October 25, 2024

কালিয়াগঞ্জ বাসীর স্বপ্নের স্টেডিয়াম তৈরীর কাজ আবারো জোরদার ভাবে শুরু হল। বসতে চলছে স্টেডিয়ামে হাইম্যাক্স আলো

1 min read

কালিয়াগঞ্জ বাসীর স্বপ্নের স্টেডিয়াম তৈরীর কাজ আবারো জোরদার ভাবে শুরু হল। বসতে চলছে স্টেডিয়ামে হাইম্যাক্স আলো

তন্ময় চক্রবর্তী থমকে যাওয়া লক ডাউন এর জেরে কালিয়াগঞ্জ এর উন্নয়নের এক্সপ্রেসের চাকার গতি আবারো দ্রুত গতিতে চালানোর উদ্যোগ নিলেন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার নতুন প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল।

সব সময় মানুষের পাশে থাকা যার স্বপ্ন, গত ৩০ বছরে পিছিয়ে থাকা কালিয়াগঞ্জ এর উন্নয়ন করা যার চ্যালেঞ্জ সেই তরুণ তুর্কি কালিয়াগঞ্জ এর উন্নয়নের কান্ডারী কার্তিক চন্দ্র পাল আবারো লকডাউন এর জেরে থেমে থাকার পর নতুন উদ্যমে উদ্যোগ নিলেন থেমে থাকা কালিয়াগঞ্জ শহরের উন্নয়নমূলক কাজের গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে।

আজ তিনি সেই লক্ষ্যে  লক ডাউনের জেরে থমকে থাকা কালিয়াগঞ্জ এর রশিদপুরে নবনির্মিত স্টেডিয়াম এর কাজ পুনরায় চালু করতে সেখানে যান। সেখানে গিয়ে সেই কাজের অগ্রগতি কতটা হয়েছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত ভাবে খোঁজ নেন।

স্টেডিয়ামের প্রতিটি কাজের অগ্রগতির পুঙ্খানুপুঙ্খ খোঁজ নিলেন তিনি। লকডাউন এর জেরে কালিয়াগঞ্জ শহরে যে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজগুলো থমকে ছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল শহরের নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ।

এই কাজ যাতে পুনরায় জোর গতিতে শুরু হয় তিনি আজ থেকেই সেই উদ্যোগ  নিলেন। পাশাপাশি তিনি এদিন পৌরসভার পক্ষ থেকে এখানে একটি উচ্চ বাতিস্তম্ভ লাগানোর ব্যাপারেও বিশেষ উদ্যোগ নিলেন।

এক সাক্ষাৎকারে পৌরসভার প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন, কালিয়াগঞ্জ বাশির  দীর্ঘদিনের স্বপ্ন কালিয়াগঞ্জ এর  নতুন স্টেডিয়াম তৈরীর কাজ যখন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছিল তখন মাঝ পথে হঠাৎই লকডাউন হওয়ার ফলে এই কাজ থমকে যায়। বর্তমানে স্টেডিয়ামের পাইলের কাজটি পুরোপুরি সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। এখন মূল স্টেডিয়াম এর কাজটা শুরু হবে।

তিনি  বলেন এই স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজটি যেহেতু একটি বড় কাজ তাই এই বছর এই কাজ  পুরোপুরি সম্পূর্ণ করা যাবেনা তবে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন আগামী ২০২১ সালের মধ্যে  এই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। প্রশাসক বলেন বর্তমানে এখন এই স্টেডিয়ামে স্ট্রাকচার তৈরির কাজ  হবে, পাশাপাশি গ্যালারি তৈরীর কাজ এবং খেলোয়াড়দের জন্য ঘর তৈরি হবে। তিনি আরো বলেন সামনে বর্ষা মৌসুম আসছে তাই একটু প্রতিবন্ধকতা সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তবুও তারা চেষ্টা করছেন স্টেডিয়াম তৈরীর কাজ যাতে দ্রুততার সাথে হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে। কার্তিক বাবু আরো বলেন লকডাউন এর জেরে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকলেও এখন আর কোন সমস্যা নেই এই কাজ করতে। তাই এই কাজ  যে সমস্ত শ্রমিকরা করবে তারা ইতিমধ্যে এখানে চলে এসেছেন এবং পাশাপাশি এই স্টেডিয়াম নির্মাণ করতে যে সমস্ত সামগ্রী দরকার সেগুলো এখানে আনা হয়ে গিয়েছে। এই সপ্তাহ থেকে আবারও জোরদারভাবে শুরু হয়ে যাবে স্বপ্নের স্টেডিয়াম। এর পাশাপাশি এদিন পৌরসভার প্রশাসক বলেন স্টেডিয়াম চত্বরে যাতে আলোয় আলোকিত করা যায় তার জন্য তারা সব সময় যথেষ্ট সজাগ রয়েছে। তাই আজ তারই লক্ষ্যে পৌরসভার ইলেকট্রিক সুপারভাইজার কে নিয়ে এখানে একটি সার্ভে করা হয়েছে। যাতে খুব তাড়াতাড়ি স্টেডিয়াম চত্বরে উচ্চ বাতিস্তম্ভ লাগানো যায়। তিনি বলেন এই স্টেডিয়াম নির্মাণ করতে প্রাথমিক ভাবে ৫  কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তবে এত বড় কাজ  এই টাকা দিয়ে সম্পূর্ণ হবে না।আগামী দিনে আরো টাকা পেলে স্টেডিয়ামটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাবে তৈরি করা সম্ভব বলে তিনি জানান। সবশেষে তিনি বলেন গত ৩০  বছরে কালিয়াগঞ্জ শহরের মানুষকে নিয়ে শুধু ছিনিমিনি খেলে গিয়েছেন বিগত কংগ্রেস পরিচালিত পৌর বোর্ড ও সিপিআইএমের তৎকালীন এডহক পৌর বোর্ড।তারা মানুষের মানবিকতা নিয়ে শুধু ছিনিমিনি খেলে গিয়েছেন গত ৩০ বছর ধরে। উন্নয়ন বলতে কালিয়াগঞ্জ এর মানুষ ছিটেফোটাও দেখতে পায়নি। যবে থেকে কালিয়াগঞ্জ এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বের পৌরবোর্ড গঠন হয়েছে তবে থেকেই মানুষ শুধু স্বপ্ন নয় সেই স্বপ্নের ও বাস্তব রূপ দেখতে পাচ্ছে দুচোখ দিয়ে। তাই সবশেষে তিনি বলেন বিখ্যাত না হয়ে জীবন কাটালেও সুন্দর জীবন কাটানো সম্ভব, কিন্তু জীবনের মত জীবন না কাটিয়ে বিখ্যাত হওয়া কখনও সুন্দর জীবন হতে পারে না

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *