December 28, 2024

রায়গঞ্জ শহরেও এবার বিষধর কালাচ ।উদ্ধার রবীন্দ্র পল্লীতে

1 min read

রায়গঞ্জ শহরেও এবার বিষধর কালাচ ।উদ্ধার রবীন্দ্র পল্লীতে

তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,২২ জুন:গতকাল শুক্রবার রাত ১১..৩০ মিনিটে রায়গঞ্জ শহরের রবীন্দ্র পল্লীতে কমল চ্যাটার্জির বাড়ির সামনে থেকে একটি বিষধর কালাচ সাপ উদ্ধার করা হল। এর আগে প্রচুর কালাচ সাপ উদ্ধার হয়েছে চন্ডীতলা, কর্ণজোড়া , বোগ্রাম, রায়পুর , সুভাষগঞ্জ ইত্যাদি এলাকা থেকে, কিন্তু শিলিগুড়ি মোড় থেকে বিদ্রোহী মোড় এলাকার মধ্যে কালাচ সাপ উদ্ধার করা হয়নি। এবার তাহলে শহরেও এই কালাচ সাপ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে ।এই সাপের দংশন নিরানব্বই শতাংশ মানুষ বুঝতেই পারেনা। এর জন্য এই সাপকে রহস্যময়ী সাপও বলা হয় ।আমরা সাপ উদ্ধারের সাথে মানুষকে সচেতনও করি ।আমরা মানুষকে বলি তারা যেন রাত্রিবেলা মশারি টাঙিয়ে ঘুমায় এবং বিছানা ভালোমতো চেক করে নেয়। এই সাপ বিছানার পাশে চাদরের মধ্যেও লুকিয়ে থাকে। এবং ঘুমন্ত অবস্থায় মানুষকে কামড় দিলেও মানুষ টের পায় না ।যদিও ঘন্টাখানেক পর প্রচন্ড পেট ব্যথা শুরু হয় ।সাথে শ্বাসকষ্ট এবং শরীরের বিভিন্ন মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভব হয় । ওঝার কাছে গিয়ে অনেকেই সময় নষ্ট করে বলে সাপের কামড়ে অনেক রোগী মারা যায় তবে হাসপাতালে সময় মতো রোগীকে নিয়ে গেলে এই সাপের কামড়েও মানুষ বেঁচে যাবে।পেটে অসহ্য যন্ত্রণা । চোখের পাতা পড়ে আসছে। শ্বাসকষ্ট। মুখের মাংস পেশী শক্ত হয়ে আসছে। রোগী কথা বলতে পারছে না। তার সাথে গলা ব্যথা।

 

এইসব লক্ষণ দেখলে নিশ্চিত ভাবে বলা যায় কালাচ সাপ কামড় দিয়েছে।ওঝা গুনিনের কাছে নিয়ে গিয়ে সময় নষ্ট না করে রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।সেখানে চিকিৎসা শুরু হলেই কালাচ সাপের কামড়েও রোগীকে বাঁচানো যাবে। বেশিরভাগ মানুষ পেটের ব্যাথাকে গ্যাসের ব্যথা ভেবে বাড়িতে নিজেরাই ডাক্তারি শুরু করে এবং রোগীকে আস্তে আস্তে মৃত্য মুখে ঠেলে দেয় । সাবধান , কালাচ সাপ সম্পর্কে জানুন। বাড়িতে মশারি না টাঙিয়ে ঘুমানো উচিত নয়।মশারি টাঙানোর আগে বিছানা ভালোমতো চেক করে নিন যেকোনো সাপ বা পোকামাকড় ঢুকে আছে কিনা । প্রচন্ড গরম পড়েছে – এই অবস্থায় বিশেষ করে গ্রামেগঞ্জে অনেকেই মেঝেতেই শুয়ে থাকে মশারি না টাঙিয়ে। সেই সমস্ত মানুষগুলোকেই কালাচ সাপ বেশি করে দংশন করে এবং চলে যায় ।যখন পেটে যন্ত্রণা শুরু হয় তখন বিভিন্ন রকম ওষুধ খাইয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা, তারপরে যখন শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তখন হয়তো বুঝতে পারে যে কোন সাপ কামড়েছে। তাকে প্রথমেই নিয়ে যায় ওঝার কাছে। সেখানে আরো সময় নষ্ট। একদম শেষ পর্বে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ঠিকই কিন্তু ডাক্তারের তখন কিছু করার থাকে না রুগী ততক্ষণে মৃত্যু মুখে ঢলে পড়েছে। তাই এই সাপ হতে সাবধান। সাপের ছবি দেওয়া আছে। ভালো মতো দেখে নিন ।এই সাপ কালো কুচকুচে রঙের হয় এবং মাথার প্রায় এক বিদ্যা পর থেকে চুরির মত ব্যান্ড শুরু হয় ,যেটা একদম লেজ পর্যন্ত যায়। এই সাপের ফনা নেই এবং কামড় দিলে কোন চিহ্ন বোঝা যায় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর..