October 25, 2024

বিরল ঘটনা ! রাধিকাপুরের বিষ্ণুমন্দিরে স্বয়ং কার্তিক ? ফুল ছিটিয়ে ফুলের মালা পরিয়ে স্বাগত জানাল গ্রামবাসীরা

1 min read

বিরল ঘটনা ! রাধিকাপুরের বিষ্ণুমন্দিরে স্বয়ং কার্তিক ? ফুল ছিটিয়ে ফুলের মালা পরিয়ে স্বাগত জানাল গ্রামবাসীরা 

তন্ময় চক্রবর্তী চেনা গণ্ডির জগত ছেড়ে  স্বয়ং কার্তিক এবার পৌঁছে গেলেন বিষ্ণু মন্দিরে।  কার্তিক এর  এমন  মহতী উদ্যোগে খুশি সাধারণ মানুষরা। তাই কার্তিকের  গলায় মালা পরিয়ে অভিনন্দন জানালো গ্রামের মানুষরা।  এই ঘটনায় রীতিমত আপ্লুত হয়ে যান স্বয়ং কার্তিক।

তাই খুশি মনে বিষ্ণুর মন্দিরের উন্নতিকল্পে কার্তিকবাবু  সঙ্গে সঙ্গে কিছু আর্থিক সাহায্য করলেন সেখানে। এই কার্তিক আর কেউ নয় ,স্বয়ং উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল।

ভারত বাংলাদেশ এর সীমান্তবর্তী রাধিকাপুর এর একটি গ্রাম নারায়ণপুর। সীমান্তবর্তী এই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষেরই রুটি-রুজি নির্ভর করে কৃষি কাজের উপর।

সীমান্তঘেঁষা এই নারায়ণপুরের এক হতদরিদ্র পরিবারের কৃষক  গোপেন চন্দ্র রায় গত ৫ বছর ধরে তার হাতের জাদুতে তৈরি করে ফেলেছেন আস্ত একটি বিষ্ণুমন্দির। যে  মন্দির আজ অখ্যাত নারায়ণপুরকে রাতারাতি করে তুলছে বিখ্যাত একটি গ্রাম হিসেবে।

গোপেন বাবু সামান্য একজন কৃষিজীবী হয়েও নিজের হাজারো কষ্টের মধ্যে থেকে তার আদম্য ইচ্ছা ও মনের জেদে নিজে হাতে এই বিষ্ণুমন্দির তৈরি করে  ফেলেছেন। আগামী দিনে তার এই বিষ্ণুমন্দির এর খ্যাতি কোন দিকে যাবে সেই ভাবনা চিন্তা হয়তো তার ছিল না, তার ছিল এই মন্দির কে কতটা  সুন্দর একটি মন্দির গড়ে তোলা যায় সেটাই ছিল  যার একমাত্র লক্ষ্য।

সেই গোপেন চন্দ্র রায় গত ৫ বছর ধরে তিল তিল করে বানানোর পর এখন  এই নারায়ণপুরের এই অখ্যাত গ্রাম যেন আজ আস্তে আস্তে শিখরের চূড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে। এই অখ্যাত  হতদরিদ্র কৃষকের হাতে তৈরি বিষ্ণুমন্দির গড়ার কাহিনী লোকমুখে শোনার পর আজ সরাসরি সেখানে হাজির হয়ে যায় কালিয়াগঞ্জ এর উন্নয়নের কান্ডারী বলে পরিচিত পৌরসভার নতুন প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল।

 

তিনি সেখানে যাওয়া মাত্রই গ্রামের মানুষরা তাকে ঘিরে বিপুল উৎসাহে কখনো ফুল ছিটিয়ে কখনো বা আবার মালা পরিয়ে  তাকে অভিনন্দন জানান। এরপর কার্তিক বাবু মন্দিরটি সম্পূর্ণ ঘুরে দেখেন এবং ঘুরে দেখার পর আপ্লুত হয়ে সবার সামনে বলেন এই মন্দির জেলার পর্যটন মানচিত্রে যাতে স্থান করে নেয় তিনি তাঁর তরফ থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবেন।

শুধু এটুকুই বলে তিনি ক্ষান্ত থাকেন নি তিনি সঙ্গে সঙ্গে মন্দির গড়ার কারিগর কে তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু আর্থিক সাহায্য করলেন আগামী দিনে মন্দির কে আরো সুন্দর করে তোলার জন্য। এক সাক্ষাৎকারে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাধিকাপুর নারায়ণপুরের গোপেন চন্দ্র রায়ের হাতের জাদুতে কিভাবে একটি আস্ত বিষ্ণু মন্দির গড়ে উঠেছে তা সত্যিই এক বিরল ঘটনা। তিনি বলেন লোকমুখে জানতে পেরে আজ সেখানে যান তিনি। কার্তিক বাবু বলেন মন্দির দেখে আমি খুবই অভিভূত। এই বিষ্ণু মন্দির তৈরি করতে যা যা সহযোগিতা দরকার তিনি তা করবেন বলে জানান। অখ্যাত এই নারায়ণপুরের বিষ্ণুমন্দির কে ঘিরে যাতে এখানে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠতে পারে তার জন্য তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবেন।বিষ্ণু মন্দির তৈরীর কারিগর গোপেন চন্দ্র রায় বলেন কাত্তিক বাবুর এই মানসিকতা  তার এই কাজকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে এবং আগামী দিনে এই বিষ্ণুমন্দির কে আরো সুন্দর  করে তুলবেন। অন্যদিকে গ্রামবাসীরা বলেন গোপেন বাবু তাদের কাছে আজ ভগবান রূপে আবির্ভূত হয়েছেন কারণ একটাই তার হাত ধরে যদি গ্রামের চেহারা বদলে যায় তাহলে এর চেয়ে আনন্দ কিছু হতে পারে না।

 

6 thoughts on “বিরল ঘটনা ! রাধিকাপুরের বিষ্ণুমন্দিরে স্বয়ং কার্তিক ? ফুল ছিটিয়ে ফুলের মালা পরিয়ে স্বাগত জানাল গ্রামবাসীরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *