October 26, 2024

পঞ্চায়েত নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জে শাসক দলের হতাশাজনক ফলের পেছনে রয়েছে সংখ্যা লঘু সম্প্রদাযের মুখ ফিরিয়ে নেওয়া-

1 min read
তপন চক্রবর্তী–-উত্তর দিনাজপুর —উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের গ্রামে গঞ্জে শাসক তৃণমূল দলের ভরাডুবির মূল কারণই হচ্ছে তৃণমূল দলের মধ্যে থেকেই শাসক তৃণমূল দলের বিরুদ্ধে অধিকাংশ সংখ্যালঘুদের ভোট  গেরুয়া শিবিরে চলে যাবার ফলেই অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে চলে গেছে।শুধু তাই নয় কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির ২৪টি আসনের মধ্যে ১১টি আসন বিজেপি দখল করার পেছনেও বড় কৃতিত্ব পেতে পারে তৃণমূল দলের জন্য ভেতরে থেকে তৃণমূল দলকে অন্তর্ঘাত ঘটিয়েছে সেই তৃণমূলের অত্যন্ত কাছের মানুষ বলে সর্বত্রই পরিচিত সংখ্যালঘু সম্প্রদয়ের মানুষজন। শাসক তৃণমূল দলকে যাদের দুহাত ভরে সমর্থন করার কথা সেই তৃণমূল দলের বিশ্বস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ শাসক দলের কাছ থেকে সমর্থন সরিয়ে অত্যন্ত কৌশলে গেরুয়া শিবিরে  চলে   যাচ্ছে তার খবরটিও শাসকদল  জোগাড় করতে ব্যর্থ হয়েছে এক্ষেত্রে।আসলে সংখ্যা লঘু সম্প্রদায় সারাজীবন ধরে শাসকদলের ছত্রছায়ায় থাকবেই এই ধারনা বর্তমানে অমূলক।
এই ধারনা যে সত্যি সত্যিই অমূলক তার খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য যে আসনগুলো দিয়ে শাসক দল নাকে তেল দিয়ে বসে বসে যে বিশ্বাসের উপর ভর করে দাঁড়িয়ে ছিল সেই এলাকাগুলিতেই চরম বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।আসলে সংখ্যালঘুদের এতদিন যে জুজুর ভয় দেখিয়ে শাসক দল সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক টিকিয়ে রেখেছিল এবার অনেক স্থানেই তা ধরে রাখতে ব্যার্থ হয়েছে।পরিসংখ্যান বলছে যেখানে যেখানে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মত দু একটি ঘটনা বাদ দিয়ে স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে মানুষ ভোট  দিতে পেরেছে সেই সব এলাকায় ভোটের ফলাফলের চিত্রটা আর সব এলাকার চেয়ে আলাদা হয়েছে।সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে ফাটল ধরার সাথে সাথে শাসক দলের কালিয়াগঞ্জ এমন অনেক পুরনো নেতা আছে যাদের এই নির্বাচনে কোন রকম গুরুত্বই দেওয়া হয়নি।জানা যায় শাসক দল গুরুত্ব না দিলেও অন্য দল থেকে তাদেরকে যে গুরুত্ব দেওয়া  হয়নি তা কে হলফ করে বলতে পারবে?জানা যায় ভোটের মধ্যেও কালিয়াগঞ্জ শহর  ও গ্রামে শাসক দলের মধ্যে যে ভাবে গোষ্ঠী কোন্দল একে অপরকে সুকৌশলে সূক্ষ্ম ভাবে শিক্ষা দেবার কাজ করেছে তার প্রভাব অনেক ক্ষেত্রেই পড়েছে।কালিয়াগঞ্জের এই হতাশাজনক ফলের জন্য শুধুমাত্র সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের ঘাড়ে দোষ চাপালেই সব বিতর্কের শেষ হবেনা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কিছু আদি তৃণমূলের কথাবার্তার নির্যাস থেকে বোঝা যায় দল যেভাবে প্রতিটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিরোধীদের কোনঠাসা করবার জন্য যে সব অবাস্তব কৌশল অবলম্বন করছে তার ফলে মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধেই মত প্রকাশ করতে শুরু করেছে।এই সত্য ঘটনাটাও শাসক দলের নব্যরা মানতে চায়না।ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গ্রামের মানুষদের জন্য একের পর এক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেই শুধু ক্ষান্ত হননি গ্রামের মানুষেরা সেই সব সুযোগ সুবিধা কম বেশি পেলেও কালিয়াগঞ্জের জেলা পরিষদ প্রার্থী অসীম ঘোষের মত হেভিওয়েট প্রার্থীর ইন্দ্র পতন ঘটাতেও পিছপা হয়নি কেন যা এখন সর্বত্রই আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে কালিয়াগঞ্জের গন্ডি পেরিয়ে জেলা তথা রাজ্যের শাসক দলের ঊর্ধ্বতন মহলেও। তবে এই ইন্দ্র পতনের ঘটনায় উত্তর দিনাজপুর জেলার জেলা নেতৃত্বদের মধ্যে সবাই যে মুষড়ে পড়েছে এমনটা কিনতু নয় এই ঘটনায় অনেকেই আবার খুশির জোয়ারে ভাসছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *