কালিয়াগঞ্জ এর করোনা যোদ্ধা পুর প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পালকে সম্বর্ধনা জানান শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের নাগরিকরা।
1 min readকালিয়াগঞ্জ এর করোনা যোদ্ধা পুর প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পালকে সম্বর্ধনা জানান শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের নাগরিকরা।
তন্ময় চক্রবর্তী। নোভেল করোনাভাইরাস কোভিড–১৯–এ মহামারী রোগ থেকে নিস্তার পেতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে গোটা দুনিয়া। লকডাউন আশ্রয় নিয়েছে ভারতের মতো অনেক দেশ। নজিরবিহীন এই সংকটে জীবন না জীবিকা। কোনটা রক্ষা করা সবচেয়ে বেশি জরুরি।
এই দোটানায় পড়তে হচ্ছে সংশয় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার গুলিকে। সারাদেশ এখন ভাইরাসের প্রকোপ অনুযায়ী লাল, কমলা ও সবুজ অঞ্চলে চিহ্নিত। যে কোন সময় অবশ্য বদলে যাচ্ছে রং।
অঞ্চলভেদে কোথাও বা ছাড় মিলছে এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে। এই সময় করোনা র বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন করোনা যোদ্ধারা। এদের মধ্যে একজন উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপতি তথা বর্তমানে পুর প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল। যিনি লকডাউন এর প্রথম দিন থেকে জীবন
কে বাজি রেখে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন মানুষের জন্য।এই লক ডাউন এর মধ্যে কালিয়াগঞ্জ পৌরশহরের নাগরিকদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য বারেবারে মানবিকতার পরিচয় দিয়ে তাদের পাশে গিয়ে কখন ও খাদ্য সামগ্রী দিয়ে কখনো বা আবার শহরের বিভিন্ন নাগরিক দের এই লকডাউন এর মাঝে কোন সময় করোনা মোকাবেলায় যে সমস্ত সামগ্রী দরকার প্রাথমিকভাবে সেগুলো দিয়ে কখনোবা আবার শহরের বিভিন্ন অলিগলির মানুষরা যাতে ভালো থাকে তার জন্য পৌরসভার সাফাই কর্মীদের দিয়ে বারে বারে জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটিয়ে শহরের নাগরিকদের কাছে পৌর প্রশাসক আপন হয়ে গিয়েছেন।তাই পৌর প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল এর ভূমিকায় সন্তুষ্ট হয়ে এবার তাকে উৎসাহিত করতে আজ দেখা গেল শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের নাগরিকরা ফুলের স্তবক নিয়ে এবং মিষ্টি নিয়ে হাজির হলেন সরাসরি পৌরসভায় প্রশাসকের অফিস ঘরে।ফুলের স্তবক ও মিষ্টি গ্রহণ করে প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন আমি আজ গর্বিত যে মানুষের জন্য কিছু করতে পেরেছি এই লকডাউন এর মধ্যেও। তাই শহরের নাগরিকরা আজ আমাকে এতটাই ভালোবেসে ফেলেছে যে তারা তাকে ফুলের স্তবক ও মিষ্টিমুখ করিয়ে সংবর্ধনা দিলেন। তিনি বলেন আগামীতে এইভাবে কাজ করে যেতে চান মানুষের জন্য মানুষের পাশে থেকে। কালিয়াগঞ্জ এর তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শিমু রায় জানালেন, করোনা মোকাবেলায় যে ভাবে প্রাক্তন পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল এই বিপদের দিনে তার নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে শহরের প্রত্যেকটি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাতে তারা খুবই আনন্দিত এবং গর্বিত।এর ফলস্বরূপ তারাও তাকে এই কাজে স্পৃহা জোগাতে ফুলের স্তবক দিয়ে এবং মিষ্টিমুখ করিয়ে সম্বর্ধনা জানালেন। তিনি বলেন তারা কয়েকজন মিলে এসে পৌর প্রশাসক কে এই সম্বর্ধনা দিতে পেরে তারাও খুব আনন্দিত। তিনি বলেন এই ভাবে তিনি কাজ করে চলুক মানুষের জন্য, মানুষের পাশে থেকে।