জেলা পরিষদের কালিয়াগঞ্জের থানার পাশের পরিত্যক্ত দাতব্য চিকিৎসালয়ের জমিতে সরকারী বাস স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হোক,দাবি
1 min readজেলা পরিষদের কালিয়াগঞ্জের থানার পাশের পরিত্যক্ত দাতব্য চিকিৎসালয়ের জমিতে সরকারী বাস স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হোক,দাবি
তপন চক্রবর্তী–কালিয়াগঞ্জ(উত্তর দিনাজপুর)--উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের জমিগুলি কালিয়াগঞ্জে কিভাবে পরে পরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তার উজ্বল দৃষ্টান্ত কালিয়াগঞ্জের থানার পার্শবর্তী স্থানে গুরুত্বপূর্ন জায়গাটি একটি ভুতরে দাতব্য চিকিৎসালয় দখল করে রেখেছে বছরের পর বছর ধরে।কালিয়াগঞ্জ বাসী মনে করে
এই ভুতরে বাড়ির দেখেশুনে মনে হয় উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদেরও বোধ হয় মনে নেই সেখানে তাদের কত গুরুত্বপূর্ন জমি অবহেলায় অনাদরে পরে রয়েছে। কালিয়াগঞ্জে বেশ কয়েক বছর পূর্বে একটি উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের গ্যারেজ কাম অফিস ছিল তা বহু পূর্বেই হটাৎ করে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অসংখ্য যাত্রীদের অসুবিধা সৃষ্টি করে।
কালিয়াগঞ্জ বাসীর দাবি পুনরায় কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার উদ্দ্যোগে জেলা পরিষদের পরিত্যক্ত জমিতে গড়ে উঠুক উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের অর্থে একটি উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন দপ্তরের অত্যাধুনিক বাস স্ট্যান্ড।যেখান থেকে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র সরাসরি বাসে চেপে যাত্রীরা সহজেই ইচ্ছামত যাতায়াত করতে পারে যাত্রী সাধারনেরা।
জানা গেছে কালিয়াগঞ্জের পৌর পিতা নাকি এই জমি পাওয়ার ব্যাপারে চেষ্টা করেও জেলা পরিষদের কাছ থেকে জমি পাননি।কালিয়াগঞ্জ তিস্তা প্রকল্পের পরে থাকা জমি থেকে জমি নিয়ে পার্ক এবং টাউন হল করবার কাজ শুরু করতে পারে তাহলে কেন জেলা পরিষদ থেকে অকেজো পরে থাকা জমি সাধারণ মানুষের উপকারের জন্য জেলা পরিষদ কালিয়াগঞ্জ পৌরসভাকে জমি হস্তান্তর করতে বাধা।কোথায়?কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক তপন দেবসিং,জেলা পরিষদের কো-মেন্টর অসীম ঘোষ এবং কালিয়াগঞ্জের পৌরপিতা কার্তিক চন্দ্র পাল একসাথে এই বিষয় নিয়ে জেলা শাসকের সাথে আলোচনায় বসে তাকে বোঝাতে পারেন তাহলে জেলা পরিষদের জমি পাওয়া কোন সমস্যায় নয় বলে কালিয়াগঞ্জ বাসীর দৃঢ় বিশ্বাস।একই ভাবে কালিয়াগঞ্জের ডাকবাংলো রোডে জেলা পরিষদ তার মার্কেট কমপ্লেক্সের পাশে একটি বাজার নির্মাণ করে বিগত ১৫বছর ধরে রাখলেও সেখানে আজও কোন বাজার বসেনা।গুরুত্বপূর্ন জায়গাটি চোখের সামনে পরে আছে।জমিটি ব্যবহার করছে ঐ এলাকার মানুষজন নিজের কাজে।উত্তর দিনাজপুর লোক প্রসার সমিতির কালিয়াগঞ্জ শাখা দাবি করেছিল ঐ পরে থাকা জমির উপর একটি লোকসংস্কৃতি মঞ্চ নির্মাণ করা হলে সেখানে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের লোকশিল্পীরা সেই মঞ্চ ব্যবহার করতে পারতো লোক সংস্কৃতির প্রসারের কাজে।কিন্তূ সেটাও হয়নি।তাই জেলা পরিষদের এই দুটি জমিকে উপযুক্ত কাজে লাগাতে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার হাতে তুলে দেবার ব্যবস্থা করা হোক বলে কালিয়াগঞ্জ বাসী মনে করে।