দুই রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার প্রাপ্ত প্রতিবন্ধীর হাত ধরে নতুন বছরে বিদ্যাধরীর পাশে চড়ুইভাতীতে প্রতিবন্ধীরা
1 min readদুই রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার প্রাপ্ত প্রতিবন্ধীর হাত ধরে নতুন বছরে বিদ্যাধরীর পাশে চড়ুইভাতীতে প্রতিবন্ধীরা
২০২০ এর নতুন বছরে নতুন সূর্য এরা। সাম্প্রতিক কালে যন্ত্র সংগীতে একজন রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার পেয়েছে। আর একজন যোগের উপর রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার প্রাপ্ত অশান্ত বর। এদের সংকল্প নিয়ে রাজ্যের প্রতিবন্ধীরা নতুন স্বপ্নের দিশা দেখছে।
বছরের নতুন দিনে একদিকে প্রতিবন্ধীদের সাহস, বিশ্বাস, ইচ্ছা শক্তিকে দৃঢ় করছে। প্রায় হাজার খানেক প্রতিবন্ধীকে নিয়ে বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া ব্লকের খাসবালান্দা গ্রামে বিদ্যাধরি নদীর পাশে বনভোজনের আয়োজন করা হয়েছে। রীতিমতো মঞ্চ বেঁধে তাদেরকে একদিকে যেমন সংবর্ধনার স্মারক ও ব্যাচ পরানোর মধ্য দিয়ে সম্মানিত করি। অন্যদিকে ভুরিভোজের মেনু সাজিয়ে তাদেরকে পাত পেতে খাওয়ালেন তৃণমূলের বার্ষিক প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে। উদ্যোক্তা তৃণমূল নেতা নুরুল ইসলাম, ব্লক সভাপতি শফিক আহমেদ, বিশিষ্ট শিক্ষক মার্কণ্ডেয় দাসরা। অশান্ত বর একাধিক প্রতিভার অধিকারী বাংলার এই যুবক।
পায়ে হেঁটে বঙ্গোপসাগর থেকে গঙ্গোত্রী পর্যন্ত। কখনো আবার আন্তর্জাতিক মিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা। সুন্দরবনের সন্দেশখালী এই যুবকের যোগার উপর একাধিক প্রতিভার অধিকারী। ১৯৯৫ সাল ২০২০ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতকে সম্মান এনে দিয়েছে। সামনেই হংকংয়ে আন্তর্জাতিক মিটে যাচ্ছেন তিনি।পাশাপাশি অন্য এক প্রতিভার অধিকারী রিণী ভট্টাচার্য্য। যন্ত্র বাদক হিসাবে টাকির এই দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার পেয়েছে। মঞ্চে দুই বাঙালির প্রতিভা দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েছে প্রতিবন্ধীরা। দীর্ঘদিনের সাধনা, মনের বিশ্বাস এরা আজ পর্বত শিখরে। তাই যাতে কোনো প্রতিবন্ধী নিজেকে হতাশ, অসহায় নিজেকে না ভাবেন। অন্য পাঁচটা মানুষের জীবনে নিজেদের আলাদা না ভাবেন। তারই অনুপ্রেরণা জাগালো রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার প্রাপ্ত প্রতিবন্ধী দুই বাঙালী। মঞ্চে প্রতিবন্ধী দুই বাঙালিকে দেখে অনুপ্রাণিত অন্যান্য প্রতিবন্ধীরা।