রায়গঞ্জে বিজেপি প্রার্থী বিধানসভা উপনির্বাচনের মানষ ঘোষ মনোনয়নপত্র পেশ করেই চাঁচা ছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কে।
1 min readরায়গঞ্জে বিজেপি প্রার্থী বিধানসভা উপনির্বাচনের মানষ ঘোষ মনোনয়নপত্র পেশ করেই চাঁচা ছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কে।
তন্ময় চক্রবর্তী ।।।।বিধানসভার উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে শেয়ার বাজারের উঠানামার মতন অবস্থা রায়গঞ্জে বিজেপি নেতৃত্বের। আজ রায়গঞ্জ এর সাংসদ কার্তিক চন্দ্র পাল ও জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার সহ জেলার সমস্ত বিজেপি নেতৃত্ব কে নিয়ে নিয়ে রায়গঞ্জ বিধানসভার উপ নির্বাচনে নিজের মনোনয়নপত্র পেশ করলেন বিজেপি প্রার্থী মানষ ঘোষ। মনোনয়নপত্র পেশ করার পর সাংবাদিকদের সামনে মুখোমুখি হয়ে মানস বাবু জানান, আজ বিজেপির নেতৃত্ব এবং কার্যকর্তাদের নিয়ে বর্ণ্নাঢ্য মিছিল সহকারে মনোনয়নপত্র পেশ করলেন। আমরা সনাতনী হিন্দু মানুষ। সনাতনী ধর্মবলম্বী মানুষ হিসাবে আমি কাজ করেছি। গতকাল আমার রাশি অনুযায়ী যখন শুভ সময় ছিল ঠিক সেই শুভ সময় এসে আমি আমার মনোনয়ন পত্র দাখিল করে গিয়েছিলাম। তিনি বলেন আমার রাশি সিংহ রাশি। তাই সিংহ রাশিতে গতকালকে শুভ দিন ছিল। আজকে কিছু কাজ বাকি ছিল তাই এসেছি।
মানষ বাবু এদিন বলেন আমার এই মনোনয়নপত্র পেশ এর দিনে বিজেপির সকল স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়েছিল। যারা ভাবছে আমাদের মধ্যে ঐক্যের চির ধরেছে তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। আমাদের বিজেপির সকলেই এক হয়ে এবার বিধানসভার উপনির্বাচনে এই আসনে জয়লাভ করবোই। এটা আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। মানষ বাবু বলেন এই আসন গত দেড় মাস আগে লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ বিধানসভা তে আমরা প্রায় ৪৭ হাজার ভোটে আমাদের লোকসভার প্রার্থী কার্তিক পালকে আমরা এগিয়ে দিয়েছিলাম। রায়গঞ্জের মানুষ এগিয়ে দিয়েছিল দুহাত তুলে আশীর্বাদ দিয়ে। রায়গঞ্জের যিনি বিধায়ক ছিলেন লোকসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তাকে রায়গঞ্জের মানুষ রিজেক্টটেড বলে সিল দিয়ে দিয়েছেন এই ভোটে। তিন বছর বিদায় হিসেবে কাজ করার পরেও তার নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে তিনি ৪৭ হাজার ভোটে পিছিয়ে পড়েছিলেন।
তাই এই লজ্জায় তার এবার ভোটেই লড়া উচিত ছিল না। আমার তো মনে হয় কি কারনে তিনি ভোটে দাঁড়িয়েছেন সেটা বলতে পারব না তবে এটা বলতে পারি তৃণমূল দল টাকা দিয়ে টিকিটটা দেয়। এই সেই টাকার বিনিময় তিনি আবার টিকিটটা জোগাড় করেছেন। অন্য এক প্রসঙ্গে তিনি বলেন এখানে কংগ্রেস এবং সিপিএম কোন ফ্যাক্টর নয় বিগত লোকসভা নির্বাচন আগের লোকসভা এবং বিধানসভা ফলাফল আপনারা যদি দেখেন তাহলে দেখবেন এখানে কংগ্রেস সিপিএমের ভোট ব্যাংক বলে কিছুই নেই। স্বাভাবিকভাবেই ফ্যাক্টর কোনো হবে না। বিজেপি প্রার্থী মানষ ঘোষ বলেন আমরা ১০০% আশাবাদী সুষ্ঠুভাবেই নির্বাচন সম্পন্ন হবে এখানে। কারণ ২০১৭ সালে যে পদ্ধতিতে তৃণমূল কংগ্রেস ভোট করেছিল পৌরসভায় ২০১৮ সালে যে কায়দায় পঞ্চায়েত ২০২৩ সালে পঞ্চায়েতে তার এফেক্ট প্রত্যেকটা বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনে এখানে তৃণমূল কংগ্রেস রিটার্ন পেয়ে গিয়েছে। আবার যদি এই ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস জোড় জুলুম করে ভোট করতে চায় রায়গঞ্জের মানুষ তার যোগ্য জবাব দিয়ে দিবে আগামী দিনে। এবারের এই ভোটে ১০০% কেন্দ্রীয় বাহিনী এখানে থাকার কথা। বিজেপি প্রার্থী বলেন রায়গঞ্জের মানুষ বিজেপিকে মন থেকে গ্রহণ করেছে। বিজেপি দলে এখানে কোন গুন্ডা মস্তান কোন জমির মাফিয়া নেই। এই দলে কোন তোলাবাজ নেই। রায়গঞ্জের মানুষ শান্তি চাইছে। বিভিন্ন জায়গায় যে পুকুর ভরাট জমি মাফিয়া গিরি কার প্রশ্রযে হয়েছে রায়গঞ্জের যিনি বিধায়ক ছিলেন তার আশ্রয় প্রশ্রয়ে হয়েছে এগুলো। রায়গঞ্জের যারা তৃণমূল নেতৃত্ব তাদের দাঁড়াই এই কাজগুলো হচ্ছে। এইসব থেকে মানুষ মুক্তি চায়।এদিনের মনোনয়নপত্র জমাকে কেন্দ্র করে যে বর্ণ্নাঢ্য মিছিল সমগ্র রায়গঞ্জ শহর পরিক্রমা করে সেখানে দেখা যায় রায়গঞ্জের সাংসদ কার্তিক চন্দ্র পাল বিজেপি জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার প্রাক্তন বিজেপির জেলা সভাপতি শংকর চক্রবর্তী নির্মল দাম সহ জেলার বিজেপি নেতৃত্বকে। পাশাপাশি এদিন মিছিলে প্রচুর সংখ্যক মহিলা এবং পুরুষদের দেখা যায় গেরুয়া রঙের বেলুন সাজিয়ে তারা সেই বেলুন নিয়ে সমগ্র শহর পরিক্রমা করতে। সব মিলিয়ে আজ থেকে যে ভোটের উত্তাপ রায়গঞ্জ শহরে বেড়ে গেল তা নিঃসন্দে বলা যেতেই পারে।গত দুদিন ধরে যেভাবে বিজেপি প্রার্থীকে কেন্দ্র করে বিজেপি মধ্যে একটা অন্তঃকলো দেখা যাচ্ছিল আজ অনেকটাই যে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে পেরেছে বিজেপি নেতৃত্ব তা কিন্তু মনোনয়নপত্র পেশ কে কেন্দ্র করে দেখা যাচ্ছে।