মমতার এজেন্ট মুকুল ?
1 min read
মুকুল কি আবার ফিরে এল তৃণমূলে৷ কেউ গালে হাত দিয়ে ভাবছেন৷ ঠাট্টা -মশকরার রহস্য ভাঙলেন এক তৃণমূল কর্মী৷ মমতা -মুকুলের কথা এখন মুখে মুখে৷ কেউ বলছেন , তিনি বলেন , ‘মেদিনীপুর জেলা পরিষদের ২০ নম্বর আসনে আমাদের দলের প্রার্থী হয়েছেন মমতা মুর্মু৷ আর তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট হয়েছেন সদরের তৃণমূল নেতা মুকুল সামন্ত৷ আর এই নিয়েই ঠাট্টা চলছে মেদিনীপুরে৷ ’ ২১ বছরের মমতা বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী৷ বাড়ি মেদিনীপুর সদর ব্লকের পাথরা এলাকায়৷ বাবা তারাপদ সাধারণ ক্ষেতমজুর৷ কোনওরকমে সংসার চলে৷ অনটনের মধ্যেই লেখাপড়া শেখাচ্ছেন ছেলেমেয়েদের৷
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
’প্রার্থী মমতা , সঙ্গে মুকুল — |
বরাবরই বামবিরোধী তিনি৷ সিপিএমের রমরমার সময় ভোটে লড়েছেন৷ তৃণমূলের নেতারা তাঁর মেয়েকে জেলা পরিষদের প্রার্থী করার প্রস্তাব দিতেই এককথায় রাজি হয়ে যান তারাপদ৷ মাত্র ২১ বছর বয়সে জেলা পরিষদের প্রার্থী , স্বপ্নেও কোনওদিন ভাবেননি মমতা৷ তিনি বলেন , ‘আমি ছোট থেকেই বাবাকে দেখেছি , প্রথমে কংগ্রেস , পরে তৃণমূল কর্মী হিসেবে কাজ করতে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পছন্দ করি৷ মুখ্যমন্ত্রী আমার মন জয় করেছেন৷ কন্যাশ্রীর টাকা পেয়ে শুধু আমি নই , আামার মতো অনেক মেয়ের উপকার হয়েছে৷ আমাকে প্রার্থী করতে চাইছে তৃণমূল , শুনেই রাজি হয়ে যায়৷ ’ তৃণমূল নেতা মুকুল সামন্ত বলেন , ‘দলের সম্মতি নিয়েই ওঁকে প্রার্থী করা হয়েছে৷ এমন প্রার্থী আজকের দিনে পাওয়া দুর্লভ৷ ’লেখাপড়া শিখে চাকরি , ভোটে জিতে মানুষের জন্য কাজ করতে চান মমতা৷ তিনি বলেন , ‘অন্যায় বা দুর্নীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করব৷