#অণুগল্প।।
1 min readকলমে: পায়েল চক্রবর্তী
ছাদ বৃষ্টি…
বন্যা ভিজছিল
ঝুপঝুপিয়ে।
গাল লেপ্টে
ভেজা চুল
গুলো আদর
মাখিয়েছে।
বন্যা জানেনা,
পাশের বাড়ির
ছেলেটা ওর
জন্য দাঁড়িয়েছিল,
একমাথা ঝড়
ধূলো–বালি
নিয়ে।
ছেলেটা জানে
বৃষ্টি নামলে
বন্যা ছাদে
ভিজতে আসবে। পায়ের
নূপুর ঝমঝমিয়ে
বন্যা সিঁড়ি
দিয়ে উঠবে।
ইমতেয়াজ
অপেক্ষা করে…
কোনোদিন এই
এলোঝেলো মেয়েটাকে
বলতেই পারেনি,
ভালোবাসি।হঠাত, আলোর
ঝলসানি, বন্যার
চোখ পড়ে
যায় ইমতেয়াজ
এ।
চাপ দাড়ি…
লম্বা ছেলেটা। বন্ধুরা
যাকে নিয়ে
ক্ষ্যাপায়।
লজ্জায় কান
গরম, মুখে
হাসি… এই
ছেলেটা অনেক
স্বপ্ন বুনেছে
তার ভেতর। কিন্তু
বন্যা মুখ
ফুটে বলতে
পারেনি।
বন্যা ভিজছে..
ইমতেয়াজ ও। বন্যার
মুখে একটা
প্রশ্রয়ের হাসি খেলা করছে এলোমেলো। বন্যা
একবার ভাবছে
নীচে পালাই,
কিন্তু পা
চলে না
যে!ইমতেয়াজ
আজ আর
মাথার কথা
শোনেনা… মন আজ মাথার থেকে
বেশী কথা
বলছে।অনেক হয়েছে
আজ আর
নয়।
লাফ দিয়ে
ছাদ টপকায়
ইমতেয়াজ।
বুক ধুকপুক…
কথারা ছুটি
নিয়েছে আজ,
চোখে চোখ
রেখে কেবল
তাকিয়ে থাকা…বন্যার শ্বাস
ঘন হচ্ছে
ইমতেয়াজের প্রতিটা পদক্ষেপে… বন্যার চোখে
ভয় জমছে
আস্তে আস্তে….ইমতেয়াজ কি
করতে চলেছে?ইমতেয়াজ মুচকি
হাসে… এক
ভয় চোখ
নিয়ে তাকিয়ে
থাকা, মোটাসোটা মেয়েটার কোমর ধরে
এক হ্যাঁচকায়
কাছে টানে,
বন্যার ভয়
করছে আবার
ভালোও লাগছে…
মুখ থেকে
চুল গুলো
সরিয়ে, দুহাতে
মুখ তুলে
কপালে ঠোঁট
ছুঁইয়ে ইমতেয়াজ
বলে,-” ভালোবেসে সখী নিভৃতে যতনে
আমার নামটি
লিখো, তোমার
মনের মন্দিরে।“এক
ছুটে পালিয়ে
এসে বন্যা
দুহাতে মুখ
ঢেকেছে লজ্জায়। পাশের
ঘরে গান
চলছে,-” আজি ঝড়ের রাতে, তোমার
অভিসার।পরাণ সখা…
বন্ধু হে
আমার।“