October 27, 2024

দু’চাকার কোনও যান কিনলে লাগবে ড্রাইভিং লাইসেন্স

1 min read
বর্তমানে যেভাবে দু’চাকার যানে দুর্ঘটনা বাড়ছে, তাতে রাশ টানতেই এই রাস্তায় হাঁটতে শুরু করল পরিবহণ দপ্তর। ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে কেনা যাবে না মোটর সাইকেল বা অন্য দু’চাকার কোনও যান।  বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটর সাইকেল কেনা যাবে না। কেন্দ্রীয় মোটর ভেহিকেলস আইন মেনেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। আলাদা করে কোনও বিজ্ঞপ্তি আর করা হবে না।


দপ্তরের কর্তাদের বক্তব্য, দুর্ঘটনার হার কমিয়ে পথ সুরক্ষা সুনিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য। কারও কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে ধরে নেওয়া যায়, তিনি গাড়ি চালাতে পারদর্শী এবং পথ আইনসম্পর্কে ওয়াকিবহাল। সেই জায়গা থেকেই পরামর্শ আকারে এই সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ডিলারদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে পরামর্শ আকারে এই সিদ্ধান্তের কথা ডিলারদের জানানো হলেও, বিষয়টিকে নির্দেশ বলেই মনে করছেন বহু ডিলার।পরিবহণ দপ্তর সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো পথ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং দুর্ঘটনার হার কমাতে ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য। মোটর ট্রেনিং স্কুলগুলির জন্য পাঠক্রম চালু, প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ কর্মসূচির অধীনে নানা কর্মকাণ্ড চলছে রাজ্যজুড়ে। তার ফলও ফলতে শুরু করেছে। কিন্তু দু’চাকার যানের দুর্ঘটনা ক্রমেই উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে। দেখা যাচ্ছে, গত তিন বছরে দু’চাকার গাড়ির সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনই বেড়েছে দুর্ঘটনার বহরও। বেশ কিছু দুর্ঘটনায় দেখা যাচ্ছে, চালক হয় নাবালক, নাহলে লাইসেন্সহীন।দপ্তরের কর্তাদের বক্তব্য, আসলে দুর্ঘটনা কমাতে দ্বিমুখী পথে হাঁটা হচ্ছে। একদিকে, প্রচার-অভিযান বাড়িয়ে চালকদের সচেতন করার নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, আইনও কঠোরভাবে রূপায়ণ করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে এই দুইয়ের প্রভাব দু’চাকার যানের দুর্ঘটনা কমাতে সহায়ক হবে বলে আশাবাদী তাঁরা। দপ্তরের এক কর্তার কথায়, যথেচ্ছভাবে যাতে নতুন দু’চাকার গাড়ির রেজিস্ট্রেশন না হয় এবং বেআইনিভাবে এই যান চালানো বন্ধ করা যায়, সেকারণে কেন্দ্রীয় মোটর ভেহিকেলস আইনকে আরও কড়াভাবে রূপায়ণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই মতো ‘রেজিস্ট্রারিং অথরিটি’কে একগুচ্ছ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী, এখন থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে দু’চাকার যান কেনা যাবে না, এমনই বলা হয়েছে। ক্রেতা যদি নাবালক হন, তাহলে তাঁর অভিভাবকের সম্মতি লাগবে। ডিলারদের বলা হয়েছে, তথ্যপ্রমাণ সহ দু’চাকার যানের ক্রেতার বিস্তারিত পরিচয় ‘রেজিস্টারিং অথরিটি’র কাছে জমা দিতে হবে। সেসব খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিলে তবেই দু’চাকার গাড়ি বিক্রি করা যাবে এবং সেই গাড়ির অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের আবেদন করা যাবে। গোটা প্রক্রিয়ায় নজরদারি চালাবেন ট্রান্সপোর্ট ডিরেক্টরেটের ডিরেক্টর স্বয়ং। 


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *