উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে জাল নিয়োগ পত্রের খোঁজ মিললো
1 min read
তপন চক্রবর্তী-উত্তর দিনাজপুর--উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণী ও করনিক পদের নিয়োগ পত্রকে কেন্দ্র করে জাল নিয়োগ পত্রের হদিস পাওয়াকে কেন্দ্র করে দেখা দেয় ব্যাপক চাঞ্চল্য।উত্তর দিনাজপুর জেলা শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা যায় মহকুমার সাহাপুর জুনিয়ার হাইস্কুলে সম্প্রতি একজন করনিক ও একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী নতুন নিয়োগ পত্র পেয়ে কাজে যোগ দেয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুজনের নিয়োগ পত্র নিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলা শিক্ষা পরিদর্শকের কাছে গেলে জেলা শিক্ষা পরি দর্শক নিয়োগ পত্র দেখেই তার মনে সন্দেহের দানা বাধে।তিনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বলেন নিয়োগ পত্র এলো অথচ তার কাছে কোন নিযোগ পত্রের কপি এলোনা এটা কি করে হতে পারে। তাহলে এই নিয়োগপত্র বিদ্যালয়ে কিভাবে আসতে পারে বলে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক রবীন্দ্র নাথ মন্ডলের সন্দেহ হয়।এই দুটি নিয়োগপত্র সাথে সাথে এস এস সি দপ্তরে পাঠিয়ে তা খতিয়ে দেখে জানা গেছে এস এস সি দপ্তরে করনিক পদের মহম্মদ দিলনওয়াজ ও পিওন পদের আয়েশা খাতুন নামে কোন ব্যক্তি নিয়োগ পত্র পায়নি।বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক নির্দেশ দেন কোন ভাবেই যেন এই
দুজন ব্যক্তি স্কুলের কাজে যোগ না দেয়।কিন্তু জাল নিয়োগ পত্র নিয়ে দুই ব্যক্তি ফেরতসাহাপুর জুনিয়ার স্কুলে জয়েন করার ফলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বর্তমানে বড়ই বিপদের সম্মুখীন হয় পড়েছে বলে জানা যায়।যদিও করনিক ও পিওন দুজনেই এই ঘটনা জানাজানির খবর তাদের কানে গেলে তারা কেও বিদ্যালয়ে আসছেনা বলে জানা যায়।জানা যায় দিন কয়েক আগেও ইসলামপুর মহকুমায় দুটি জাল নিয়োগ পত্র ধরা পড়ার পর তা পুলিশকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়ে গেছে বলে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক রবীন্দ্র নাথ মন্ডল জানান।তিনি সাংবাদিকদের জানান এই দুটি জাল নিয়োগ পত্র সম্পর্কেও এস এস সি দপ্তরে জানানো হয়েছে।সেখান থেকে রিপোর্ট এলেই বিভাগীয় তদন্তের কাজ শুরু করা হবে।জানা যায় উত্তর দিনাজপুর জেলায় একশ্রেণীর দালাল বেকার যুবকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এই ভাবে জাল নিয়োগ পত্রের ব্যবসা রমরমিয়ে করায় উত্তর দিনাজপুর জেলা শিক্ষা দপ্তর ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়েছে । জানা যায় যে দুজন ব্যাক্তি টাকার বিনিময়ে জাল নিয়োগ পত্র পেয়েছে তাদের বাড়ি ইসলামপুর মহকুমার গোয়ালপুখুর থানার গতি এলাকার বেলডাঙ্গা ও অপর জনের বাড়ি গোয়ালপুখুরের বাহার গ্রামে।