন প্রিসাইডিং দের তিনি বলতে চান প্রস্তুতি সঠিক ভাবে নিয়ে রাখতে।তাহলেই আর কোন চিন্তা নেই।কিন্ত পরিবার যে চিন্তায় থাকে।তাহলে?সেক্ষেত্রে চিত্ত বাবুর সোজাসাপটা জবাব নিজেকে বিপদে ফেলা যাবেনা।কারণ বাড়িতে পরিবার রয়েছে।তবে উনি আশাবাদী এবার আসন্ন লোকসভা ভোটে কোনপ্রকার দুর্ঘটনা ঘটবেনা।এগিয়ে আসছে ভোট।যদি নিয়ম ভেঙে এখনো ভোটের চিঠি আসে তিনি যেতে প্রস্তুত ।কিন্ত সে তো আর হবার নয়।তাই মন খারাপ চিত্তরঞ্জনের ।যখন অনেকেই ভোট থেকে নাম কাটাতে চান তখন চিত্তরঞ্জন সমাদ্দার একটা উদাহরণ ।