কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের টাঙ্গন নদীর জল ক্রমশ বাড়তে শুরু করায় বন্যার আতঙ্ক মানুষের মধ্যে–
1 min readকালিয়াগঞ্জ ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের টাঙ্গন নদীর জল ক্রমশ বাড়তে শুরু করায় বন্যার আতঙ্ক মানুষের মধ্য
তপনচক্রবর্তী–কালিয়াগঞ্জ(উত্তরদিনাজপুর)–কালিয়াগঞ্জব্লকের রাধিকাপুররের টাঙ্গন নদীর জল বৃদ্ধি পাওয়ায় রাধিকাপুর এলাকার মানুষদের বিগত দিনের ভয়াবহ বন্যার আতঙ্কে ফিন কাটছে বলে জানা যায়।রাধিকাপুরের বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দারা জানায় এই মুহূর্তে টাঙ্গন নদীর বাঁধে বেশ কিছু এমন দুর্বল জায়গা আছে সেখানে আগে থেকে সতর্কতা
মূলক ব্যবস্থা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিতে পারলে ভবিষ্যতে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবেনা নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের।রাধিকাপুরের বর্ষীয়ান প্রাক্তন শিক্ষক মুকুল রায় বলেন রাধিকাপুরের টাঙ্গন নদীর কিছু কিছু বাঁধের জায়গার অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়।বর্তমানে যে হারে রাধিকাপুরের টাঙ্গন নদীর জল বেড়ে চলেছে তাতে রাধিকাপুরের সাধারণ মানুষ বন্যার আতঙ্কে ভুগছে বলে জানা যায়।তাদের বক্তব্য এই মুহূর্তে টাঙ্গন নদীর বাঁধের
যেখানে যেখানে অবস্থা খারাপ হয়ে আছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে গুরুত্ব দিয়ে সেই সমস্ত খারাপ জায়গা গুলোর মেরামতির পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে তারা মনে করে। রাধিকাপুরের বাসিন্দারা জানালেন টাঙ্গন নদীর বাঁধের অবস্থা এই মুহূর্তে সবচেয়ে খারাপ হয়ে আছে উত্তর শ্রীকৃষ্ণপুর এবং বাঘুরাশ্মশান এলাকায়। রাধিকাপুরের টাঙ্গন নদীর অবস্থা অবিলম্বে জেলা ও ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরেজমিনে পরির্দশন করে বন্যা রোধে প্রাথমিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলে গ্রাম বাসীরা মনে করেন।কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক তপন দেবসিংহ এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন রাধিকাপুরের টাঙ্গন নদী নিয়ে ব্লকের বিডিওর সাথে কথা হয়েছে।খুব শীঘ্রই এলাকায় গিয়ে সবকিছু দেখে শুনে যাতে আগাম প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায় তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।কালিয়াগঞ্জ ব্লকের যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক পরিমল দাস এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন শুক্রবার রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বন্যার আগাম সতর্কতা নিয়ে একটি বৈঠক তিনি করেছেন।সেখানে বিস্তারিত ভাবে সবকিছু আলোচনা করা হয়েছে।শনিবার আবার রাধিকাপুরে যাবেন নদীর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে।পরিমল বাবু বলেন আমরা আগাম ব্যবস্থার মধ্যে বেশ কয়েকটি নৌকা আগে থেকেই ব্যবস্থা করেছি।বন্যা যদি হয় সেক্ষেত্রে দুর্গতদের ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে,রেসকিউ সেন্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।আমরা নদী বাঁধের দুর্বল জায়গা গুলি চিহ্নিত করে সেগুলোর সংস্কার যাতে করা যায় সে নিয়ে পদক্ষেপ নেবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে পরিমল বাবু জানান।