December 27, 2024

মা আমি তোমাদের সন্তান আমাকে আশীর্বাদ দাও মানুষের কাজ করার এই কথায় গ্রামবাসীদের মন জয় করলেন তৃনমুল কংগ্রেসের পার্থী পম্পা পাল হেমতাবাদে

1 min read
তন্ময় চক্রবত্তী  ও তন্ময় দাস হেমতাবাদ
আমি তোমাদের মেয়ে আমি তোমাদের সুখ দুঃখের ভাগিদার হবআমাকে সুযোগ দাও কাজ করারআমি নতুনআমাকে
আশীর্বাদ দেও তোমরাএই ভাবে গতকাল সকাল থেকে ঠাঠা  রোধ কে উপেক্ষা করে পায়ে হেঁটে
মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে নিলেনআর পাঁচজনের মত পোর খাওয়া রাজনীতিবিদ না হয়েও প্রথম
দিনের প্রচারে তিনি
বুঝিয়ে দিলেন হ্যাম
কিসি সে কম ন্যাহিহ্যা যার কথা বলছি তিনি আর কেউ নন তিনি
হলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ জেলা
তৃণমূলের যুব কংগ্রেসের সভাপতি গৌতম পালের
সহধর্মিনী তথা এবারের  হেমতাবাদের 16 নং জেলা পরিষদের আসনের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী পম্পা পাল


রাজনিতি সেই ভাবে তিনি
বুঝেন
না
বিভিন্ন সভা সমাবেশেও ভালো বক্তা তিনি
ননস্বামীর ছত্র ছায়ায়
থেকে এইটুকু বুঝে গেছেন তিনি
মানুষের সুখ দুঃখে
যারা মানুষের সাথে
থাকে তাদের সাথেই
মানুষ থাকেআর তিনি
সেটাই থাকবেন মানুষের পাশে  সারাজীবন ।গতকাল  সরাসরি রাজনীতির মঞ্চে নেমে নিজে
প্রার্থী হয়ে হাজার
মানুষের সামনে দাড়িয়ে তার সুযোগ্য স্বামী কে সাক্ষী রেখে
এই অঙ্গীকার করলেন তিনি


গতকাল সকাল এগারোটায় পম্পা তার রাজনীতি জীবনের অধ্যায় শুরু করলো একটু
অন্য রকম ভাবেআর পাঁচটি দিনের মত সংসারের একঘেয়েমি কাজ নয় এবার
মানুষের সেবায় ব্রত
হতে নিজেকে মানুষের জন্য কিছু করতে
হবে সেই মানসিকতা নিয়েই হেমতাবাদের ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের বাহারাইল ফরেস্ট এর পাশে অস্থায়ী নিজের বাড়ি থেকে
বেরিয়ে পরলেন পম্পা
বাড়ির সামনে মন্দিরে প্রনাম  করে দলের
কর্মী সমর্থক দের সাথে

তবে  তখন অবশ্য
তার পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ তথা স্বামী   গৌতম পালকে
তার সাথে নেন নিগৌতম বাবু তখন বাড়ির পাশেই গায়ে
গামছা জডিয়ে একদম
গ্রাম্য নেতার 
 মত করে আগামী দিনের প্ল্যানিং করছেন কর্মিদের সাথে কিভাবে এরপর
এগোবেনতাই স্ত্রী আর তাকে কোন ডিস্টাব করেন নি




(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

কারন
তিনি জানেন তার স্বামী যখন পরিকল্পনা করেন
প্রতিনিয়ত তা মানুষের জন্যই করেন তাই তিনি আর বাড়িতে সময় নষ্ট না করে ঘড়ির কাটায়
ঠিক বারোটায় বেড়িয়ে পড়লেন তার স্বামী কে।। 




এইগো
আসছি  বলে ।।।এর পর কর্মি
সমর্থদের নিদেশে মাথায়
উপর সূর্যের প্রচন্ড উত্তাপ কে উপেক্ষা করে গাড়িতে চড়ে বেড়িয়ে পড়লেন এই গ্রাম থেকে গ্রামেকখনো পায়ে হেটে
কখনো গাড়িতে চেপে


এইভাবেহেমতাবাদেরচৌনগর,আসমাহাট,জাতপুর,শিমুন্ডাঙ্গা,সন্তরাস,বিরগ্রাম,মহিষাগাও,পাহারপুর,ভরতপুর,মানিকপাড়া,একদিনে প্রায়
কুড়িটির বেশী
গ্রামের মানুষের সাথে
দেখা করলেন তিনিসবার
কাছে গিয়ে তার সাফ কথা আমি নতুন, আমি আপনাদের মেয়ে,গ্রামের মেয়ে হয়ে মানুষের কাজ করতে চাই,আমাকে সুযোগ দিন

আমাদের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানাজীর সাথী হয়ে গ্রামের মানুষের সাথে
গ্রামের উন্নয়ন যেখানে যাচ্ছেন তিনি সেখানেই উপচে পড়ছে ভীড়যেন মনে হচ্ছে হেভীওয়েট কোন নেতা বা মন্ত্রীর আগমন ঘটেছে
এই গ্রামগুলিতেসর্বত্র যেন  উত্সবের মেজাজমনে হচ্ছে বাড়ি মেয়ে অনেকদিন পরে বাড়ি ফিরলো


এক গ্রাম থেকে আরেক
গ্রাম  
ছুটছেন যখন তিনি
তখন রাস্তার পাশে
মানুষরা বাড়ি থেকে
বেড়িয়ে আসছেন আর তার সামনে গিয়ে
মাথা ছুয়ে আশিরবাদ  দিয়ে বলছেন মা
তুমি এগিয়ে যাও আমরা তোমার সাথে আছি
 

এই  ভাবেই এই কথা কখনো রাজবংশী ভাষায়
কখনো দেশী ভাষায়
মানুষেরা তাকে বলছেনএর মাঝেই আবার তাকে
মানুষদের কাছ থেকে
শুনতে হল যে তাদের গ্রামের কৃষি
সেচ ব্যাবস্থ্যা তেমন ভালো নয় সেদিকে জিতার পড় তাকে লখ্য দিতে হবেকারন আগে যিনি কংগ্রেসের ছিলেন এখানে তিনি
তেমন কাজ করেন
নি

দীর্ঘ ৩৪বছর
ধরে প্রত্যন্ত সীমান্ত এলাকার এই তিনটি পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ন এলাকার মানুষ ছিল
একেবারে বঞ্চিত।মুলত উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ ব্লকের চৈনগর
,
বিষ্ণুপুর ও
নওদা এই তিনটি পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত জেলা পরিষদের এই আসনটিতে বরাবরই বামেদের   শক্তঘাটী ছিল । কিন্তু তারা কিছুই করে নি।
তাই এবার গ্রামের সমস্যা গুলো তাকেই সমাধান করতেই হবে


পর পর পায়ে হেটে এই
ভাবে একের পর এক গ্রাম গিয়ে যে ভাবে মানুষদের সাথে পম্পা দেখা করেছেন তাতে কারো একবারের
জন্য বোঝার উপায় নেই যে তিনি এই গ্রামের কেউ নন।কখনো আবার প্রার্থী পম্পা কে দেখা গেল
একটি বাড়িতে ঢোকার আগেই একটি বৌ বাড়ির  সামনে
উঠোনে মাছ কুটছিলেন সেখানেই বসে যেতে আর তার সাথে গল্প করে তার সাথে একটু মাছ ও তিনি
কুটে দেন।সবাই অবাক তার এই সব দেখে।অনেকে বলতে শোনা গেল এমনি মেয়ে দরকার আমাদের ।যে
আমাদের মনের জ্বালা বুঝবে নিজের মতো করে।প্রচন্ড গরমের মধ্যেও তাকে দেখে মনে হচ্ছে
না ক্লান্ত ।তবে কর্মী সমর্থক দের চাপে পড়ে তাকে অবশ্য মাঝে মাঝে গ্রামের কল থেকে জল
খেতে হয় ।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


পম্পা হয়ত সেই অর্থে রাজনীতি বোঝেন না তবে ভালোবাসা দিলেই যে ভালোবাসা পাওয়া
যায় সেটা ভালোভাবে বুঝতে পারেন তাই গ্রামের কোথাও কোথাও তিনি যখন যাচ্ছেন তখন নিজেই
গ্রামের কোন বাচ্চা কে নিজের মায়ের কোল থেকে নিজের কোলে নিয়ে নেন।আর ওই বাচ্চার সাথে
একটু মজা মশকরাও করেন।সবাই অবাক এমন কেউ আগে তাদের এতো আপন করেননি।তবে সব কিছুর মাঝে
 হেমতাবাদ যুব  তৃণমূলের ব্লক  সভাপতি শাহাজান আলি সব সময় তার বৌদিকে আগলে রাখেন।
কারন দাদার আদেশ । 


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


 তিনি অনেক জায়গায় বৌদির
পরেই গ্রামের মানুষদের সামনে বলেন এমন প্রার্থী কে আমরা পাব স্বপ্নে ও ভাবিনি।এটা আমাদের
সৌভাগ্য।তিনি বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামের মানুষের
মন জয করে চলেছেন  তাতে এমন মানুষ যদি গ্রামের
মানুষ গুলির পাশে থাকে তবে গ্রামের  উন্নয়নের   কোন চিন্তা নেই।মানুষের সমস্যার সমাধান কিভাবে
করতে হয় তা তিনি দেখিযে দিবেন।কারণ তার পাশে তার সুযোগ্য স্বামী রয়েছে গৌতম দা।তাই
পম্পা বৌদির জয় যে এখন সময়ের অপেক্ষা সে ব্যাপারে বলার অপেক্ষা রাখে না।এদিকে একের
পর এক যখন পম্পা সভা করে চলেছেন তখন হঠাত ভাবেই হাজির তার স্বামী গৌতম বাবু ক্ষণিকের
জন্য উপস্থিত হয়ে কর্মী সমর্থক দের কাছে সব কিছু শুনে নেন সব কিছু ঠিক ঠাক আছে কিনা।ততক্ষণ
কর্মী সমার্থক দের অনুরোধে দাদা বৌদিকে একসাথে একটু হাঁটতে অনুরোধ করেন সবাই ।  


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

ততক্ষণ কর্মী সমর্থক দের উত্সাহ দ্বিগুণ বেড়ে যায়
আর ও ।পাশাপাশি অনেক কে আবার দেখা যায় একটা সেলফি তুলে রাখতে।পাশাপাশি প্রচুর মানুষকে
দেখা যায় তাদের দুইজন কে দুই হাত দিয়ে আশীর্বাদ দিতে।গ্রামের সবাই বলেন তোমরা আমাদের
গ্রামের অতিথি নয আমাদেরই গ্রামের সন্তান সমতুল্য তাই ভোট বাক্সে কি হবে তা নিয়ে তোমাদের
 চিন্তা করতে হবে না।এরই মাঝে গৌতম বাবু প্রতিবেদক
কে বলেন গ্রামের মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে যেভাবে গ্রামের উন্নয়ন শুরু হয়েছে তাতে উত্তর
দিনাজপুর ও পিছিয়ে নেই।সমান তালে তালে জেলার প্রত্যন্ত এলাকা গুলিতে উন্নয়ন শুরু হয়েছে
।বিগত বামফ্রন্ট সরকারের আমলে গ্রাম বাংলাকে তারা ৩৪  বছর পিছিয়ে দিয়েছিল ।তারা  সব দিক দিয়ে গ্রাম বাংলাকে পিছিয়ে দিয়েছিল ।আজ আর
পিছিয়ে নয এবার এগোবার পালা।তাই উন্নয়নে এখন এগিয়ে চলছে সারা বাংলা।গৌতম বাবু বলেন
পিছিয়ে পড়া উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদের বিভিন্ন গ্রামে উন্নয়নের তকমা লাগলেও এখনো
উন্নয়নের দিক থেকে বঞ্চিত চৌনগর,নওদা ও বিষ্ণুপুর ।আর সেই উন্নয়নের এবার হবে গ্রাম
বাসীদের আশীর্বাদ নিয়েই ।উল্লেখ্য এই ভাবেই প্রথম দিনে সব রাজনৈতিক দল কে হাজারো মাইল
দুরে ঠেলে দিয়ে প্রচারে  বাজিমাত করে বিভিন্ন
রাজনীতির দল কে হাজারো মাইল দূরে ঠেলে দিয়ে রাজনীতির পরীক্ষায় একশ তে একশ পেলেন উত্তর
দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদের 16 নং জেলা পরিষদের আসনের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী পম্পা
পাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর..