সন্ত্রাসের অভিযোগকে ঘিরে শাসক-বিরোধী চাপানউতোরের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এল পঞ্চায়েত নির্বাচন
1 min read
কলকাতা:সন্ত্রাসের অভিযোগকে ঘিরে শাসক-বিরোধী চাপানউতোরের
কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এল পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন
পর্বের শুরু থেকেই । আজ বুধবার দুপুরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ডেকে পাঠিয়েছেন
রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। বিজেপি’র তোলা অভিযোগকে মান্যতা
দেওয়ায় রাজ্যপাল ত্রিপাঠির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল তৃণমূল। এদিন বীরভূম, বাঁকুড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, মালদহ সহ রাজ্যের নানা জায়গায় মনোনয়নকে ঘিরে তৃণমূলের সঙ্গে বিরোধীদের
সংঘাত বাধে।
কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এল পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন
পর্বের শুরু থেকেই । আজ বুধবার দুপুরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ডেকে পাঠিয়েছেন
রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। বিজেপি’র তোলা অভিযোগকে মান্যতা
দেওয়ায় রাজ্যপাল ত্রিপাঠির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল তৃণমূল। এদিন বীরভূম, বাঁকুড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, মালদহ সহ রাজ্যের নানা জায়গায় মনোনয়নকে ঘিরে তৃণমূলের সঙ্গে বিরোধীদের
সংঘাত বাধে।
কংগ্রেসের পর মঙ্গলবার বিজেপি বস্তুত একই
অভিযোগ নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়। তাদের অভিযোগ, মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দিচ্ছে
তৃণমূল। পুলিস নীরব দর্শক। মূলত এই অভিযোগ নিয়েই এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার
অমরেন্দ্রকুমার সিংয়ের সঙ্গে দেখা করে রাজ্য বিজেপি’র এক প্রতিনিধিদল। বিকেলেই
রাজ্যপালের কাছে গিয়ে তাঁর হস্তক্ষেপ দাবি করেন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্যপাল নির্বাচন কমিশনারকে ডেকে পাঠাচ্ছেন, রাজভবন থেকে বেরিয়েই বিজেপি সভাপতির এই আগাম ঘোষণা বিতর্ক তৈরি করে।
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যপালকে এরাজ্যের মানুষ আর
নিরপেক্ষ মনে করে না। রাজ্যপালের নাম করে দিলীপবাবু যেসব ঘোষণা করছেন, তা প্রকাশ্যে আসার কথা নয়। রাজভবন বিজেপি’র বক্তব্য অস্বীকারও করেনি।
সবটাই পরিকল্পিতভাবে হচ্ছে। রাজ্যপাল কাকে ডাকবেন, সেটা দিলীপবাবুরা আগেভাগে জেনে
যাচ্ছেন কী করে? প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের মহাসচিব। তিনি বলেন, আমরা সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম পর্বে তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর কাছে
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে যেতাম। কিন্তু তিনি তো কখনও কী করতে
চলেছেন, তা আমাদের জানাতেন না।
দিলীপবাবুর ওই বক্তব্যের জের টেনে
রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের নিরপেক্ষতা নিয়ে সংশয় প্রকাশের পাশাপাশি ‘এটা অনৈতিক কাজ’ বলে সমালোচনায় সরব হয়েছেন পার্থবাবু।
উল্লেখ্য, রামনবমীকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক
উত্তেজনার পর রাজ্যপালের আসানসোল-রানিগঞ্জ সফর ভালোভাবে নেয়নি রাজ্যের শাসকদল।
রাজভবনের সঙ্গে শাসকদলের সেই সুপ্ত সংঘাতই পঞ্চায়েত ভোটের মুখে আরও তীব্র হল বলে
মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শুধু বিজেপি নয়, এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনে
গিয়ে বাম প্রতিনিধিদলের রবীন দেবরা একই অভিযোগ জানিয়েছেন। বিজেপি নেতা শমীক
ভট্টাচার্যের দাবি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে উন্নয়নের ফিরিস্তি
দিচ্ছেন, তা সত্য হলে, তৃণমূল এত বলপ্রয়োগ করে ভোট
জিততে চাইত না। সন্ত্রাসের বাতাবরণে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট প্রহসনে পর্যবসিত হয়েছে
বলে দাবি করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তিনি গ্রামের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ
প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন। কংগ্রেসের পর এদিন বাম ও বিজেপি’র একই সুরের অভিযোগ শুনে পার্থবাবু বলেন, রাজ্যের উন্নয়ন ব্যাহত করতে
বিরোধীরা একজোট হয়েছে। রাজ্যবাসী ভোটে তার মোক্ষম জবাব দেবে।
সিউড়িতে জেলাশাসকের দপ্তরের
সামনেই বিজেপি নেতাকে অস্ত্রের কোপ মারার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হুগলির
আরামবাগেও বিজেপি’র উপর আক্রমণ চালানো হয়েছে বলে শোনা গিয়েছে। একই অভিযোগ বাঁকুড়ায় সিপিএম
এবং বিজেপি’র। সর্বত্রই কাঠগড়ায় তৃণমূল। দলের মহাসচিব মনে করেন, এসব কমিশনের দেখার বিষয়।