October 24, 2024

কালিয়াগঞ্জ পৌরশহরে ত্রাণ বিলি নিয়ে পৌরপিতা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বললেন কাউন্সিলারগন

1 min read

কালিয়াগঞ্জ পৌরশহরে ত্রাণ বিলি নিয়ে পৌরপিতা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বললেন কাউন্সিলারগন

তপন চক্রবর্তী–কালিয়াগঞ্জ--উত্তর দিনাজপুর–করোনার ত্রাণ বিলি নিয়ে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পৌর পিতার বিরুদ্ধে তৃণমূলের জনৈক কাউন্সিলর যে অভিযোগ এনেছেন তা এক কথায় ভিত্তিহীন বলেই ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শচীন্দ্র সিং রায় মনে করেন।তিনি বলেন পৌরপিতা কার্তিক চন্দ্র পাল যে পরিচ্ছন্ন ভাবে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার ১৭ টি ওয়ার্ডের নাগরিকদের মধ্যে যে উপায়ে ত্রাণ বিলি করছে তা এক কথায় অভিনন্দন যোগ্য প্রয়াস।

কমিশনার শচীন্দ্র সিংহ রায় বলেন পৌর পিতা ত্রাণ বিলির দায়িত্ব সুপারভাইজারের হাতে দিয়ে একদম সঠিক কাজ করেছেন।আসলে যারা ত্রাণ পাচ্ছেন তাদের কোন অভিযোগ নেই।যার অভিযোগ করার কোন কারণ ই নেই সেই কমিশনার পৌরপিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যার অন্তর্নিহিত কোন একটি কারণ অবশ্যই আছে।

তিনি পৌর পিতার বিরুদ্ধে একটা অভিযো এনে শেষ বেলায় খবরের শিরোনাম হবার একটা প্রচ্ছন্ন প্রয়াস নিয়েছেন মাত্র বলা যেতে পারে।সচিনবাবু বলেন আমার ওয়ার্ডেও ত্রাণ দেওয়া হয়েছে কই কোথাও তো কোন নাগরিক তার ওয়ার্ড থেকে কোন অভিযোগ করেন নি তো?তবে এতবড় একটি কাজে দুই একটি ভুল যে হবেনা তা কেউ বলতে পারেনা।যারা হয়তো কোন ভাবে বাদ পড়েছিল তাদেরকে আবার ত্রাণ দেওয়া হয়েছে।আসলে ত্রাণ এলাকার নাগরিকরা পেল কিনা সেটাই বড় কথা।

কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার অমিত দেবগুপ্ত বলেন তার ওয়ার্ডে বেশ ভালোভাবেই ত্রাণ দেওয়া হয়েছে।আমি নিজে হাতে দিচ্ছিনা তাতে কি হয়েছে?ওয়ার্ডের মানুষ ত্রাণ পাচ্ছে আমার কাছে এটাই বড়কথা।আমার ওয়ার্ডের মানুষ ত্রাণ পাওয়া মানেই আমি কমিশনার হিসাবে তার সাথে যুক্ত আছি।আর সবচেয়ে বড় কথা আমার হয়েইতো পৌর সভার পক্ষ থেকে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে।এতে পৌর পিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর কি আছে বলে কমিশনার অমিত দেবগুপ্ত বলেন।কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার ১৬নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার সীমা দাস চ্যাটার্জি এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন পৌরসভার পৌরপিতা সমস্ত কমিশনারদের নিয়ে মিটিং ডেকে সবার পরামর্শ নিয়ে ত্রাণ দেবার কাজ সুপারভাইজারদের মাধ্যমে দেবার সিধান্ত নেন আমাদের সবার মতামত নিয়েই।সীমা দেবী বলেন আমাদের এ ব্যাপারে কারো কোন অভিযোগ থাকা উচিৎ নয়।আমার ওয়ার্ডে ত্রাণ খুব সুন্দরভাবে দেওয়া হয়েছে।

কারো কোন অভিযোগ নেই।আমার এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ নেই আর থাকারও কোন প্রশ্নই নেই। যিনি পৌর পিতার বিরুদ্ধে ত্রাণ দেবার ব্যাপারে অভিযোগ এনেছেন এর কোন বাস্তবতা নেই তার কাছে।সীমা দেবী বলেন এই দুঃসময়ে আমাদের এলাকার গরীব মানুষেরা পৌর সভার মাধ্যমে ত্রাণ সঠিক ভাবে পাচ্ছে কিনা সেটাই মুখ্য ব্যাপার।আমি দিচ্ছি কি অন্য কেও দিচ্ছে এটা কোন ঘটনা নয়।এই ধরনের অভিযোগের কোন যুক্তি নেই।কারন সবার মতামত নিয়েই যেখানে এই সিধান্ত হয় সেখানে এমন ধরনের অভিযোগ কেন তিনি করেছেন তা যাদের বোঝার মত ক্ষমতা আছে তারা অবশ্যই বুঝেছেন।কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পৌরপিতা কার্তিক চন্দ্র পাল এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন করোনা ভাইরাসের লকডাউনের কারনে পৌরসভার পৌরপিতা কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন কে কি আমার সম্পর্কে বলেছেন এসব নিয়ে আমার মাথাঘামানোর কোন সময় নেই।তবে এটা বলতে পারি যা করেছি সবার মতামত নিয়েই করেছি যাতে দুস্থ ব্যক্তিরা সঠিক ভাবে ত্রাণ পেতে পারে।এদিকে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশগনার শিল্পী সরকার এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন যেহেতু আমি কমিশনার তাই আমার যাচ্ছে কেও এলে আমি পৌরপিতার কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি।তারা পরবর্তীতে আমার কাছে আসছেনা মানেই ত্রাণ পেয়ে যাচ্ছে।এখন কেউ যদি আমার মুখ দিয়ে বাজার গরম করবার জন্য পৌরপিতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ লিখে দেয় আমি সেক্ষত্রে কি করতে পারি।পৌর পিতার বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ আগেও ছিলনা এখনো নেই বলে কমিশনার শিল্পী সরকার জানান।কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার ১৭নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার তথা কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার উপ-পৌরপিতা বসন্ত রায় সোমবার এক স্যক্ষাৎকারে বলেন পৌর সভার ত্রাণ দেবার ব্যাপারে তাদের কাছে কোন অভিযোগ নেই।অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে ১৭ টি ওয়ার্ডেই ত্রাণ দেবার কাজ চলছে।৯নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার পৌরপিতা সম্পর্কে যে অভিযোগ এনেছেন তার কোন ভিত্তি নেই।কারন এই সিদ্ধান্ত মিটিং করেই করা হয়েছিল।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *