স্বার্থহীন ভালোবাসার অপর নাম মা, আজ আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবস, করোনার আতঙ্কের মাঝেও মা।
1 min readস্বার্থহীন ভালোবাসার অপর নাম মা, আজ আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবস, করোনার আতঙ্কের মাঝেও মা।
জয়ন্ত বোস, কালিয়াগঞ্জ। স্বার্থহীন ভালোবাসার অপর নাম ছোট্ট একটি শব্দে গড়া মা। প্রতিটি দিন তোমার মাগো, তুমি ছাড়া তো আমি এবং আমার মা ডাক টাই হতো না মা। মাগো ধন্য এই জীবন তোমায় পেয়েছি মা।
মা তুমি আছো, থাকবে চিরদিন প্রতিদিন আমার হৃদয় জুড়ে মা। প্রিয় মা, তুমি আমার চারপাশে তোমার স্নেহের আর যত্নের হাত রেখে আমায় কখনও কোনও কষ্ট পেতে দাওনি… আমি যেন সবসময় ভালো থাকি, সেটাই চেয়ে এসেছ।
তোমার ঋণ শোধ করা কখনও সম্ভব নয় আমি জানি, সেই চেষ্টাও আমি করি না কখনও, শুধু চাই তুমি যেন চিরকাল আমার মাথায় তোমার আশীর্বাদের হাতটা একইভাবে রেখে দাও। অনেক ভালোবাসা মা। দূরে যখন থাকি, তোমার ছবি আঁকি। বিপদ যখন আসে, তুমি থাকো পাশে। অসুখ যখন হয় রাত জেগে তুমি থাকো।
পৃথিবীর যেখানেই যাই, তোমার তুলনা নাই! আজকের প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবস নিয়ে লিখতে গিয়ে একটু আবেগ তাড়িত হয়ে পরা। একটু সামলে নিয়ে পুনরায় প্রতিবেদনে ফিরে আসা। ১০ মে আন্তজার্তিক মাতৃ দিবস। মা তো সকলের জন্য প্রতিনিয়ত প্রতিদিন।
কিন্তু কেন এই বিশেষ দিনটি মাতৃ দিবস উপলক্ষে পৃথিবীব্যাপী পালন করা হয়ে থাকে একটু বিশ্লেষণ করতেই হয়।এই বিশেষ দিনটিকে মায়েদের সম্মান জানানোর জন্যই নির্দিষ্ট করা হয়েছে। মা এমনই একটা জিনিস যার সঙ্গে পৃথিবীর কোনও দামী বস্তুর তুলনা হয় না। প্রতিটি মানুষের জীবনেরই অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ মা।
আর এই মায়ের জন্য কোনও বিশেষ দিনের দরকার হয় না। মায়ের জন্য সম্মান, ভালবাসা, শ্রদ্ধা জানাতেই এই বিশেষ দিনের আয়োজন। মায়ের জন্য নির্ধারিত এই স্পেশ্যাল দিনটি শুধু মায়ের। তাই বিশেষ এই দিনে প্রত্যেকেই নিজের মতোন করে মাকে বিশেষ সম্মান জানায়।বিশ্ব মাতৃদিবস সর্বপ্রথম শুরু হয়েছিল আমেরিকাতে। আমেরিকার আনা জার্ভিস নিজের মাকে খুবই ভালবাসতেন। নিজেও কখনও বিয়ে করেননি। তাই মায়ের মৃত্যুর পরই মাকে বিশেষ শ্রদ্ধা জানাতে এই বিশেষ দিনটার প্রচলন শুরু করেন। তিনিই প্রথম ১৯০৫ সালে মাতৃদিবসকে স্বীকৃত দেওয়ার জন্যই লড়াই শুরু করেছিলেন। বিশ্বের সমস্ত মায়েদের জন্যই ছিল তার এই লড়াই। শুরুর দিকে এই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিল মার্কিন কংগ্রেস। অবশেষে আমেরিকার সব প্রদেশ তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে ওই দিন ছুটি পালন করে। তারপর থেকেই সারা দেশে এই দিনটা খুব ধুমধাম করে পালন করা হয়। পৃথিবীর সকল মায়েদের জন্য এই বিশেষ দিনটি পালিত হয় বলেই জীবনে চলার পথে শক্তি পেতে, আশির্বাদ পেতে পেয়েছি মাটির গড়া প্রতিমা মা, সন্তানহীন বিশ্বের সন্তানদের মা সারদা মা, মা মাদার টেরেসা এবং জন্মদাতা মা কে। যাঁর সঙ্গে জড়িয়ে আছে নাড়ির টান, জীবনের প্রথম শিক্ষাগুরু,জীবনের সবচেয়ে বড় আধার- মাকে। আজকের দিনে এই প্রতিবেদন লিখতে গিয়ে এক কষ্ট, দুঃখ, বেদনা, জ্বালা, আতঙ্কের মাঝেই মায়েদের জন্য ভালোবাসা, শ্রদ্ধা নিবেদনের ভাষা খুঁজতে হচ্ছে। কারন বিশ্ব ত্রাস করোনার থাবায় ইতিমধ্যেই বিশ্ব জুড়ে কত মায়ের প্রান চলে গেল, কত মায়ের কোল খালি হয়ে গেল। চারিদিকে করোনার আতঙ্ক থাবা বসিয়েছে। মন খারাপের বছর ২০২০। তবুও ঘরবন্দি জীবনে আমাদের একমাত্র ভরসা মা। সব শক্তির উৎস। পৃথিবীর কাছে যেমন সূর্যের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, মাছের কাছে যেমন জলের প্রয়োজনীয়তা, কবির কাছে যেমন কলমের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, সন্তানের কাছে তেমন মায়ের প্রয়োজনীয়তা ছাড়া আর অন্য কিছুই নেই। প্রথম স্পর্শ মা, প্রথম পাওয়া,প্রথম পাওয়া মা, প্রথম শব্দ মা, প্রথম দেখা মা,আমার গোটা পৃথিবী তুমি মা।দুনিয়ার সব কিছুই বদলাতে পারে,কিন্তু তোমার প্রতি সন্তানের ভালবাসা কখনো বদলাবার নয় মা। আব্রাহাম লিংকন বলেছিলেন যার মা আছে সে কোনদিন গরীব নয়। ওপরে যার শেষ নেই তা হল আকাশ। আর পৃথিবীতে যার শেষ নেই সেই হলো মা। প্রিয় মা, তুমি আমার চারপাশে তোমার স্নেহের আর যত্নের হাত রেখে আমায় কখনো কোনো কষ্ট পেতে দাও নি… চেয়েছো আমি যেন সবসময় ভালো থাকি। তোমার ঋণ শোধ করা কখনো সম্ভব নয় আমি জানি, সেই চেষ্টাও আমি করি না কখনো, শুধু চাই তুমি যেন চিরকাল আমার মাথায় তোমার আশীর্বাদের হাতটা একইভাবে রেখে দাও। তবুও আজ অনেক মা সন্তানের হৃদয় থেকে দূরে সরে আছে। মা থেকেও মা ডাক কি অমূল্য সম্পদ অনেকেই বুঝে উঠতে পারছে না বা বুঝে উঠেও তাকে নির্বাসিত করছে বৃদ্ধাশ্রমে নতুবা রাস্তায়। যে মা সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছে সেই মা আজ বড় দুঃখিনী মা। না না , মা তুমি কষ্ট পেও না মা। তুমিই তো দশ মাস কত কষ্ট করে পেটে ধরে অসহ্য প্রসব যন্ত্রনায় ছটপট করতে করতে এই সন্তানের জন্ম দিয়ে বুকে আগলে রেখেছিলে মা। সেই যন্ত্রনা তুমিতো ভুলে যাও নি মা। নিজে না খেয়েও সন্তানের মুখে উঠিয়ে দিয়েছিলে খাবার তুমি সেই মা। নিজের স্তন দুগ্ধ পান করিয়ে বড় করেছো তোমার সন্তান কে, তুমি সেই মা। আজ বিশ্ব মাতৃ দিবস। শত কষ্টের মাঝেও তোমার উপস্থিতি, অনুপস্থিতি , তোমার অনাবিল হৃদয়ের হাসি প্রতিটি দিনের সাথে আজ এই বিশেষ দিনে তুমি সকল সন্তানদের হৃদয়ে বিরাজমান। তোমায় শতকোটি প্রনাম মাগো , তুমিই সর্বশ্রেষ্ঠ স্বার্থহীন ভালোবাসা। আজকের দিনে এই প্রতিবেদনে গানের কলিতে বলতে হয় ” ” যার ললাটের ঐ সিঁদুর নিয়ে ভোরের রবি ওঠে.. আলতা রাঙা পায়ের ছোঁয়ায় রক্ত কোমল ফোটে। সেই যে আমার মা, যার হয় না তুলনা।” “