দোকান খুলতেই জুটলো পুলিশের মার।
1 min readদোকান খুলতেই জুটলো পুলিশের মার।
পিয়া গুপ্তা চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর লকডাউন এ ছার মিলছে ভেবে গ্রিন জোন উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ, রায়গঞ্জ এর বিভিন্ন কাপড় জুতো বাসন থেকে মনিহারি যাবতীয় সামগ্রীর দোকান খুলে বসেন ব্যাবসায়ীদের একাংশ।কিন্তু তার কিছুক্ষন পরেই লাঠি উচিয়ে সব জায়গায় গিয়ে পুলিশ দোকান বন্ধ করে দেয়।
সোমবারের পরে মঙ্গলবারও একই চিত্র জেলায়। সকাল বেলায় সবজি দোকান ও মুদিখানার দোকান এই সব খোলা থাকলেও দুপুরের পরে সব দোকান বন্ধ করে দিচ্ছে পুলিশ। মঙ্গলবার বেলা 11 টায় দোকানের ঝাঁপ খুলতে শুরু করেছিলেন কাপড়-জামা জুতোর দোকানিরা। কিন্তু পুলিশি অভিযানে মুহূর্তে সব দোকানের ঝাঁপ পড়ে যায়। দোকান খোলা নিয়ে এদিন এমনই টানাপোড়নের ছবি দেখা গেল উত্তর দিনাজপুর জেলায়। জেলা প্রশাসন আধিকারিকেরা জানান লকডাউন এ ছাড়া নিয়ে নবান্ন থেকে কোন নির্দেশই আসেনি তাদের কাছে। উত্তর দিনাজপুর এর কালিয়াগঞ্জ এর বিভিন্ন বাজারে এদিন সকাল থেকে ভিড় উপচে পড়ে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজ্য সড়কে শয়ে শয়ে মোটরবাইক টোটো সাইকেল রিকশা সহ বিভিন্ন যানবাহন চলে।এদিন কালিয়াগঞ্জে মদের দোকান ও বেশকিছু মুদিখানার দোকান ছাড়া বেশিরভাগ দোকান বন্ধ থাকতে দেখা যায় । রায়গঞ্জ পুলিস জেলার সুপার সুমিত কুমার এর বক্তব্য লকডাউন এ কি কি ছার দেওয়া হয়েছে সেই ব্যাপারে কোন রকম নির্দেশিকা আসেনি। ফলে দোকানিদের সতর্ক করা হয়।উল্লেখ্য করোনা সংক্রমণ রুখতে তৃতীয় দফায় আরও ১৪ দিনের জন্য লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করল কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী ৩ মে পর্যন্ত দেশে লকডাউন ছিলই। তা বেড়ে হতে চলেছে ১৭ মে। এই দফার লকডাউনে অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনের জেলাগুলিতে কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করার কথা বলেছে রাজ্য সরকার।
এ দিকে, গ্রিন জোনে প্রায় সমস্ত কাজকর্মের অনুমতি দেওয়া র কথা বলা হয়েছে। সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালানো ও ছোট দোকানপাট খোলা ও সেলুন ও পার্লার খোলার কথা বলা হয়েছে। একই দিকে বলা হয়েছে সকাল 10 টা থেকে সন্ধ্যা 6 টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা থাকবে। এছাড়া মিষ্টির দোকান ও একই সময় খোলা রাখা যেতে পারে। চা-পানের দোকান খোলা থাকলেও সেখানে বসে আড্ডা আর উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।গ্রীন জনে থাকা জেলার সীমানার মধ্যে কুড়ি জন যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল করতে পারবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত গ্রীন গুলোতেও এই সুবিধা গুলো না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।