রায়গঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ধাঁচে সমাবর্তন উৎসব করে দেখিয়ে দিল ইচ্ছার বিকল্প কিছুই নেই
1 min readরায়গঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ধাঁচে সমাবর্তন উৎসব করে দেখিয়ে দিল ইচ্ছার বিকল্প কিছুই নেই
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,২৪ উত্তর দিনাজপুর জেলায় এই প্রথম একটি প্রাথমিক স্কুলে অবাক করা কাণ্ড ঘটিয়ে দিল সেই বিদ্যালয়ের কর্মকর্তাগণ। বিদ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের বিদায় সংবর্ধনা। সেটা আবার বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে ধাঁচে। না এটা কোন বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল নয় সোমবার এই ছবি দেখা গেল সরকারি একটি প্রাথমিক বিদ্যালযে যা দেখে এলাকার শিক্ষানুরাগীদায় বললেন ইচ্ছে থাকলে আমরা অনেক কিছুই করতে পারি যেটা করে দেখালো রায়গঞ্জ গার্লস প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক গৌরাঙ্গ চৌহানসহ শিক্ষক শিক্ষিকারা। রীতিমতো চতুর্থ শ্রেণি গেরাবে বিদ্যালয় থেকে বিদায় নেবে সেই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের রায়গঞ্জ গার্লস প্রাইমারি স্কুলের গ্র্যাজুয়েশন সিরিমানির মাধ্যমে অবাক করা কাণ্ড ঘটিয়ে গোটা রাজ্যে তাক লাগিয়ে দিল।সরকারি প্রাথমিক স্কুলের বিভিন্ন পরিকাঠামো নিয়ে নানারকম অভিযোগ শোনা যায় ঘরভাঙ্গা শিক্ষক নেই পড়ুযারা নেই ইত্যাদি।
এরই মধ্যে অনন্য রায়গঞ্জের স্কুলটি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন ধাঁচে তাদের বিদ্যালয় পরিকল্পনা করে এ ধরনের অনুষ্ঠান করা যায়। তাই পরিকল্পনা করেছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌরাঙ্গ চৌহান সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। মঞ্চে Iশোনা গেল প্রয়াত শিল্পী কেকের জনপ্রিয় গান হাম রাহে ইয়া না রাহে কাল কাল ইয়াদ আয়েঙ্গে ইয়ে পল। এই গান শুরু হতেই দর্শক আসনে বসা পড়ুয়ারা গলা মেলাতে শুরু করে। সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের গানের শেষ দেখে কেকের সুর আর সকলের কান্না মিলিয়ে গোটা পরিবেশে।আবেগ ময় হয়ে পড়ে।এক থ সাক্ষাৎকারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌরাঙ্গ বলেন এই বিদ্যালয় ৯১ বছরে পা দিল। এই প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়ুয়ার সংখ্যা ৬৫৪ জন। শিক্ষক উনিশ জন। চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়াদের স্কুল ছাড়ার আগে সংবর্ধনা দেওয়া হল এই দিন। মঞ্চে জেগে নেওয়া হলো এই ক্লাসের বার্ষিক পরীক্ষায় প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় স্থানাধিকারী যবিভাগের রিতিকা বোস সায়ন্তিকা সূত্রধর ও নেহা বর্মনকে। শিক্ষিকারা একে একে তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রাজুয়েশন টুপি ও এপ্রোন পরিয়ে দেন। পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে তাদের দেওয়া হয় ট্রফি। এরপর এই ক্লাসের ১২o জন পড়ুয়াকেই মঞ্চে ডেকে দেয়া হয় টুপি অ্যাপ্রোন ও মেডেল। বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের দেওয়া হয়েছে একটি করে খাতা ও পেন। এখানেই শেষ নয় বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের জন্য ছিল গার্জিয়ান অফ দা ইয়ার পুরস্করা। রায়গঞ্জ গার্লস হাই স্কুলের প্রাথমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক গৌরাঙ্গ চৌহান বলেন গোটা রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ একমাত্র রাজ্য যেখানে এই একটিমাত্র সরকারি প্রাথমিক স্কুল। গ্র্যাজুয়েশন শিরোমনি করে ছাত্রছাত্রীদের বিদায় দেওয়ার ব্যবস্থা করল। এই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল জীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলেই তিনি মনে করেন এবং তিনি বলেন এই ধরনের উদ্যোগ প্রতিটি বিদ্যালয় নিলে বিদ্যালয়ের মান এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেও পড়াশোনার আগ্রহ আরো বেড়ে উঠবে।