তৃণমূলকে রায়গঞ্জের মানুষের মনের কোণায় আনতে এবার অভিনব পরিকল্পনা করলেন বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। এবার রায়গঞ্জে হবে কমপ্লেন বক্স।
1 min readতৃণমূলকে রায়গঞ্জের মানুষের মনের কোণায় আনতে এবার অভিনব পরিকল্পনা করলেন বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। এবার রায়গঞ্জে হবে কমপ্লেন বক্স।
তন্ময় চক্রবর্তী :-বারে বারে রায়গঞ্জের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে কেন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে ? সারা বছর তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা পরিষেবা দিলেও ভোটের সময় মানুষ তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। তাই এবার থেকে রায়গঞ্জ কে চার ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে। আর প্রতিটা ভাগে একটি করে কমপ্লেন বাক্স রাখা থাকবে । যেখানে জনগণ তাদের অভিযোগ কিংবা কোন উপদেশ জানাতে পারবেন। আজ উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি কর্মী বৈঠকে এমন কথাই বললেন রায়গঞ্জ বিধানসভা আসনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। তিনি বলেন সাধারণ মানুষ কে যে আপনারা সারা বছর কিছু বলবেন না আপনাদের সমস্যার কথা অথচ ভোটের সময় আপনারা চুপচাপ করে বিদ্রোহ ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। তার জন্য এবার থেকে অভিনব এক পদ্ধতি আমরা করতে যাচ্ছি। যেটা হলো রায়গঞ্জ কে চারটি জনে ভাগ করে দেয়া হবে ।
সেটা হল নর্থ ইস্ট সাউথ ওয়েস্ট। আর এই চার জায়গাতেই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে চারটা পোস্ট বক্স থাকবে। ওটাকে আপনারা সাজেশন বক্স বলতে পারেন, কমপ্লেন বক্সও বলতে পারেন। ওই বক্সের মধ্যে আমি রায়গঞ্জের জনবাসীকে বলবো আপনাদের উপদেশ আপনাদের কমপ্লেন ওই বক্সের মধ্যে আপনারা ফেলুন। একমাস পরে মাসের শেষ রবিবার আমরা বিধান মঞ্চে সেই পোস্ট বক্সটি জনসাধারণের সামনে খুলবো। আর সেই বক্স খোলার সময় সেটা সার্বজনীনভাবে হবে আর সেখানে উপস্থিত থাকবে রায়গজ পৌরসভার পৌরপতি উপ পৌরপতি থেকে আরম্ভ করে সকল নেতৃত্বরা। তিনি বলেন যে সমস্ত জনগণ ঐদিন আসতে চান আপনারা সেদিন আসতে পারেন। আর সেই আপনাদের কমপ্লেইন কে আমরা আগামী দিনে কিভাবে এর সলিউশন করে তার একটা সমাধান বের করবো।। কৃষ্ণ কল্যাণী এদিন বলেন আমরা যদি কোন ত্রুটি করে থাকি তাহলে আপনারা আমাদেরকে শুধরাই দিন। আপনারা সারা বছর কিছু বলবেন না আর ভোটের সময় আমাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করবেন এটা ঠিক নয়। কৃষ্ণ কল্যাণী এদিন বলেন বিজেপিকে সারা বছর মাঠে ময়দানে দেখা যায় না অথচ ভোটের সময় তারা ভোট পায় এটা পায় কি করে ?