তপন চক্রবর্তী–উত্তরদিনাজপুর--উত্তরদিনাজপুর জেলার মধ্যে বিদ্যালয়ের সবচেয়ে বেশি জমির উপর জেলার কালিয়াগঞ্জ পার্বতী সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত একথা সবারই জানা।শহরের পার্বতী সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মুখে এবং আশেপাশে যত গুরুত্বপুর্ণ জমি কয়েক যুগ ধরে পরে আছে সেই জমিকে সহজেই কাজে লাগিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়ের আয় বাড়াতেই পারে।
কিন্তু কে দেয় কার গোয়ালে ধোয়া।অথচ এই বিদ্যালয়ের যা ভূমি সম্পদ আছে তাতে করে বিদ্যালয় প্রতি মাসে কম করে ১৫থেকে ২০হাজার টাকা মাসিক আয় হতে পারে।চাই একটু বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির তৎপরতা।যদিও সেই সব চিন্তা ভাবনা করবার সময় ছিলনা আগের পরিচালনা কমিটির যেমন,তেমনি বর্তমান পরিচালক কমিটিরও নেই।
বিদ্যালয়ের জমিগুলো অবহেলায় অনাদরে পরে থাকলেও তা নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নেই কোন উন্নয়ন পরিকল্পনা।আসলে সরকার সবকিছু দেবে আমরা কেন বিদ্যালয়ের জমি জায়গা নিয়ে উন্নয়নের পরিকল্পনা করবো আমাদের এই মানসিকতা যতদিন থাকবে ততদিন বিদ্যালয়ের উন্নয়ন সম্ভব নয়।উত্তরদিনাজপুর জেলার বিদ্যালয়গুলির মধ্যে অন্যতম অথবা মডেল বিদ্যালয় হিসাবে গড়ে তুলতে কালিয়াগঞ্জ পার্বতী সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয় ইচ্ছা করলেই জেলার মধ্যে একটা আলাদা স্থান করে নিতে পারে।চাই শুধু উন্নয়নের মানসিকতার কিছু প্রকৃত মানুষ।যারা ইচ্ছা করলেই এই জায়গায় পৌঁছাতে পারে।যে সমস্ত বিদ্যালয়ের অতিরিক্ত জমি আছে তারা কোন ভাবেই তা অকারণে ফেলে রাখেনি।
যার উদাহরণ হিসেবে রায়গঞ্জ করোনেশন বিদ্যালয় যেমন চোখের সামনেই দেখতে পাই তেমনি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি বিদ্যালয় আছে যাদের বিদ্যালয়ের জমিতে ব্যবসায়ীদের জন্য স্টল করে দিয়ে সেখান থেকে একটা আয়ের ব্যবস্থা করতে পেরেছে।এক সাক্ষাৎকারে কালিয়াগঞ্জ পার্বতী সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নন্দন সাহাকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে প্রধান শিক্ষক নন্দন বাবু বলেন আমাদের বিদ্যালয়ের যে সমস্ত জমিগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে সেই জমিগুলো যাতে কাজে লাগানো যেতে পারে আমরা এই ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করেছি।আমাদের কাছে এ ব্যাপারে প্রস্তাব যে আসেনি তা নয়।প্রস্তাব এসেছে।আমরা এ ব্যাপারে আলোচনাও করেছি।
যদি বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বেশ কিছু দোকানের জন্য স্টল করে দেওয়া যায় তাহলে বিদ্যালয়ের একটা ভালো আয়ের পথ হতে পারে। কালিয়াগঞ্জ পার্বতী সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি নিলাঞ্জন সাহাকে এ ব্যাপারে প্রস্তাব দিলে নিলাঞ্জন বাবু বলেন এই প্রস্তাব টি বিদ্যালযের জন্য অত্যন্ত ভালো প্রস্তাব।আমাদের বিদ্যালয়ের প্রচুর জমি অকেজো হয়ে বছরের পর বছর ধরে পরে আছে।আমরা যদি এই সমস্ত পরে থাকা জমি গুলোকে বিদ্যালয়ের উন্নয়নে সামিল করতে পারি তাহলে বিদ্যালয় আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্ত হতে পারে।
সভাপতি নিলাঞ্জন সাহা বলেন তিনি সভাপতি হিসাবে এই প্রস্তাব নিয়ে বিদ্যালয়ের আর সবার সাথে আলোচনা করবেন বলে এই প্রতিবেদককে জানান।নিলাঞ্জন বাবু বলেন পার্বতী সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের যত জমি অকেজো হয়ে পড়ে আছে তার সঠিক ব্যবহার করতে পারলে বিদ্যালয়ের অনেক উন্নয়ন মূলক কাজ এই অর্থে করা যেতেই পারে।জানা যায় পার্বতী সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ে এমন কিছু কর্মী আছে যাদের বেতন সরকার থেকে পাওয়া যায়না।
তাদের সামান্য মাসিক বেতন বিদ্যালয়কেই তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয়।যদি বিদ্যালয়ের নিজস্ব মাসিক আয়ের উৎস থাকে তাহলে বিদ্যালয়ের অনিয়মিত যে কয়েকজন কর্মীরা রয়েছেন বর্তমান বাজারে চলারমত তাদের বেতনও সামান্য হলেও কিছুটা বৃদ্ধি করে তাদের মুখেও হাসি ফোটানোর ব্যবস্থা অনায়াসে করা সম্ভব বলে অনেকেই মনে করছেন।